আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,887 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
edited by
কোন এলাকায়  যদি দেখা যায় যারা আছে তাদের থেকে যে নাবালেগ তার তিলয়াত শুদ্ধ তাহলে তাকে দিয়ে ফরজ নামাজ  এর ইমামতি করলে কি নামাজ হবে?

কারন আমি একটা হাদিস পরেছি

আমর ইবনে সালমান রাঃ বলেন আমার রা রাসুল সা এর যুগে ৭ বছর বয়সে ইমামতি করেন।

২ - যোগ্যতার ভিত্তিতে যদি বালেক থেকে নাবালেগ বেশি যোহ্য হয় শরিয়তের মাসলা আর তেলয়াতে তাহলে?

৩ স্বামী স্ত্রী ডিভোর্স না হয়ে যদি তাদের মন মান্নিলোর জন্য যদি তারা কয়েক বছর সম্পুর্ন আলাদা থাকে তাহলে কি তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কে বিদমান থাকে?

৪ জুনাইনা নূর রুকাইয়া নামটা কি ভাল নাম? এর অর্থ কি

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নাবালেগের ইমামতি সহীহ নয়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
উমর বিন আবদুল আযীয ও আতা রাহ. বলেন, নাবালেগ ছেলে যেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে ইমামতি না করে। ফরয নামাযেও নয়, অন্য নামাযেও নয়।

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৫২৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ১/৫৭৭)

الاختيار لتعليل المختار (1/ 58):
"قال: (ولاتجوز إمامة النساء والصبيان للرجال) أما النساء فلقوله عليه الصلاة والسلام: «أخروهنّ من حيث أخرهنّ الله»، وإنه نهي عن التقديم. وأما الصبيّ فلأنّ صلاته تقع نفلاً فلايجوز الاقتداء به، وقيل: يجوز في التراويح؛ لأنها ليست بفرض، والصحيح الأول؛ لأنّ نفله أضعف من نفل البالغ فلايبتنى عليه".
সারমর্মঃ যেহেতু নাবালেগের নামাজ নফল হবে,(কারন নামাজ তার উপর ফরজ নয়)
তাই তাই তার ইকতেদা করা জায়েজ নেই ।
  
الفتاوى الهندية (1/ 85) :
"وإمامة الصبي المراهق لصبيان مثله يجوز، كذا في الخلاصة ... المختار أنه لايجوز في الصلوات كلها، كذا في الهداية وهو الأصح. هكذا في المحيط وهو قول العامة وهو ظاهر الرواية. هكذا في البحر الرائق".

সারমর্মঃ গ্রহণযোগ্য মত হলো কোনো নামাজেই নাবালেগ এর ইমামতি জায়েজ নেই।  

ولایصح اقتداء رجل بامرأة وخنثی وصبي مطلقاً ولو في جنازة ونفل علی الأصح (درمختار مع الشامی: ۲/۳۲۱، ط: زکریا)۔

