আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
reshown by

আসসালামু আলাইকুম,মুহতারাম!

ঘটনা ১: ২০১৮/২০১৯ সালে একজন ইন্ডিয়ান ক্লায়েন্ট আমাকে আর্টিকেল লেখার কাজ দেয়। এর বিনিময়ে তিনি আমাকে কাজের পূর্বেই সম্ভব ২০০ বা ৪০০ রুপি গিফট কার্ডের মাধ্যমে আমাকে দেয়।
আমার সঠিক মনে নেই। আমি তখন বুঝতাম না...আমি ঐ টপিকে গুগলে সার্চ করে একটা আর্টিকেল পাই এবং ওটায় কপি করে উনাকে দেয়।
উনি সেটা ধরে ফেলেন এবং বলেন এটা দিয়ে আসলে হবে না। তারপরে কি ঘটেছিল আমার মনে নেই। তবে উনার সাথে আমার যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল তবে উনি কখনো টাকা চাই নাই আর আমিও দিতে পারি নাই কারণ ওটা দেওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। টাকা ফেরতের বিষয়ে কেউ কোন আলোচনাই করিনি বলে মনে পরে।
পরবর্তীতে উনি সম্ভব ওটা বাদ দিয়ে অন্য কিছুতে হেল্প চেয়েছিল কিনা মনে নাই! 

এরপরে  উনি কখনোই আর যোগাযোগ করেন নাই‌। যদিও আমার সেই টেলিগ্ৰাম একাউন্ট এখনো আছে।
তবে আমার কাছে উনার কোন কন্ট্রাক্ট ডিটেইল নাই।


(এক) যদিও কাজটা ঠিক ভাবে করা হয় নি এবং সেই বিষয়ে সে বলেছিল এবং আমিও স্বীকার করেছিলাম।কিন্তু সে টাকা ব্যাকও চাইনি। ফলে আমারো দেয়া হয়নি‌। এই বিষয়ে দুজনের মধ্যে কোন ঝামেলা হয়নি।সে টাকা চাইলে কোন একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতাম।
এক্ষেত্রে,আমি কি কোন ভাবে দ্বায়ী থাকবো?
আর সেই টাকার (২০০ বা ৪০০ রুপি) ভাগ সম্ভব আমি এবং আমার পার্টনারও নিয়েছিল। কিন্তু খরচ সম্ভব ঐ করেছিল আমি ২০ রুপি খরচ করছি বোধ হয়।আমার আসলে এই বিষয়ে ডিটেইল মনে নাই।

 

ঘটনা ২: আমার বাংলাদেশী ক্লায়েন্টকে আ্যপ বানিয়ে দিয়েছিলাম। সেই প্লে স্টোরে পাবলিশ করার জন্যে যেই গুগল প্লে কনসোল একাউন্ট প্রয়োজন ছিল। সে আমাকে দায়িত্ব দেয় একজন খুঁজে দিতে যে একাউন্ট করে দিবে।আমি এইরকম একজন খুঁজে বের করি কিন্তু সে টাকা মেরে দেয়। পরবর্তীতে আমার ক্লায়েন্টকে জানালে সে আমার প্রতি অভিযোগ রাখেনি তবে আমি ম্যানেজ করে তার আ্যপটা প্লে স্টোরে ফ্রিতে পাবলিশ করার ব্যবস্থা করে দি। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।
কিন্তু কিছুদিন পরে আ্যপ এড সংক্রান্ত কোন সমস্যা হয় সেটা উনার এড একাউন্টের জন্যে। উনি অভিযোগ জানান তবে পরবর্তীতে সেটা সমাধান হয়েছিল বোধহয়। কারণ আমার দায়িত্ব আমি পালন করেছিলাম। পরবর্তীতে যার একাউন্ট দিয়ে আ্যপ পাবলিশ করেছিলাম তার একাউন্ট ব্যান হয়ে যায় এবং ঐ আ্যপ ও ডিলিট হয়ে যায়‌। যেহেতু ঐ আ্যপ দিয়ে উনার কিছু হচ্ছিল না উনার একাউন্টের বা উনার তরফ থেকে কোন সমস্যার কারণে সেক্ষেত্রে উনি আর অভিযোগ জানাননি।

