আস্সালামু আলাইকুম ,
আমার বিয়ের প্রায় একবছর। বিয়ের একসপ্তাহ পর থেকে নানান কারণে আমার শশুর আমাদের দুইজনের মধ্যে এসে কথা বলেন। শাসন করেন। ওনি পারসোনাল বিষয় জানতে পর্যন্ত চান। আমার এই একবছরে সংসার জীবনে অনেক রাত দিন না ঘুমিয়ে কান্না করে করে কাটিয়েছি। আমি স্বামী হুকুম নিয়ে চলার চেষ্টা করি সব সময়। এটাও ওনার পছন্দ নয়৷ আমার স্বামী দেশে থাকেন না। ওনি চাই আমার সব বিষয় ওনার সাথে শেয়ার করতে।কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে ছোট বেলা থেকে চুপচাপ। এইসব কিছু নিয়ে সব সময় অশান্তি করে। ওনাকে নরমালি একটা বিষয় বললে জীবনেও শুনবেনা। ওনার মত করে চলতে হবে, খেতে হবে, ঘুমাতে হবে, মোট কথা সবই ওনার পছন্দ মত হওয়া চাই। আল্লাহর জমিনে ওনার কত নাফরমানী করে চলছি, আল্লাহর হুকুম পালন করে চলতে পারিনা ঠিকমত। সেখানে একজন মানুষের পছন্দে কিভাবে চলব।তাছাড়া বিয়ের শুরু থেকে আমি ওনার মত করে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাও অশান্তি কমেনি। আমার স্বামীকে সব সময় বললে, সে আমাকে ধৈর্য্যশীল হতে শিখায়। আমার আরো কষ্ট লাগে। বিবাহের আগের জীবনে যেই যেই বিষয়ে কষ্ট পাইনি শশুর সবগুলো বিষয়ে কষ্ট দিয়েছে।আমার ধৈর্য্য যেনো দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমি জবানে হেফাজনতের জন্য একদমই কথা কম বলি।শুধু চোখ দিয়ে পানি পরে। এর জন্য আমার ডাক্তার দেখাতে হয়েছে। কথা কম বলা নিয়ে অনেক অশান্তি করছে। আমি আসলে এত পরিবার অশান্তি দেখে বড় হয়নি। তারউপর আমার সাথে হচ্ছে । আমি কারো সাথে শেয়ার করতে পারিনা৷ বান্ধবী, ভাই,বোন, মা, বাবা কারো সাথেই না।একদম একা। আমি মনে করি আমার স্বামীকে যতটা ভালবাসি আমি। সে ও আমাকে আগলে রাখবে। আমার পাশে থাকবে।কিন্তু সে সব সময় চুপচাপ থাকে। গা বাচিঁয়ে চলে৷ তার কাছে এখন আর বলতে ইচ্ছে করেনা তাই বলিও না। আমার শশুর বার বার ক্ষমা চাই৷ আমি সব ভুলে যায়। এই এক বছরে যা বুঝলাম ক্ষমা চাওয়া ওনার একটা নেশা। পরে আরো খারাপ আচরণ করে। ওনি যে বিষয়গুলো নিয়ে এমন আচরণ করে ঘরের অন্যরা ই বিরক্ত বলে,সারাদিন প্যাচায় খালি। কোন কথায় নরমাল ভাবে নিবেনা।
জানতে চাই,
১.আমরা প্রবাসীর বউরা স্বামী না থাকার পরেও শশুর বাড়ীতে এমন অপমান সহ্য করে,মানুষের প্রতি তিক্ততা বাড়িয়ে একসাথে থাকা কি খুব জরুরী। আমহ কয়দিন পর পর অসুস্থ হয়ে যায়। ওনাদের কি আমার উপর ১০০%হক রয়েছে। আমার সব বিষয়ে ওনাদের জানিয়ে করা বা অনুমতি নিয়ে নিয়ে চলার? স্বামী ত অনুমতি দিচ্ছেই
২. কাছে এই কঠিন পরিস্থিতির জন্য আগের গুনাহ মাফ চাওয়া যাবে।
৩.স্বামীকে যেহেতু কিছু বলিনা। আল্লার সাথে বেশি সময় কথা বলি। ভিতরে কষ্ট থেকে অনেক অভিযোগ চলে আসে৷ বলি আল্লাহ তোমার কাছে তোলা থাকল৷ সবাইকে তুমি একটা সীমানা দিয়েছো তারথেকে একচুল ও বাড়াবাড়ি করলে তুমি ক্ষমা করোনা।এর জন্য স্বামী প্রতি রাগ, অভিমান থেকে ঘৃণা জন্ম নিচ্ছে। তার পরিবার থেকে আমাকে রক্ষা করা দায়িত্ব তার আছে ত জানতে চাই? । আল্লাহর কাছে অভিযোগ দিচ্ছি৷ তা কি বদদোয়া হয়ে যাবে?
৪. এত কিছুর পরে সে যে সব সময় চুপ থাকে। সে কি দায়িত্বহীনতার কাজ করছেনা৷ তার পরিবারকে বুঝানোর দায়িত্ব তার কি না? এত জন্য সে গুনাহগার হবে?
৫. এত কিছুর পর আমি আমার স্বামীকে জানায় আমি এখানে থাকতে চাইনা। আমি পারবনা থাকতে৷ কিন্তু সে তার পরিবার কে দেখার জন্য এখানেই রাখে৷ এতে কি গুনাহ হবে তার? আমি আসলেই থাকতে চাইনা৷ আমার মন উঠে গেছে। সারাদিন কাজ নিয়েও আমার কোন অভিযোগ নেই।মানসিক শান্তি পাইনা৷
উস্তাদ আমাকে সুন্দর পরামর্শ দিয়েন আপনার মূল্যমান সময় থেকে।আমার সত্যি বলার মতো কোন জায়গা নেই৷ আমার ধৈর্য্য যেনো আরো বাড়ে।আমি জানতে চাই পরকালে এর প্রতিদান পাব ত আমি।