আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১ম তালাকের দেওয়ার পর ইদ্দত পালন হয়েছে।২য় বিয়ে হয় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর বন্ধুর সাথে। বিয়ের আগে চুক্তি হয়নি।প্রশ্ন হলো ২য় স্বামীর সাথে মাত্র ১ মিনিটের মত বা তার কম সহবাস হয়।লিংগের আকার তেমন পরিবর্তন হয়নি, লিংগ শক্ত হয়নি তাই ভিতরে গেছে কিনা মেয়ে বলতে পারে না।মেয়ে ২ বাচ্চার মা ।বীর্য বের হয়ছে।সহবাসের পরেইই স্ত্রী ভাবছেন যে ছেলেটি অক্ষম কিনা।মেয়েটি বলতাছে ভিতরে গেছে কিনা জানেনা কিন্তু গোপন স্থানে লিংগ স্পর্শ হয়ছে। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে না করে সে অক্ষম না।ছেলেটি বলে ১ম এবং সে নাকি কিছুটা নার্ভাস ছিল। সেই ছেলে তালাক দিয়ে দেয়।এখন আবার ইদ্দত পালনের পর ১ম স্বামীর জন্য জায়েজ হবে? ১ মিনিট তার কম সহবাসে সমস্যা হবে? ছেলের বয়স ২৫ বছর এবং অবিবাহিত ছিল।১ম স্বামীর জন্য কি বৈধ হবে?দয়া করে উত্তর দিন। ২ দিন ধরে দুই ফ্যামিলি এইটা নিয়ে চিন্তায় আছি। এই বিষয়ে আর প্রশ্ন করব না।যদি ১ম স্বামীর সাথে জায়েজ না হয় পরবর্তীতে কিভাবে সমধান হবে এইটাও বলে দিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (719,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে হালাল হওয়ার শর্তে বিয়ে করা হয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে  বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে। তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/64436

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عن أَبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ النَبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( إِذَا جَلَسَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ ثُمَّ جَهَدَهَا فَقَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْغُسْلُ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সঙ্গত হলে, গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। (সহীহ বোখারী-২৯১,সহীহ মুসলিম-৫২৫)

وقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( إِذَا جَلَسَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ وَمَسَّ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ )
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন পুরুষ স্ত্রীর চার হাত-পায়ের মাঝখানে বসবে এবং একের লজ্জাস্থান অপরের লজ্জাস্থানের সাথে স্পর্শ করবে তখন গোসল ফরয হবে।(সহীহ মুসলিম-৬৭৮)

ইমাম নববী মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ আল মিনহাজে লিখেন,
قال النووي في "شرح مسلم" :
" قَوْله صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَمَسَّ الْخِتَانُ الْخِتَانَ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْل ) قَالَ الْعُلَمَاء : مَعْنَاهُ غَيَّبْت ذَكَرَك فِي فَرْجهَا ، وَلَيْسَ الْمُرَاد حَقِيقَة الْمَسِّ ، وَذَلِكَ أَنَّ خِتَان الْمَرْأَة فِي أَعْلَى الْفَرْج ، وَلا يَمَسّهُ الذَّكَر فِي الْجِمَاع , وَقَدْ أَجْمَعَ الْعُلَمَاء عَلَى أَنَّهُ لَوْ وَضَعَ ذَكَرَهُ عَلَى خِتَانهَا وَلَمْ يُولِجْهُ (يُدخله) لَمْ يَجِب الْغُسْل , لا عَلَيْهِ وَلا عَلَيْهَا , فَدَلَّ عَلَى أَنَّ الْمُرَاد مَا ذَكَرْنَاهُ . وَالْمُرَاد بِالْمُمَاسَّةِ : الْمُحَاذَاة , وَكَذَلِكَ الرِّوَايَة الأُخْرَى : ( إِذَا اِلْتَقَى الْخِتَانَانِ ) أَيْ : تَحَاذَيَا " انتهى .
মর্মার্থ, সহবাস হল, পুরুষাঙ্গকে যোনীপথে প্রবেশ করানো।প্রবেশ করালেই কেবল সহবাস হিসেবে বিবেচিত হবে এবং গোসল ফরয হবে।নতুবা গোসল ফরয হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি দ্বিতীয় স্বামীর লিঙ্গের গোল মাথাটুকু যোনীপথে প্রবেশ করে নেয়,চায় এক দুই সেকেন্ডের জন্যই হোক না কেন? তাহলে সেটা সহবাস হিসেবে বিবেচিত হবে।এবং ঐ নারী তার পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,360 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...