ঘটনা ৩: ঘটনা ২ এর বেশ কিছুদিন পরে ঐ ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেন এবং আমাকে একটা ই-কমার্স আ্যপ বানিয়ে দিতে বলেন। আমার তখন সেই রকম সক্ষমতা ছিল না তবুও শিখে করে দিব ভেবে কাজ নিলাম ১০০০০ টাকায বিনিময়ে। এরপরে উনি কাজের আগে ২০০০ টাকা এডভান্স করে দেন। আমরা কাজ শুরু করি।
কিন্তু সমস্যা হলো উনারা কিভাবে কি করবেন তার কোন ডিটেইল প্লান আমাদের দিয়েছিল না। কিছুদিন কাজ করার পর উনি কিছু ফিচারের কথা বলেন যা ঐ টাকায় বানানো সম্ভব না কাজেই আমি মূল্য বাড়াতে বলি এবং ১৪০০০ করতে বলি।উনি উনার ইনভেস্টেরের সাথে কথা বলে জানাবেন বলে (সম্ভবত) কিন্তু তারপরে কি হয় আমার সঠিক মনে নাই। তবে এটা হয়েছিল বোধহয়, উনার পক্ষে বাজেট আর বাড়ানো সম্ভব না এবং কাজ করতে পারছে না জানিয়েছিলেন কিন্তু উনি এডভান্সের টাকা ব্যাক চান নাই কারণ আমরা কাজ শুরু করে কিছুটা আগায় ছিলাম এবং তা উনাকে দেখিয়েও ছিলাম। 

উনি যা চাচ্ছিলেন তা ইন শা আল্লাহ আমরা বানিয়ে দিতে পারতাম পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও কিন্তু বাজেটের কারণে উনিই আগায় নাই এবং উনি বাজেট বাড়ানোর জন্য আমাকে কোন অভিযোগ ও করেননি।

(দুই) উপরোক্ত বিবেচনায় আমি কি কোন ভাবে দ্বায়ী থাকবো?
থাকার তো কথা না। কারণ উনি কোন অভিযোগ করে নাই এবং টাকা কখনো চায় ও নাই! আর কিছু হলেও কিছু করা সম্ভব না কারণ উনার কোন যোগাযোগের নাম্বার আমার কাছে নাই এবং আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে খুজেছি পাইনি!


 

ঘটনা ৪: ইন্ডিয়ান এক লোকের সাথে আমি কাজের বিনিময়ে ২৭০০ রুপির গুগল প্লে গিফট কার্ড নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা বাংলা টাকায় কনভার্ট করার কোন উপায় ছিলনা। একটা উপায় ছিল প্লে স্টোর থেকে কিছু কেনা।
তাই আমার যেসব বন্ধুরা তখন ফ্রি ফায়ার,পাবজি খেলত। তাদের গেমের জিনিস কেনার জন্যে আমি ঐ গিফট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করে দিতাম এবং বিনিময়ে তারা আমাকে ঐ রুপির সমপরিমাণ বাংলা টাকা দিত। এছাড়া কোন উপায়ও ছিলা না ঐ কাজের টাকা ক্যাশ করা।আর ঐ কাজটা সম্ভবত ছিল, অনলাইন গেম টুর্নামেন্টের(যেমন pubg, ফ্রী ফায়ার)।
আর আমি নিশ্চিত না... উনি সম্ভবত অ্যাপ বানানোর দায়িত্ব দিয়েছিল... তবে আমরা অনলাইনে ফ্রিতে বানানো অ্যাপ পেয়েছিলাম মানে আ্যপ আগে থেকেই বানানোই ছিল। আমরা শুধু আ্যপের সার্ভার, ডাটাবেজ কানেকশন আর নাম লোগো চেঞ্জ করে দিয়েছিলাম। উনাকে সব দেখিয়েছিলাম উনার কোন আপত্তি ছিল না
টুর্নামেন্ট বলতে যেমন হয় আরকি সবাই একটা ফি দিয়ে খেলবে যে জিতবে সে একটা টাকা পাবে আর ঐ প্লাটফর্মে একটা টাকা পাবে। তখন আসলে এত কিছু বুঝতাম না আর আমাদের কাজ ছিল অতটুকু সার্ভিস দেয়া! ওই অ্যাপের টুর্নামেন্টের টাকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ! সহজে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা!

