আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
শায়েখ আমি সৌদি আরব প্রবাসী।
আমার বিয়ে হয়েছে ছয় বছর আগে আমার ছয় বছরের সংসার। আমি তিন বছর আগে সৌদি আরবে আসছি তিন বছর আমার প্রবাস জীবন।
আমার বউয়ের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। কিন্তু এর মাঝে সে আমাকে লুকিয়ে অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।এটা সম্পর্কে আমি কখনোই কিছু জানতাম না । আমার বউয়ের সাথে কিন্তু আমার সেরকম কোন সমস্যা নেই সাংসারিক কোন সমস্যা নেই আমাদের। আমাদের অনেক সুখের একটা সংসার সে আমাকে অসম্ভব ভালোবাসতো এটা আমি মনে করতাম তাকে আমিও অসম্ভব ভালোবাসি।

কিন্তু গত ২৫সে জুলাই  সে আমাকে না জানিয়ে কোন কথা নাই বার্তা নাই সে তার বাবা মাকে অর্থের লোভ দেখিয়ে কাজী অফিসে নিয়ে গেছে। তার কাছে আমার অনেক টাকা ছিল।

তার বাবার পরিবারকে আমি অনেক সময় আর্থিকভাবে সবরকম সহযোগিতা করতাম।  কাজী অফিসে গিয়ে  অনেক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে  সে নোটিসে বলছে তাকে আমি তিন বছর ধরে তার কোন খরচের টাকা দিই না। তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই।

 কিন্তু এর পুরোটাই উল্টো আমি তিন বছর ধরে বিদেশ থেকে যা টাকা উপার্জন করছি সবটাই তাকে দিয়েছি। তার সাথে আমি প্রত্যেকদিন সবসময়ই ফোনে কথা বলি।
কিন্তু তার সাথে আমার মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো কথা বলতে গিয়ে কারণ তার কথা আর কাজের অনেক  অমিল হতো।  তার অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক সে আমার সাথে কখনো ভালো ব্যবহার বা ভালো আচরণ করত না। গত এক বছর ধরে
এখন সে কাজী অফিস থেকে ডিভোর্স ডিভোর্সের নোটিশ এবং ডিভোর্স নিয়ে আসছে যেখানে তার সাইন করা ছিল। এবং সে ওখানে এটা লেখা ছিল সে আমাকে  সজ্ঞানে  আমাকে  তালাক দিয়েছে আমার সাথে সংসার করতে চায় না। পরবর্তীতে সে বাড়িতে  এসে আমাকে এটার ফটো পাঠায় দেয়।
আমি এাটা দেখার পর  অনেকটাই ভেঙে পরি। এক পর্যায়ে আমি দেশে চলে আসি।  তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করি তার বাড়িতে আমি বারবার যাই আমার বাড়ির লোকজন বারবার তাদের বাড়িতে যায় তাদের বোঝানোর জন্য। কিন্তু তারা আমাদের  কোন কথা শোনে না।

  যে আমি তার সাথে সংসার করতে চাই।

আমি এই ডিভোর্স  মানি না কারণ আমি নিজের দিই নাই, আর আমি এটা কখনো দিবোনা।
তাকে অনেক জোরাজোরি করার পরে সে আমার মাথা ধরে কসম খায়। সে কালকে চলে আসবে আমার বাড়িতে সংসার করবে।

 কিন্তু ঐ দিনই সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় যে ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল এটা আমি আগে জানতাম না।
এটা আমি ওই দিনই জানতে পারি। এবং এটাও জানতে পারি তার পরিবারের লোকজন ওই ছেলে সম্পর্কে সব কিছুই জানতো।
এবং তারা অন্য কাজির  কাছে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে। এভাবে তারা এখন চার মাস সংসার করতেছে। তার কিছুদিন পর আমার বাড়ি থেকে আমাকে জোর করে বিয়ে করানোর জন্য রাজি করা হয়। এবং এক পর্যায়ে আমি বিয়েও করি।
এখন শায়খ আমার প্রশ্ন হচ্ছে
১-আমাদের কি ডিভোর্স হয়েছিল ইসলাম শরীয়া অনুযায়ী
২-এখানে কি আমি কোনোভাবে গুনাগার হচ্ছি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য
৩-এবং আমার আগের বউ সেও কি গোনাগার হচ্ছে?

এখানে আরেকটা বিষয় হচ্ছে প্রিয শায়েখ
তার পরিবার অন্য ছেলের সাথে তার সম্পর্ক সবটাই  জানতো।এটা কখনো আমাকে বলে নাই তারা সবটাই লুকিয়ে গেছে আমার পরিবার আর আমার কাছে। এবং তার মেয়ে পালায় যাওয়ার পরে  তারা তাদের মেয়ে জামাইকে মেনে নিয়েছে।

এখানে কি তারা গুনাগার হবে আর আল্লাহ শাস্তির মুখোমুখি হবে কিনা?

আর তাদের বিয়ে কি বোধ হবে কিনা দয়া করে বলবেন?

এখন আমি তাকে কোনভাবেই ভুলতে পারতেছি না। এখন আমার করণীয় কি যদি আমাকে একটু বোঝায় বলতেন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ- স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/52353


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাক প্রদান একমাত্র স্বামীর অধিকার। স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাক দিতে পারেনা। যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকেন, কাবিন নামায় এমনি এমনি স্ত্রী লিখিয়ে নেয় অথবা কাজী সাহেব নিজ পক্ষ থেকে এমনি এমনি লিখে দেন, তাহলে স্ত্রী কখনো (দিয়ানাতান) তালাকের অধিকার পাবে না। এমতাবস্থায় স্ত্রী তালাক দিলে সেই তালাক কার্যকর হবে না।

আপনার প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে,
(১) ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী আপনাদের ডিভোর্স কার্যকর হয়নি। তবে যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকেন, এবং সে তার নিজের উপর তালাক নেয়, তাহলে তালাক কার্ডকর হবে।
(২)এখানে আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য কোনোও ভাবে গুনাগার হবেন না। পুরুষ যে কোনো মুহূর্তে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে যদি তার সামর্থ্য থাকে।
(৩) আপনার আগের বউ সে গোনাগার হবে যদি তার তালাকের অধিকার না থাকে। তাছড়া তালাকের অধিকার থাকলেও তার গোনাহ হবে, কেননা সে বিনা জরুরত ও বিনা প্রয়োজনে তালাক গ্রহণ করেছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/468


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
শায়েখ তার দ্বিতীয় বিয়েটা কি বৈধ হয়েছে কিনা? এবং তারা কি গুনাগার হচ্ছে ? 
আমার বইয়ের বাবা মা কি এখানে গুনাগার হচ্ছে  এ বিষয়ে যদি আমাকে স্পষ্ট কিছু বলতেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...