সারমর্মঃ মহিলা,হিজড়া,এবং নাবালেগের ইক্তেদা করা জায়েজ নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ হবেনা,উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় হয়ে হবে।
,
الموسوعة الفقهية" (6/203-204(:
" جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ ( الْحَنَفِيَّةُ وَالْمَالِكِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ ) عَلَى أَنَّهُ يُشْتَرَطُ لِصِحَّةِ الإْمَامَةِ فِي صَلاَةِ الْفَرْضِ أَنْ يَكُونَ الإِمَامُ بَالِغًا ، فَلاَ تَصِحُّ إِمَامَةُ مُمَيِّزٍ لِبَالِغٍ فِي فَرْضٍ عِنْدَهُمْ ؛ لأِنّها حَال كَمَالٍ وَالصَّبِيُّ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهَا ، وَلأِنَّ الإِمَامَ ضَامِنٌ وَلَيْسَ هُوَ مِنْ أَهْل الضَّمَانِ ، وَلأِنَّهُ لاَ يُؤْمَنُ مَعَهُ الإْخْلاَل بِالْقِرَاءَةِ حَال السِّرِّ .
أَمَّا فِي غَيْرِ الْفَرْضِ كَصَلاَةِ الْكُسُوفِ أَوِ التَّرَاوِيحِ : فَتَصِحُّ إِمَامَةُ الْمُمَيِّزِ لِلْبَالِغِ عِنْدَ جُمْهُورِ الْفُقَهَاءِ ( الْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ وَبَعْضِ الْحَنَفِيَّةِ ) لأِنَّهُ لاَ يَلْزَمُ مِنْهَا بِنَاءُ الْقَوِيِّ عَلَى الضَّعِيفِ .
وَالْمُخْتَارُ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ عَدَمُ جَوَازِ إِمَامَةِ الْمُمَيِّزِ لِلْبَالِغِ مُطْلَقًا ، سَوَاءٌ أَكَانَتْ فِي الْفَرَائِضِ أَمْ فِي النَّوَافِل .
وَلَمْ يَشْتَرِطِ الشَّافِعِيَّةُ فِي الإْمَامِ أَنْ يَكُونَ بَالِغًا ، فَتَصِحُّ إِمَامَةُ الْمُمَيِّزِ لِلْبَالِغِ عِنْدَهُمْ مُطْلَقًا ، سَوَاءٌ أَكَانَتْ فِي الْفَرَائِضِ أَمِ النَّوَافِل ، لِحَدِيثِ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ أَنَّهُ كَانَ يَؤُمُّ قَوْمَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ سِتِّ أَوْ سَبْعِ سِنِينَ ، لَكِنَّهُمْ قَالُوا : الْبَالِغُ أَوْلَى مِنَ الصَّبِيِّ ، وَإِنْ كَانَ الصَّبِيُّ أَقْرَأَ أَوْ أَفْقَهَ ، لِصِحَّةِ الاِقْتِدَاءِ بِالْبَالِغِ بِالإْجْمَاعِ ، وَلِهَذَا نَصَّ فِي الْبُوَيْطِيِّ عَلَى كَرَاهَةِ الاِقْتِدَاءِ بِالصَّبِيِّ .
أَمَّا إِمَامَةُ الْمُمَيِّزِ لِمِثْلِهِ فَجَائِزَةٌ فِي الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ وَغَيْرِهَا عِنْدَ جَمِيعِ الْفُقَهَاءِ .
সারমর্মঃ
 নাবালেগের পিছনে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
ইমাম আবু হানিফা রহঃ, ইমাম মালেক রহঃ, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর নিকটে ফরজ নামাজের ভিতর এটি কোনোভাবেই জায়েজ নেই।,,,,
ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মত হলো যদি সে তমিয কারী তথা তার যদি ভালো মন্দের পার্থক্যের মতো জ্ঞান থাকে,নামাজের মাসয়ালা মাসায়েল জানা থাকে,তাহলে তার পিছনে নামাজ জায়েজ আছে।
,
কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ৭ বছর বয়সী ইমামের পিছনে নামাজ পড়া জায়েয আছে। 
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।             

(০২)      
 যোগ্যতার ভিত্তিতে যদি বালেগ থেকে নাবালেগ বেশি যোগ্য হয়,তাহলেও নাবালেগের পিছনে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
,
বালেগ  ব্যাক্তিই নামাজ পড়াবে।
,
(০৩)
যদি তারা তালাক না দিয়ে থাকে,তাহলে তাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে।  
,
(০৪)
جُنَيْنَة ج جُنَيْنَات، جَنَائِن [جنن]
[জুনাইনাহ] শব্দের অর্থঃ  
ছোট বাগান,বাগিচা।
,
نُور ج أَنْوَار
[নূর] শব্দের অর্থঃ  
আলো,আলোক,উজ্জ্বলতা,কিরণ,জ্যোতি,প্রদীপ,বাতি।
,
রুকাইয়া শব্দের অর্থ উদীয়মান,মহিমান্বিত,রাসুলুল্লাহ সাঃ এর এক মেয়ের নাম।

رُقْيَة ج رُقَى
[রুক্ইয়াহ] শব্দের অর্থঃ  
মন্ত্র,ঝাড়ফুঁক,সম্মোহন,যাদু,তাবিজ,কবচ।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত নাম ভালো।
এ নাম রাখতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...