(তিন) আমি যে পদ্ধতিতে টাকা ক্যাশ করেছি এতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা? আর ইনকাম হালাল ছিল কিনা?
যদি উক্ত ইনকাম সম্পর্কিত কোন সমস্যা হয়ে যায়, আমার পক্ষে টাকা দান করা সম্ভব না কারন আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই... তবে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অনেক আগে থেকেই এ ধরনের সন্দেহ বাচক কোন কাজ আমি কখনো করবো না ইন শা আল্লাহ! আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থী!

অনুগ্রহ করে আমাকে জবাব জানাবেন! আমি বর্তমানে কোন কাজ করি না...ইন্টারমিডিয়েটের স্টুডেন্ট! আমার অতীত জীবনে বেশ কিছু এরকম ভুল ছিল যা সংশোধনের জন্য আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে এবং এখন আমার ক্যাশ টাকা বলা যায় শূন্যের কোঠায়! ব্যক্তিগত কিছু টাকা ছিল যা আমি ধার দিয়ে রেখেছি এবং কবে পাবো জানিনা! আর উপরোক্ত বিষয়ে কারো টাকা আমি মারি নাই এবং গুরুতর কোন অন্যায় কাজ করিনি বলে আমার কাছে মনে হয়! কাজেই অর্থ প্রদান করে কোন কিছু করা বলা আমার জন্য তা কষ্টকর বলার থেকে অসম্ভব বলাই শ্রেয়! জাযাকাল্লাহু খাইরান!

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ؟» . قَالُوا: الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا. وَأَكَلَ مَالَ هَذَا. وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرح فِي النَّار» . رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, (প্রকৃত) গরীব কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ আমরা তো মনে করি, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধনদৌলত নেই, সে-ই গরীব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গরীব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে সালাত, সিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে; কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকেদেরকেও নিয়ে আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে; এমন ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলো দিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর যখন তার পুণ্য শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকি, তখন পাওনাদারদের গুনাহ তথা পাপ তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(মুসলিম ৫৯-(২৫৮১), তিরমিযী ২৪১৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৪৫, সহীহুল জামি‘ ৮৭, সহীহ আত্ তারগীব ২২২৩, শু‘আবুল ঈমান ৩৩, আহমাদ ৮০২৯, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৪১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪১১, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৫৬১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ২৭৭৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৮৩৮।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সেই ইন্ডিয়ান ক্লায়েন্ট আপনাকে যে ২০০ বা ৪০০ রুপি গিফট কার্ডের মাধ্যমে দিয়েছেন,সেটি তার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
অথবা ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

তার সাথে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পারলে সেক্ষেত্রে সেই টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

এখন দান করার সামর্থ না থাকলে নিয়ত রাখবেন,পরবর্তীতে সামর্থবান হওয়ার পর টাকা গুলি দান করে দিবেন।

(০২)
তিনি কাজের আগে আপনাকে যে ২০০০ টাকা এডভান্স করে দিয়েছেন,সেটি তার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। 

অথবা ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

তার সাথে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পারলে সেক্ষেত্রে সেই টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

এখন দান করার সামর্থ না থাকলে নিয়ত রাখবেন,পরবর্তীতে সামর্থবান হওয়ার পর টাকা গুলি দান করে দিবেন।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার হারাম কাজে সহযোগিতার গুনাহ হয়েছে।

