হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
(معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(মাআরিফুস সুন্নাহ ১/৩৪)
আপনি যেই পরিমাণ টাকা সুদ নিয়েছিকেন, সেই পরিমাণ টাকা যদি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া ফকির মিসকিনদের মাঝে দান করে দেন,পাশাপাশি তওবা করেন,সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মাফ করবেন।
হিন্দু যদি দরিদ্র হয়,সেক্ষেত্রে তাদেরকে উক্ত টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করা যাবে।
দাফনের পর তার জন্য ইস্তিগফার ও কবরে প্রশ্নোত্তরে দৃঢ় থাকার জন্য দো‘আ করতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ অপেক্ষা করবে।
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তিনি যেন মুনকার-নাকীরের প্রশ্নের উত্তর দানের সময় দৃঢ় থাকতে পারেন, সেজন্য দো‘আ কর। কেননা তাকে এখুনি প্রশ্ন করা হবে’ (আবুদাঊদ হা/৩২২১; মিশকাত হা/১৩৩)।
ফকিহগণ বলেন মৃত ব্যক্তির দাফন করার পর তার কবরের পাশে এই পরিমাণ সময় বসা, যেই পরিমাণ সময়ে একটি উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করা যায়। এটা মুস্তাহাব।
এই সময়ে কুরআন পড়া ও তার জন্য মাগফেরাত কামনা করা ও মুনকার নাকিরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে এজন্য দোয়া করা। যেমন, মৃতের মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বা বাকারার শুরুর কিছু আয়াত ও শেষের কিছু আয়াত পড়া। এ ব্যাপারে হাদিস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আমর ইবনুল আস রা. মুমুর্ষূ অবস্থায় তার ছেলেকে বলেছিলেন, আমার যখন মৃত্যু হয়ে যাবে, তখন আমার জানাজার সাথে উচ্চস্বরে ক্রন্দন কারী এমন কোনো মানুষ যেন না যায়। আর যখন আমার দাফন দেওয়া শেষ হবে, তখন অল্প-অল্প করে মাটি দিবে। এর পরে আমার কবরের পাশে একটি উট জবাই করে গোশত বন্টন করতে যে পরিমাণ সময় লাগে ঐ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবে। যাতে আমি তোমাদের কারণে শান্তিতে থাকতে পারি এবং আমি যেন জানতে পারি ফেরেশতার প্রশ্নে কি উত্তর দিচ্ছি। (মুসলিম শরিফ)
হযরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, ‘নবিজি সা. কোন মাইয়্যাতকে দাফন করার পর তার কবরে পাশে কিছু সময় অপেক্ষা করে বলতেন, মুনকার নাকিরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে এজন্য তোমরা আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করো। কেননা এখন তার প্রশ্ন করা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. তিনি বলেন যে, আমি নবিজি সা.কে বলতে শুনেছি, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু হয়, তখন তোমরা তাকে খুব তাড়াতাড়ি কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করো ও দাফন দেওয়ার পর তার মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বাকারার শুরুর কিছু আয়াত এবং পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে শেষের কিছু আয়াত পড়বে। ইমাম বাইহাকি রহ. বলেন সঠিক কথা হলো, এই রেওয়ায়েতটা মাওকুফ।
(শুয়াবুল ইমান মেশকাত শরিফ: ৯৪১)