ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
لَا بَأْسَ بِأَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْمُسْلِمِ وَالذِّمِّيِّ مُعَامَلَةٌ إذَا كَانَ مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ
মুসলমান ও অমুসলমানের মধ্যে মু'আমালা তথা ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সংগঠিত হওয়াতে কোনো সমস্যা নাই ,যদি এছাড়া অন্য কোনো রাস্তা না থাকে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/94704
كان عطاء وطاوس ومجاهد «يكرهون شركة اليهودي، والنصراني، إلا إذا كان المسلم هو الذي يرى الشراء، والبيع».( المصنف لابن أبي شيبة:كتاب البيوع و الأقضية، رقم الحديث:19986، 4/269،ط: مكتبة الرشد – الرياض ،)
“আতা, তাউস, মুজাহিদ প্রমুখ তাবিঈ (র) ইয়াহুদ-নাসারার সঙ্গে শরীকানা ব্যবসা অপছন্দ করতেন। তবে বেচা-কেনার কর্তৃত্বটি মুসলিমের হাতে থাকলে ভিন্ন কথা।” (মুসান্নাফ ইবন আবি শাইবা: ৪/২৬৯, আসার নং: ১৯৯৮৪; আরও দেখুন বায়িউস সানায়ে: ৬/৬২, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ।)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অমুসলিমের সঙ্গে শরিকানা ব্যবসা যদি নাজায়িয নয়, তথাপি উত্তম হল, তাদের সাথে শরিকানা ব্যবসা না করা। কেননা তারা হালাল-হারামের কোনো তোয়াক্কা করে না। তাছাড়া অমুসলিমদের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে কুরআনে কারীমে কঠিনভাবে বারণ করা হযেছে।