এর জন্য খালেস দিলে তওবা আবশ্যক। 

এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান এক লোকের সাথে আপনি যে কাজের বিনিময়ে ২৭০০ রুপির গুগল প্লে গিফট কার্ড নিয়েছিলেন,কাজটি হালাল হয়ে হয়ে থাকলে আপনার উক্ত ইনকাম হালাল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
যদি উপরোক্ত যেকোনো টাকা দিতে হয় দান/দিতে হয় সেক্ষেত্রে কিভাবে দিব?
কেননা প্রতিটা ঘটনার প্রতিটা অর্থের ৫০% টাকার ভাগ আমার পার্টনার নিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত ও আমরা একসাথে নিয়েছি। আর সে সম্ভবত টাকা দিতে রাজি হবে না!
আর উপরোক্ত ঘটনার কোন ব্যক্তি কিন্তু কোন অভিযোগ জানাই নেই এবং কারো টাকা মারাও হয়নি। প্রথম ইন্ডিয়ান ঘটনার ক্ষেত্রে আমি দান করে দিতে পারি। কিন্তু দ্বিতীয় জনের ঘটনার ক্ষেত্রে, দান করে দেওয়া কথা তো আসে না কেননা সংক্ষেপে ঘটনাটা এরকম, 
পণ্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য তারা দিয়েছে... সে অনুযায়ী কাজের বাজেট দুজনের সম্মতিতে নির্ধারণ হয়েছে... নির্ধারিত বাজেটের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এডভান্স করেছে এবং আমরা কাজ শুরু করেছি... কাজ করার একপর্যায়ে পণ্যের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটেছে এবং আমরা বাজেট বাড়াতে বলেছি তখন ক্রেতার সাথে নতুন বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে ক্রেতার সক্ষমতা ছিল না বিধায় সে কোন দাবি-দাওয়া না করে কাজ আর আগায়নি! আর যেহেতু আমরা কাজ শুরু করে কিছুটা করেছিলাম তাই তারা এডভান্সের টাকা দাবিও করে নাই...!
by (573,870 points)
১ম ঘটনার ক্ষেত্রে আপনি বাকি ৫০% ফিরিয়ে দিবেন।

২য় ঘটনার ক্ষেত্রে টাকা ফেরত এর বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করাই উত্তম হবে বলে মনে করছি।
by (2 points)
মুহতারাম,
প্রথম ঘটনার ক্ষেত্রে আমি টাকা ফেরত দিয়া সম্ভব না কারণ যোগাযোগ করার কোন ওয়ে নেই সুতরাং দান করে দিব!
দ্বিতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে,
আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং তার কোন সচল কন্টাক্ট বের করতে সক্ষম হয়নি...যোগাযোগ করা সম্ভব হলে আমি বিষয়টি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন জানতে চাইতাম তবে  সেই সময় তার কোন অভিযোগ ছিল না এবং আমাদের মধ্যে কোন রকম কথা কাটাকাটি হয়েছিল না এবং তিনি রিপিট কাস্টমার ছিলেন সুতরাং আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় সেই অর্থের বিষয়ে তার কোন দাবি নেই কেননা  থাকলে সেই সময় জানানোই তো স্বাভাবিক বিষয় ছিল এবং আমি হালাল মনে করছি এই কারণে যে আমরা শুধু অ্যাডভান্স নিয়ে টাকা ফেরত দেইনি এমন না আমরা বেশ কয়েকদিন পরিশ্রম করে কাজ করেছি এবং সেই কাজ আমাদেরও পরবর্তীতে কোন কাজে লাগে নাই আর যেহেতু সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পূর্ণ কাজ না হলে নিয়ে বিশেষ লাভ হবে না এবং উনার বাজেট নাই তাই উনি টাকাও চাইনি এবং ওই কাজের ফাইলও চাইনি! মানে দেনা পাওনা নিয়ে কোন আলোচনায় তারা করেনি...

আশা করছি আমি বিষয়টা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি.... তবে আমি সব মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি... ইমেইল করেছি... যদি ভবিষ্যতে উনি রেসপন্স করে তাহলে আমি বিষয়টা উপস্থাপন করে ক্লিয়ার করে নিব! আপাতত অর্থ দান করার যৌক্তিকতা আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখছি না.... অনুগ্রহ করে আপনার মূল্যায়ন জানাবেন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...