আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
6 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
কয়েক বছর আগে,আমি আমার একটা ফ্রেন্ডের কাছে অনলাইনে কয়েকটা ড্রেস সেল করেছিলাম।কিন্তু সে জানেনা ওই সেলারটা আমি ছিলাম। আমি বলেছিলাম তাকে এই পেইজ থেকে ড্রেস কিনতে। আসলে সেই পেইজটা আমার না,আরেকজন আপুর। তো আমি জাস্ট সেল করছিলাম এডমিনের প্রাইজ থেকে কিছুটা বারিয়ে দিয়ে। নিয়মটা এমন ছিল যে আমি সেল করতে পারলে মেইন যে প্রাইজটা ওটা ওই এডমিন আপুর আর বাকি যা আমি বারিয়ে যা নিতে পারি ।আমি নিজেও জানিনা কাপড়টা ভালো কি না। আমি পরে এই কাজ ছেড়ে দিয়েছি।আমি আসলে বুঝিইনি এইটা কি হালাল হবে নাকি হারাম। তো সে ভেবেছে যে বান্ধবী যেহেতু বলেছে নিশ্চয়ই ভালো হবে পেইজটা। তো কিনার পরে সে দেখলো যে ড্রেসটা দামের তুলনায় খুবই খারাপ। তখন সে সেলারকে মানে আমাকে অনেক অভিশাপ দেয় আমার সামনেই। তো তখন আমার খুব খারাপ লাগে। তাই কিভাবে কি করা যায় সেটা অনেক দিন ধরে ভাবছি উপায় পাচ্ছিনা।আমি এই ড্রেসগুলো  সেল করে যে টাকাটা পেয়েছি সেটা দিয়ে বোরখা কিনেছিলাম। ভাবছি তাকে এই বোরখাটা দিয়ে দিবো হাদিয়া। পরে ভাবলাম ওই টাকা দিয়ে তাকে কিছু কিনে দিবো। আসলে আমি এখনো বুঝতে পারছিনা আমার কি করা উচিত। এখন এটাও সম্ভব না যে তার কাছে সত্যিটা বলে মাফ চাওয়া। এইটা আরো ঝামেলা হবে মাফতো দিবেইনা উল্টো সবার কাছে গেয়ে বেরাবে। এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি যদি একটু বলে দিতেন অনেক উপকার হতো। যখনই আমি আমার বোরখাটা দেখি আমার মনে খুব অশান্তি লাগে। নিজেকে মনে হয় কি করলাম এইটা মনে হয় হারাম টাকার বোরখা। বোরখাটা আমি পরিওনা, রেখে দিয়েছি তার জন্য। ভাবছি তাকে দিয়ে দিবো।

1 Answer

0 votes
ago by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো  ব্যবসায় ধোকা দেয়া জায়েজ নেই,কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি স্পষ্ট আকারে বলে দিতে হবে।
যাতে সে ত্রুটি দেখে ক্রয় করতে চাইলে ক্রয় করবে,না চাইলে ক্রয় করবেনা।
কোনোভাবেই ধোকা দিয়ে বিক্রয় করা যাবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ بَاعَ مِنْ أَخِيهِ بَيْعًا فِيهِ عَيْبٌ إِلاَّ بَيَّنَهُ لَهُ " .

‘উকবা বিন ‘আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। অতএব কোন মুসলমানের পক্ষে তার ভাইয়ের কাছে পণ্যের ক্রটি বর্ণনা না করে তা বিক্রয় করা বৈধ নয়।
(ইবনে মাজাহ ২২৪৬)

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَكْحُولٍ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ بَاعَ عَيْبًا لَمْ يُبَيِّنْهُ لَمْ يَزَلْ فِي مَقْتٍ مِنَ اللَّهِ وَلَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تَلْعَنُهُ " .

নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পণ্যের ত্রুটি বর্ণনা না করে (বরং গোপন করে) বিক্রয় করে, সে সর্বদা আল্লাহর গজবের মধ্যে থাকে এবং ফেরেশতারা সব সময় তাকে অভিশাপ করতে থাকে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২৪৭)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) খাদ্যশস্যের একটি স্তূপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি স্তূপের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলেন, ফলে হাতের আঙুলগুলো ভিজে গেল। তিনি বলেন, হে স্তূপের মালিক! একি ব্যাপার? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এতে বৃষ্টির পানি পড়েছে। তিনি বলেন, সেগুলো তুমি স্তূপের ওপর রাখলে না কেন? তাহলে লোকেরা দেখে নিতে পারত। যে ধোঁকাবাজি করে সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম শরীফ)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সেই বোরখা বা সমপরিমাণ টাকা তাকে গিফট করতে পারেন,তাহলে এক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা বাকি থাকবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...