বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করা।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)
হানাফি মাযহাবে মূলত মাইল বা কিলোমিটারের হিসাব গ্রহণযোগ্য ছিলনা।বরং তিনদিনের সফরকেই মূল হিসেবে গণ্য করা হয়েছিলো।তবে পরবর্তী সময়ে হানাফি ফুকাহাগণ ৪৮ কিলোমিটার-কে তিনদিন তিনরাত সমপরিমাণ দূরত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেন।এ হিসেবে বর্তমানে ৪৮মাইল বা ৭৭ কিলোমিটার কে সফরের দূরত্ব সাব্যস্ত করা হয়েছে।(আওযানে শরঈয়্যিয়াহ-মুফতী শফী রাহ-৪৯)বিস্তারিত জানুন-
1281
যদি মুসাফির দু-রাকতের স্থলে চার রা’কাত পড়ে নেয়,এবং দু-রাকতের পর বৈঠক করে এবং শেষে সাহু সিজদা দিয়ে দেয়, তাহলে নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।
«البناية شرح الهداية» (3/ 13):
«ولنا أن الشفع الثاني لا يقضى ولا يؤثم على تركه، وهذا آية النافلة بخلاف الصوم لأنه يقضى،
«البناية شرح الهداية» (3/ 14):
«وإن صلى أربعا وقعد في الثانية قدر التشهد أجزأته الأوليان عن الفرض، والأخريان له نافلة اعتبارا بالفجر، ويصير مسيئا لتأخير السلام، وإن لم يقعد في الثانية قدرها بطلت لاختلاط النافلة بها قبل إكمال أركانها،»