আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আস্সালামু আলাইকুম ,
আমার বিয়ের প্রায় একবছর। বিয়ের একসপ্তাহ পর থেকে নানান কারণে আমার শশুর আমাদের দুইজনের মধ্যে এসে কথা বলেন। শাসন করেন। ওনি পারসোনাল বিষয় জানতে পর্যন্ত চান। আমার এই একবছরে সংসার জীবনে অনেক রাত দিন না ঘুমিয়ে কান্না করে করে কাটিয়েছি। আমি স্বামী হুকুম নিয়ে চলার চেষ্টা করি সব সময়। এটাও ওনার পছন্দ নয়৷ আমার স্বামী দেশে থাকেন না। ওনি চাই আমার সব বিষয় ওনার সাথে শেয়ার করতে।কিন্তু  আমি আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে ছোট বেলা থেকে চুপচাপ। এইসব কিছু নিয়ে সব সময় অশান্তি করে। ওনাকে নরমালি একটা বিষয় বললে জীবনেও শুনবেনা। ওনার মত করে চলতে হবে, খেতে হবে, ঘুমাতে হবে, মোট কথা সবই ওনার পছন্দ মত হওয়া চাই। আল্লাহর জমিনে ওনার কত নাফরমানী করে চলছি, আল্লাহর হুকুম পালন করে চলতে পারিনা ঠিকমত। সেখানে একজন মানুষের পছন্দে কিভাবে চলব।তাছাড়া বিয়ের শুরু থেকে আমি ওনার মত করে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু  তাও অশান্তি কমেনি।  আমার স্বামীকে সব সময় বললে, সে আমাকে ধৈর্য্যশীল হতে শিখায়। আমার আরো কষ্ট লাগে। বিবাহের আগের জীবনে যেই যেই বিষয়ে কষ্ট পাইনি শশুর সবগুলো বিষয়ে কষ্ট দিয়েছে।আমার ধৈর্য্য যেনো দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমি জবানে হেফাজনতের জন্য একদমই কথা কম বলি।শুধু চোখ দিয়ে পানি পরে। এর জন্য আমার ডাক্তার দেখাতে হয়েছে। কথা কম বলা নিয়ে অনেক অশান্তি করছে। আমি আসলে এত পরিবার অশান্তি দেখে বড় হয়নি। তারউপর আমার সাথে হচ্ছে । আমি কারো সাথে শেয়ার করতে পারিনা৷ বান্ধবী, ভাই,বোন, মা, বাবা কারো সাথেই না।একদম একা। আমি মনে করি আমার স্বামীকে যতটা ভালবাসি আমি। সে ও আমাকে আগলে রাখবে। আমার পাশে থাকবে।কিন্তু সে সব সময় চুপচাপ থাকে। গা বাচিঁয়ে চলে৷ তার কাছে এখন আর বলতে ইচ্ছে করেনা তাই বলিও না। আমার শশুর বার বার ক্ষমা চাই৷ আমি সব ভুলে যায়। এই এক বছরে যা বুঝলাম ক্ষমা চাওয়া ওনার একটা  নেশা। পরে আরো খারাপ আচরণ করে। ওনি যে বিষয়গুলো নিয়ে এমন আচরণ করে ঘরের অন্যরা ই বিরক্ত বলে,সারাদিন প্যাচায় খালি। কোন কথায় নরমাল ভাবে নিবেনা।
জানতে চাই,

১.আমরা প্রবাসীর বউরা স্বামী না থাকার পরেও শশুর বাড়ীতে এমন অপমান সহ্য করে,মানুষের প্রতি তিক্ততা বাড়িয়ে একসাথে থাকা কি খুব জরুরী। আমহ কয়দিন পর পর অসুস্থ হয়ে যায়। ওনাদের কি আমার উপর ১০০%হক রয়েছে। আমার সব বিষয়ে ওনাদের জানিয়ে করা বা অনুমতি নিয়ে নিয়ে চলার? স্বামী ত অনুমতি দিচ্ছেই

২. কাছে এই কঠিন পরিস্থিতির জন্য আগের গুনাহ মাফ চাওয়া যাবে।
৩.স্বামীকে যেহেতু কিছু বলিনা। আল্লার সাথে বেশি সময় কথা বলি। ভিতরে কষ্ট থেকে অনেক অভিযোগ চলে আসে৷ বলি আল্লাহ তোমার কাছে তোলা থাকল৷ সবাইকে তুমি একটা সীমানা দিয়েছো তারথেকে একচুল ও বাড়াবাড়ি করলে তুমি ক্ষমা করোনা।এর জন্য স্বামী প্রতি রাগ, অভিমান থেকে ঘৃণা জন্ম নিচ্ছে। তার পরিবার থেকে আমাকে রক্ষা করা দায়িত্ব তার আছে ত জানতে চাই? । আল্লাহর কাছে অভিযোগ দিচ্ছি৷ তা কি বদদোয়া হয়ে যাবে?

৪.  এত কিছুর পরে সে যে সব সময় চুপ থাকে। সে কি দায়িত্বহীনতার কাজ করছেনা৷ তার পরিবারকে বুঝানোর দায়িত্ব তার কি না?  এত জন্য সে গুনাহগার হবে?

