بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/35276/ নং ফাতওয়াতে
উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ
الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ
فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ
دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ
وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ
عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের
সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে
না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর
তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯. (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০,
ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
যখন কোন মানুষ কারো সম্পদ
নষ্ট করে বা চুরি করে এবং তার পক্ষে তাকে জানানো কঠিন হয়ে যায় কিংবা জানালে সংকট আরও
বাড়ার আশংকা থাকে; যেমন— তাদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট
হওয়া; সেক্ষেত্রে জানানোটা আবশ্যকীয় নয়। বরং সম্ভাব্য যে কোন পদ্ধতিতে
তাকে সম্পদটা ফিরিয়ে দিবে; যেমন তার একাউন্টে জমা
করে দেওয়া কিংবা এমন কাউকে দেওয়া যে তার কাছে পৌঁছিয়ে দিবে কিংবা এ ধরণের অন্য কোন
মাধ্যমে।
প্রশ্নকারী
প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে
চুরিকৃত টাকা যেকোন ভাবে মূল মালিকের নিকট ফিরেই দেওয়াই ঐ ব্যক্তির কর্তব্য। অতএব আপনার বর্ণনানুপাতে উক্ত টাকা সেই স্যারেরই হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
রয়েছে। সুতরাং সেই স্যারকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে
স্যারের থেকে কনফার্ম হওয়া যেতে পারে এবং এটিই অধিকতর শ্রেয় যদি কোন ফেতনা হওয়ার আশংকা
না থাকে। অন্যথায় স্যারকে ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতা মূলক ভাবে মূল মালিকের
পক্ষ থেকে সদাকা করবে। যদি মালিক স্যারই হয়ে থাকে তাহলে এই দানকৃত টাকার সাওয়াব
দাতা নিজেই পাবে ইনশাআল্লাহ। আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/3516/
২. সেই স্যার আপ্রাণ খোঁজার চেষ্টা করবে।
কোন ভাবেই যদি তাকে না পাওয়া যায় তাহলে তার পক্ষ থেকে সদকা করবে। তবে পরবর্তীতে কখনো
দেখা হলে তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দিবে।
৩. ঢালাও ভাবে সদকা করলেই
হবে না। বরং প্রাথমিক ভাবে মূল মালিকের সন্ধানে চেষ্টা করতে হবে।