আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in ওয়াসওয়াসা by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম। 

আমি কাল  রাতে ৩ টা বা ৪ টার দিকে স্বপ্ন দেখি, একটা টিনের রুমে সেলাই মেশিনের নিচে বসে আমার বোন কান্না করতেছে,তাকে জিজ্ঞেসা করলে বলে,দুইজন লোক তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করছে।

এখন বিষয় হচ্ছে আমরা ১ তারিখ একটা নতুন বাসায় উঠতে চাচ্ছি তবে নতুন বাসায় যাওয়া নিয়ে অনেক দ্বন্দ্বে আছি,বাসাটা নতুন হয়েছে আমরাই প্রথম ভাড়াটিয়া হবো।আর গ্রামের মত টাইলস করা দুই রুমের বাসা ফ্লাট না তাই সিকিউরিটি একটু কম।এখন হচ্ছে স্বপ্নে আমি যে দেখেছি আমার বোন কাঁদছে, তা  আমরা যে বাসায় উঠতে চাচ্ছি তার পাশে টিন সেট রুম আছে  ওইরকম।

এখন আম্মুকে বিষয়টা বলাতে সে ওই বাসায় যাবে না বলছে, যেহেতু আমার মা আর দুই বোন থাকবো সিকিউরিটি কম।

এখন বাসাটা আমার পছন্দ, তাকদীরের ভালো মন্দ আল্লাহর হাতে তবে সাবধান থাকতে হবে।আমি স্বপ্নটি হায়েজ অবস্থায় দেখেছি। এখন এই স্বপ্নে ব্যাখা কি হতে পারে নতুন বাসায় উঠা কি উচিত হবে? নাকি ওই বাসা বাদে অন্য বাসা খুজঁবো।

স্বপ্নের ব্যখ্যা বললে  উপকৃত হবো আর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। 

1 Answer

0 votes
by (577,980 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا رَأَى أَحَدُكُـمْ الرُّؤْيَا يُحِبُّهَا ، فَإِنَّهَا مِنَ اللهِ ، فَلْيَحْمَدِ اللهَ عَلَيْهَا ، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا ، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْـرَهُ ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لِأَحَدٍ ، فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ

‘‘তোমাদের কেউ কোন ভালো স্বপ্ন দেখলে তা অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করে এবং তা কাউকে বলে। আর যদি সে এর বিপরীত তথা খারাপ স্বপ্ন দেখে তা হলে তা অবশ্যই শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন উহার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় কামনা করে এবং তা কাউকে না বলে। কারণ, এ জাতীয় স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’।
(বুখারী, হাদীস ৬৯৮৫, ৭০৪৫)

ভালো স্বপ্ন দেখলে তা শুধুমাত্র প্রিয়জনকেই বলবে এবং খারাপ স্বপ্ন দেখলে শয়তান ও তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় চাবে এবং তিন বার থুতু ফেলবে। উপরন্তু তা কাউকে বলবে না।

আবু ক্বাতাদাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি কখনো কখনো খারাপ স্বপ্ন দেখে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়তাম। অতঃপর আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন:

الرُّؤْيَا الْـحَسَنَةُ مِنَ اللهِ ، فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُحِبُّ فَلاَ يُحَدِّثْ بِهِ إِلاَّ مَـنْ يُحِبُّ ، وَإِذَا رَأَى مَا يَكْرَهُ فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ شَرِّهَا وَمِنْ شَـرِّ الشَّيْطَانِ ، وَلْيَتْفِلْ ثَلاَثًا ، وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا أَحَدًا ، فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ

‘‘ভালো স্বপ্ন আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ ভালো স্বপ্ন দেখলে সে যেন তা শুধুমাত্র তার প্রিয়জনকেই বলে। আর যদি সে খারাপ স্বপ্ন দেখে তা হলে সে যেন তার ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় কামনা করে এবং তিনবার থুথু ফেলে। উপরন্তু তা কাউকে না বলে। কারণ, এ জাতীয় স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’’।
(বুখারী, হাদীস ৭০৪৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নটি ভয়ানক স্বপ্নের অন্তর্ভুক্ত। 
আপনি এ স্বপ্নের কথা কাউকে বলবেননা। 
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন,রাতে ঘুমানো আগে অযু করে পবিত্র কাপড়,পবিত্র বিছানায় তিন কুল পড়ে শরীরে ফুক দিয়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন।
একাকী ও পূর্ণ অন্ধকার রুমে না ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

আপনার জন্য করণীয় হল,
ইসলামের প্রত্যেকটি বিধানকে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলুন।

বিশেষকরে সঠিক সময়ে সালাত আদায় করুন এবং চাইলে কিছুটা দান-সদকাহ করতে পারেন।

কেননা হাদীসে এসেছে....
হযরত কা'ব ইবনে উজরাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻛﻌﺐ ﺑﻦ ﻋﺠﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﻟﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻭﺍﻟﺼﺪﻗﺔُ ﺗُﻄْﻔِﺊُ ﺍﻟﺨﻄﻴﺌﺔ ﻛﻤﺎ ﻳُﻄْﻔِﺊُ ﺍﻟﻤﺎﺀُ ﺍﻟﻨﺎﺭَ ) ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 614 )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিসসালাম আমাকে বলেছেন,সদকাহ ভূলভ্রান্তিকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে মিটিয়ে দেয়। (তিরমিযি-৬১৪)

★নতুন বাসায় উঠা নিয়ে এ স্বপ্নে কোনো ইঙ্গিত আছে বলে মনে হয়না।

তবে প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত বাসায় যদি আপনার বাবা না থাকে,সেক্ষেত্রে সিকিউরিটি কম হওয়ায় উক্ত বাসায় না উঠে নিরাপদ বাসায় উঠার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...