আসসালামু আলাইকুম। মেয়ের বাবা-মা বেঁচে নেই। ওলি বলতে কেউ নেই, মেয়ে ওমরাহর সুবাদে মদিনাতে এক বিপদগ্রস্ত এক ভিনদেশী নারীকে সাহায্য করেন, সেই জের ধরে ঐ আন্টির ভাগ্না ভাগ্নিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। মেয়েটি ওমরাহর থেকে এসে নিয়ত করেন ভালো কোন ছেলে পেলে বিয়ে করে নিবেন যেহেতু একাকীত্ব ফিল করেন, কারণ তাঁর বান্ধবীরাও বিয়ে করে ব্যাস্ত হয়ে গেছে, কথা বলার মত ও কেউ নেই । পরিচয়ের জের ধরে ছেলের ভালো মন্দ বুঝার উদ্দেশ্যে কথা বলেন। পরবর্তী তে বিয়ে হয়, কিন্তু বিয়ের পরবর্তী জানতে পারে ছেলের চরিত্র ভালো না, আগে বুঝতে পারেননি কিছুতেই। বিয়ের দশদিন পর ছেলের গার্লফ্রেন্ডের বিষয় নিয়ে স্ত্রী আপত্তি জানালে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। সে-ই থেকে প্রায় সময় কথা হলেই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। ( বলা বাহুল্য, উনারা দুইজন দুই দেশে থাকেন, ছেলে অকর্মা, অলস, কুড়ে বাবা মায়ের সাথেই থাকেন। মেয়েকে এখনো নিয়েই যাননি তাদের বাড়িতে, মেয়েকে কোন ভরণপোষণের দায়িত্ব ও ছেলে পালন করেননি) ছেলেটা কথায় কথায় প্রায় সময় আকারে ইঙ্গিতে তালাকের কথা বলে। স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে তালাকের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। কথার ফাঁকে ছেলে বলেন ( মা কালীর দিব্যি)। মেয়েটা আল্লাহকে খুব পায়, মেয়েটা জানত মুসলিম এবং কাফির বা মুশরিকের বিয়ে অটো বাতিল হয়ে যায় সেটা তাঁর স্বামীকে জানায়, এবং এধরণের কথা বলতে নিষেধ করে। ছেলে টা উল্টো চটে গিয়ে ব'লে আমি হিন্দু আমি হিন্দু আমি হিন্দু - এখন তুমি কোন মুফতির কাছ থেকে ফতোয়া এনে দিতে পার দেখি- আমি মুসলিম নেই সেটার প্রমাণ কর।
জানতে চাচ্ছি - এদের বিয়ে কি হালাল অবস্থানে আছে? বা ছেলেটা কি মুসলিম হিসেবে আছে না-কি ধর্ম চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?
[বি. দ্র. মেয়েটা আগে অনেক দ্বীনদার পরহেজগার ছিলেন, এখন দিনকে দিন গাফেল হয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ও ভয় পাচ্ছে মেয়েটা, জীবন বাঁচাবে না দ্বীন বাঁচাবে না ইজ্জত বাঁচাবে। মরে যাওয়া টা-ই একমাত্র সমাধান মনে করে- কারণ, বিয়ে করে উল্টো সুখুন নষ্ট হয়ে গেছে, মেয়েটি মানসিকভাবে শান্তিতে নেই, আল্লাহর কাছ থেকে ও দূরে ছিটকে পড়ার ভয় করছে ]
এখন মেয়েটার কি করা উচিত?