জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَقَاضَاهُ بَعِيرًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطُوهُ فَقَالُوا مَا نَجِدُ إِلاَّ سِنًّا أَفْضَلَ مِنْ سِنِّهِ فَقَالَ الرَّجُلُ أَوْفَيْتَنِي أَوْفَاكَ اللهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطُوهُ فَإِنَّ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ أَحْسَنَهُمْ قَضَاءً
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একজন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট তার (প্রাপ্য) উটের তাগাদা দিতে আসে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন, তাকে একটি উট দিয়ে দাও। তাঁরা বললেন, তার চেয়ে উত্তম বয়সের উটই পাচ্ছি। লোকটি বলল, আপনি আমাকে পূর্ণ হক দিয়েছেন, আল্লাহ আপনাকে যেন পূর্ণ হক দেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে সেটি দিয়ে দাও। কেননা, মানুষের মধ্যে সেই উত্তম, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে। (বুখারী ২৩৯২,২৩০৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৩৪)
و في الفتاوى الهندية:قال محمدرحمه الله تعالى في الأصل: إذا كان الرجل على دابة بإجارة أو عارية فنزل عنها في السكة ودخل في المسجد ليصلي فخلى عنها فهلكت فهو ضامن.....ولو أدخل المستعير الحمل في بيته وترك الدابة المستعارة في السكة فهلكت فهو ضامن سواء ربطها أو لم يربطها؛ لأنه لم يربطها؛ لأنه لما غيبها عن بصره فقد ضيعها حتى لو تصور أنه إذا دخل المسجد أو البيت والدابة لا تغيب عن بصره لا يجب الضمان، وعليه الفتوى. (4/ 366)
সারমর্মঃ-
কোনো ব্যাক্ত যদি কাহারো বাহন ধার বা ভাড়ায় নিয়ে বাজারে রেখে মসজিদে গমন করে,বাহন যদি হারিয়ে যায়,সেক্ষেত্রে সে জামিন হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বইগুলো যেভাবে দিয়েছে, সেভাবেই ফেরত পাওয়া যে ধার দিল তার হক্ব।
সুতরাং কেউ যদি নতুন গুছানো সুন্দর বই ধার নিয়ে তা নষ্ট করে,মলীন করে ফেরত দেয়।
সেক্ষেত্রে ক্ষমা চেয়ে নিবে,মালিক ক্ষমা না করলে সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু টাকা দিবে।
(০২)
এক্ষেত্রে দেড়ি করা অভিভাবকদের জন্য ঠিক নয়।
মেয়ের দ্বারা কোনো গুনাহ হয়ে গেকে তার দায়ভার মেয়ের বাবার উপর বর্তাবে।
(০৩)
এমনটি জায়েজ আছে।
তবে ৩ দিনের বেশি যেহেতু কথা বলা বন্ধ রাখা জায়েজ নয়,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কমপক্ষে সালাম বিনিময় করতে হবে।
(০৪)
এখানে অভিভাবক হলো আপনার বাবা।
তাই তিনি অনুমতি না দিলে সেক্ষেত্রে অভিভাবক অনুমতি দিয়েছেন বলাটা মিথ্যা হবে।
(০৫)
হক আদায় হবে।
বিপদ আপদে সাধ্যের মধ্যে থেকে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
(০৬)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনারা সেই বিয়ের দাওয়াত কবুল করতে পারবেন।
(০৮)
হারাম সম্পর্কের কারনে বিয়ের আগেও তওবা করবে,বিয়ের পরেও তওবা করবে।
(০৯)
আপনার অধিনস্ত হলে বা নিকটতম আত্মীয় হলে সেটা আপনার আবশ্যকীয় দায়িত্ব।
(১০)
এ ব্যপারে ইবাদত দোয়া কবুলের হাদীস গুলো বলে তাদের বুঝাতে হবে।
(১১)
না,গুনাহ হবেনা।
(১২)
কুফু মিলানোর কথা হাদীসে এসেছে।
তবে দ্বীনদারিত্বকে প্রাধান্য দেয়ার ব্যপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ সতর্ক করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)