ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।
সারমর্মঃ- স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/52353
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাক প্রদান একমাত্র স্বামীর অধিকার। স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাক দিতে পারেনা। যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকেন, কাবিন নামায় এমনি এমনি স্ত্রী লিখিয়ে নেয় অথবা কাজী সাহেব নিজ পক্ষ থেকে এমনি এমনি লিখে দেন, তাহলে স্ত্রী কখনো (দিয়ানাতান) তালাকের অধিকার পাবে না। এমতাবস্থায় স্ত্রী তালাক দিলে সেই তালাক কার্যকর হবে না।
আপনার প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে,
(১) ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী আপনাদের ডিভোর্স কার্যকর হয়নি। তবে যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকেন, এবং সে তার নিজের উপর তালাক নেয়, তাহলে তালাক কার্ডকর হবে।
(২)এখানে আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য কোনোও ভাবে গুনাগার হবেন না। পুরুষ যে কোনো মুহূর্তে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে যদি তার সামর্থ্য থাকে।
(৩) আপনার আগের বউ সে গোনাগার হবে যদি তার তালাকের অধিকার না থাকে। তাছড়া তালাকের অধিকার থাকলেও তার গোনাহ হবে, কেননা সে বিনা জরুরত ও বিনা প্রয়োজনে তালাক গ্রহণ করেছে।