৫. এত কিছুর পর আমি আমার স্বামীকে জানায় আমি এখানে থাকতে চাইনা। আমি পারবনা থাকতে৷ কিন্তু  সে তার পরিবার কে দেখার জন্য এখানেই রাখে৷ এতে কি গুনাহ হবে তার? আমি আসলেই থাকতে চাইনা৷ আমার মন উঠে গেছে। সারাদিন কাজ নিয়েও আমার কোন অভিযোগ নেই।মানসিক শান্তি পাইনা৷

উস্তাদ আমাকে সুন্দর পরামর্শ দিয়েন আপনার মূল্যমান সময় থেকে।আমার সত্যি বলার মতো কোন জায়গা নেই৷ আমার ধৈর্য্য যেনো আরো বাড়ে।আমি জানতে চাই  পরকালে এর প্রতিদান পাব ত আমি।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ও হক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। 

এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৬০৪)

قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )

স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

আরো জানুনঃ 

যেকোনো ক্ষেত্রেই চার মাসের বেশি বিদেশ অবস্থান স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।
এমনকি দেশেও যদি কেহ স্ত্রী হতে চার মাসের বেশি দূরে থাকে,সেক্ষেত্রেও এটি স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।

স্বামী-স্ত্রী সর্বদা কাছাকাছি থাকবে, এটাই শরিয়তে কাম্য।
তবে যদি কোনো প্রয়োজনে (যেমন, জেহাদে যাওয়া কিংবা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রবাসে যাওয়া) স্বামী দূরে কোথাও যায় তাহলে চার মাসের মধ্যে একবার হলেও স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে হবে।

কারণ নারীরা সাধারণত তাদের স্বামী থেকে চার মাস দূরে থাকতে পারে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,যায়দ বিন আলমাস (রহ.) বলেন,
‘এক রাতে হযরত উমর (রা.) জনগণের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেলেন। ঘরের ভিতর এক মহিলা কবিতা আবৃত্তি করছিল। যার অর্থ হলো,রজনী দীর্ঘ হয়েছে এবং তার এক পার্শ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমার প্রেমাস্পদ আমার কাছে নেই যে,তার সাথে আমি আমোদ-প্রমোদ করব। আল্লাহর শপথ! যদি এক আল্লাহর ভয় না থাকত তাহলে এ খাটের চার পাশ নড়ে উঠত।
যখন ভোর হলো হযরত উমর (রা.) রাতের কবিতা আবৃত্তিকারিণী মহিলাকে ডেকে আনার নির্দেশ দিলেন। মহিলা খলিফার দরবারে এসে উপস্থিত হলে হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কি গত রাতে এ-জাতীয় কবিতা আবৃত্তি করেছিলে? মহিলা বলল,হ্যাঁ।
উমর (রা.) বললেন কেন? উত্তরে মহিলা বলল,দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে রয়েছে। অথচ এমুহূর্তে তার নৈকট্য পাওয়া আমার একান্ত কাম্য ছিল,তার বিরহেই আমি এমনটি করেছি৷ হযরত উমর (রা.) এ কথা শুনে তখনই ঐ মহিলার স্বামীর নিকট ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়ে শাহী ফরমান প্রেরণ করলেন। এরপর তিনি তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে আমার মেয়ে! নারীরা তাদের স্বামী থেকে কতদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে? (প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার ইচ্ছা যদি না হত তবে আমি তোমার নিকট এরুপ প্রশ্ন করতাম না) তখন হাফসা (রা.) বললেন,মেয়েরা তাদের স্বামী থেকে চার মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে। এরপর থেকে হযরত উমর (রা.) চার মাস পরপর মুজাহিদ বাহিনীকে ফেরত নিয়ে আসতেন এবং নতুন বাহিনী পাঠিয়ে দিতেন।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২৫৯৪]

পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

শশুর শাশুড়ির সাথে থাকা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।আপনার জন্য আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর কতর্ব্য। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার স্বামীর  আলাদা বাসা নিয়ে থাকার সামর্থ থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার স্বামীর জন্য আলাদা বাসস্থানে ব্যবস্থা করা ওয়াজিব।
আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা না করলে তার গুনাহ হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি শ্বশুড়ির সাথে না থাকতে চান,আলাদা বাসায় থাকতে চান,সেক্ষেত্রে আপনি গুনাহগার হবেননা।
বরং এটা আপনার অধিকার। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
তাদের আপনার উপর কোনো হক নেই।
তাদের আদেশ মানা,তাদের অনুমতি নিয়ে কাজ করা কোনোটিই আপনার উপর আবশ্যক নয়।

স্বামী যেহেতু অনুমতি দিচ্ছেই,সুতরাং এক্ষেত্রে তাদের থেকে কোনো কাজে অনুমতি নেয়া আবশ্যক নয়।

(০২)
আপনার কোনো মাফ চাইতে হবেনা।

(০৩)
আপনি যেহেতু জুলুমের শিকার,সুতরাং মহান আল্লাহর কাছে আপনি এভাবে ফরিয়াদ জানালে এতে আপনার কোনো অপরাধ হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার স্বামী দায়িত্বহীনতার কাজ করছে। তার পরিবারকে বুঝানোর দায়িত্ব তারই। তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এর জন্য তিনি অবশ্যই গুনাহগার হবেন।

(০৫)
হ্যাঁ, এতে তার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
উস্তাদ,
এত ঝামেলা, এত এত কষ্ট যেহেতু বিয়ের আগে পাইনি। তাই মাঝে মাঝে বলি বিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জীবনে সব থেকে বড় ভুল ছিল। হালাল সম্পর্ক দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে
by
এই রকম বলা বা চিন্তা ভাবণা কিভাবে দূর করব?  এইগুলোর জন্য কি গুনাহ হবে। 
আর এখান থেকে পাওয়া কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে আগের গুনাহের মাফ চাওয়া যাবে?  বা আল্লাহ কি মাফ করবেন আগে গুনাহ গুলো
by (574,050 points)
হ্যাঁ মাফ চাওয়া যাবে।
আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...