ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। সুতরাং তালাকের অপছন্দকারী ব্যক্তির তালাক শব্দ বলার দ্বারা তালাক হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) খালওয়াতে সহীহার পূর্বে, স্বামী স্ত্রী দুজন দূরে থাকাবস্থায় যদি মেসেজে মুযাকারায়ে। তালাকের সময় বলে,
"তুই আমার সামনে আসবিনা কখনো।" কিংবা " আর আমার সামনে আসবিনা।সামনে আসলেই তালাক.."
এটা শর্তযুক্ত তালাক হিসেবে বিবেচবত হবে। সামনে আসলেই তালাক হয়ে যাবে।
(২) আর যদি কোনো তালাকের মজলিশ ছাড়াই নিয়ত ছাড়াই বলে,
"তুমি অনেক ভাল মেয়ে কিন্তু তোমাকে আমার ঘর করতে হবে না।"
এটা কেনায়া তালাক বাক্য হবে, তালাকের নিয়ত থাকলে তো তালাক হব , নতুবা তালাক হবে না।