ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/47614/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে হারাম,কবীরাহ গুনাহ। এটি তওবা না করলে মাফ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مَنِ اسْتَمَعَ اِلٰی قَیْنَةٍ صُبَّ فِیْ
اُذُنَیْهِ الْاٰنُكُ یَوْمَ الْقِیَامَةِ ‘
যে ব্যাক্তি গায়িকা মহিলার আওয়াজ শুনবে,
কিয়ামতের দিন তার কানে শিশা গলিয়ে ঢেলে দেয়া হবে।
اَلْغِنَائُ یَنْبِتُ الْنِّفَاقَ فِی
الْقَلْبِ کَمَا یُنْبِتُ الْمَاءُ الْبَقْلَ۔‘ (السنن الکبری للبیهقی،رقم:۲۱۰۰۸، سنن ابی داؤد،بَابُ کَرَاهِیَةِ الْغِنَاء ِ وَالزَّمْرِ،رقم:۴۹۲۷)
রাসুল সাঃ বলেন
গান বাজনা কলবে নিফাক সৃষ্টি করে,যেমনভাবে পানি শষ্য উৎপাদন করে।
আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ﷺ نَهَى عَنِ الْخَمْرِ
وَالْمَيْسِرِ وَالْكُوبَةِ وَالْغُبَيْرَاءِ وَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ
রাসূলুল্লাহ ﷺ শরাব পান
করতে, জুয়া খেলতে, ঢোল বা তবলা বাজাতে এবং ঘরের তৈরী শরাব
পান করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম।
(আবু দাউদ ৩৬৪৪)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/41579/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
২য় ধারণাটি ঠিক আছে। তবে প্রথম বিষয়টির ক্ষেত্রে
মনে রাখা উচিত যে, গান গাওয়া কবীরা গুনাহ। তবে যদি তালাকে সরিহ এর অন্তর্ভূক্ত হয় এবং
গান হিসেবে না গেয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্য করেই উক্ত বাক্য প্রয়োগ করে
থাকে তাহলে তালাক পতিত হবে। অন্যথায় তালাক পতিত হবে না।