আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার একটা ছেলের সাথে রিলেশন ছিল। শুধু মেসেজেই কথা হতো। আল্লাহর ভয়ে তা ছেড়ে দিই তারপর পরিপূর্ণ দ্বীন পালন করার চেষ্টা করি। আবার মাঝে মাঝে নফসের ধোঁকায় পড়ে কথা বলে ফেলি। এরপর পুরোপুরি হারাম রিলেশন থেকে সরে আসি তওবা করি। ধীরে ধীরে তার কথা চিন্তা  করা বাদ দিয়ে দিলাম। একপর্যায়ে তার কথা প্রায় ভুলতে শুরু করলাম।
একদিন স্বপ্নে দেখি,,, তার সাথে আমার কথা হচ্ছে খুব হাসাহাসি করছিলাম দুজনে মনে হচ্ছিল আমরা স্বামী স্ত্রী । সে আমার বাড়িতে কিছু খাবার পাঠায় আমার ফ্যামিলির লোকেরাও খুশি খুশি।
এ স্বপ্ন দেখার কিছুদিন পরেই সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
★১/তারপর আমি ইস্তেখারা করি।তারপর স্বপ্ন দেখি,,, কে যেনো তাকে দৌড়াচ্ছে। তখন আমি একটা লিফটে একা ছিলাম পরিপূর্ণ পর্দা অবস্থায়। সে দৌড়ে এসে লিফটে ডুকে।
এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি..?


২★কিছুদিন পর আবার স্বপ্ন দেখি, আমি কোনো একটা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছি। সেও সেখানে ছিল। বের হওয়ার সময় সে আমাকে এমনভাবে আগলে রাখছিল যেনো কোনো পুরুষের সাথে না লাগি। আমি মনে মনে বলতেছিলাম এটা গায়রত। এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি..?
এ স্বপ্নগুলো দেখার পরও আমার ভয় লাগে আমি তার বেদ্বীন ফ্যামিলিতে গিয়ে নিজের দ্বীন থেকে ছিটকে যাবো না তো!


তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে আমাকে পরিপূর্ণ পর্দায় রাখতে পারবে কিনা?  সে বলছে,,পারবে।
তারপরও আমার ভয় লাগে ওই ফ্যামিলিতে গিয়ে দ্বীন থেকে ছিটকে যাবো না তো!
ভয় লাগার কারণ হচ্ছে,, বাস্তবে সে তেমন দ্বীনদার না। শুধু নামাজ রোজা মুখে দাড়ি এগুলোই। গানও শুনে, অহেতুক পিক তুলে, ফুটবল খেলায় আসক্ত । বিভিন্ন খেলা দেখায় আসক্ত দৃষ্টি তেমন হেফাজত করে না।
তার সাথে আমার শুধু দ্বীনদারিতার কুফু মিলে না। বাকি কুফুগুলোর মিল আছে।
৩★এখন আমার করণীয় কি..?? এই স্বপ্নগুলো দেখার পর তার প্রতি আমার ভালো লাগা কাজ করে৷  আবার দ্বীনদারিতার কথা চিন্তা করলে তার চিন্তা বাদ দিতে ইচ্ছে করে।
৪/ কোনো স্বামী যদি স্ত্রীর উপর রেগে গিয়ে বলে,,আমি ফেরাউন থেকেও  খারাপ। এতে কি  তাদের সংসারে সমস্যা হবে...?

1 Answer

0 votes
ago by (575,580 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২)
এগুলো সবই আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বা শয়তানের পক্ষ থেকে দেখানো স্বপ্ন বলেই মনে হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা না করার পরামর্শ থাকবে।

(০৩)
তাকে নিয়ে ভাবা সম্পূর্ণভাবে বাদ দিন।

সে যদি কোনো দিন আপনার পরিবারের নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়,আপনার অভিভাবক গন যদি তার ব্যপারে রাজী হয়,সেক্ষেত্রে আপনি রাজী হতে পারেন।

অন্যথায় নয়।

(০৪)
এতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...