আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
১)গান শুনা যে হারাম তা আমরা জানি
কিন্তু আজকালের হিন্দি গান গুলোর কিছু কিছু গানের লাইনে স্পষ্ট কুফরি কথা আছে। কেউ যদি তা শুনে, আর তার অনুকরনে গাইতে গাইতে সেই কুফরি লাইনও উচ্চারণ করে তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?
২) হিন্দি ইংরেজি যে-ই গান ই হোক,  গান শুনতে গেলে মনে হয় এই গানে কোন কুফরি বাক্য আছে কিনা।
ক) কেউ যদি অনেক গান শুনে তাহলে তাকে কিভাবে এই অভ্যাস দূর করতে উৎসাহ দিব?
খ)
যেহেতু গান শুনতে গেলে আমার মনে এসব চিন্তা (কুফরি লাইনের) আসে তাই আমি সতর্কতার জন্য গান শুনতে চাই না। আমি কি এই নিয়তে গান ছেড়ে দিব-
" গান শুনা হারাম। বর্তমানে গান গুলোতে কুফরি লাইন ব্যবহার করা হয় তাই সতর্কতার জন্য গান ছেড়ে দিলাম।"

৩) টিভির সিরিয়াল দেখলে মনে হউ যে এগুলো ইলুমিনাতির কিনা। তাহলে বাদ দিয়ে দিব?
৪) ইলুমিনাতি সম্পর্কে আপনারা কিছু জানেন?

৫) বিগত কিছুদিন যাবত কোনো কোনো কথা বা কাজের ফলে ইমান নিয়ে সন্দেহ হয়েছে।এখন যদি সবগুলো একসাথে প্রশ্ন করি তাহলে অনেক্ষন লাগবে। তাই জানতে চাচ্ছিলাম এখন সতর্কতার জন্য কালিমা শাহাদাত পড়ে ফেলব কিনা আর পরে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করব কিনা?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে হারাম,কবীরাহ গুনাহ।      
এটি কোনোভাবেই তওবা না করলে মাফ হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ইবনে আসাকির হযরত আনাস রাঃ সূত্রে বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন

من استمع قينة صب في أذنيه الآنك يوم القيامة)(ضعیف الجامع الصغیر للالبانی حدیث:4510 والضعیفه حديث:4549

যে ব্যক্তি কোন গায়কের নিকট বসে গান শুনলো, কিয়ামতের দিন  আল্লাহ্ পাক তার কানে গলিত সীসা ঢেলে দিবেন।
(যয়ীফুল জামিউস সাগির লিল আলবানী ৪৫১০)
,
اَلْغِنَائُ یَنْبِتُ الْنِّفَاقَ فِی الْقَلْبِ کَمَا یُنْبِتُ الْمَاءُ الْبَقْلَ۔‘ (السنن الکبری للبیهقی،رقم:۲۱۰۰۸، سنن ابی داؤد،بَابُ کَرَاهِیَةِ الْغِنَاء ِ وَالزَّمْرِ،رقم:۴۹۲۷)

রাসুল সাঃ বলেন  গান বাজনা কলবে নিফাক সৃষ্টি করে,যেমনভাবে পানি শষ্য উৎপাদন করে।

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ﷺ نَهَى عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَالْكُوبَةِ وَالْغُبَيْرَاءِ وَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ

রাসূলুল্লাহ ﷺ শরাব পান করতে, জুয়া খেলতে, ঢোল বা তবলা বাজাতে এবং ঘরের তৈরী শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম। (আবু দাউদ ৩৬৪৪)

আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِذَا اتُّخِذَ الْفَئُْ دُوَلاً، وَالأَمَانَةُ مَغْنَماً، والزَّكَاةُ مَغْرَماً، وَتُعُلَّمَ الْعِلْمُ لِغَيْر الدِّين، وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ، وَعَقَّ أُمَّهُ، وأَدْنَى صَدِيقَهُ، وأُقْصَى أبَاهُ، وظَهَرَتِ الأصْوَاتُ فى المسَاجدِ، وسَادَ الْقَبيلَةَ فَاسِقُهُمْ، وَكانَ زَعِيمَ الْقَوْمِ أَرْذَلُهُمْ، وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مخَافَةَ شَرِّهِ، وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالمَعَازِفُ، وشُرِبَتِ الْخَمْرُ، وَلَعَنَ آخِرُ هذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلهَا، فَلْيَرْ تَقِبُوا عِنْدَ ذلِكَ رِيحاً حَمْرَاءَ، وَزَلْزَلَةً وَخَسْفاً، وَمَسْخاً، وَقَذفاً، وآيَاتٍ تتابع كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ

গনীমত সম্পদ যখন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে গণ্য করা হবে, যাকাত হবে জরিমানা বলে, দ্বীনী উদ্দেশ্য ছাড়া ইলম অর্জন করা হবে, পুরুষরা স্ত্রীদের আনুগত্য করবে, এবং মা‘দের অবাধ্য হবে, বন্ধুদের নিকট করবে আর পিতাকে করবে দূর, মসজিদে শোরগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হয়ে বসবে, নিকৃষ্ট লোকেরা সমাজের নেতা হবে, অনিষ্টের আশংকায় একজনকে সম্মান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান দেখা দিবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি, পাথর বর্ষণের আযাবের এবং আরো আলামতের যা পরপর নিপতিত হতে থাকবে, যেমন একটি পুরান হারের সূতা ছিড়ে গেলে একটার পর একটা দানা পড়তে থাকে। (তিরমিযী ২২১৪)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
অন্তরে ঈমান আকীদা ঠিক রেখে এভাবে শুধু উচ্চারণ করলেই কেহ কাফের হয়ে যাবেনা।

(০২)
ক, উক্ত হাদীস গুলি শুনাতে হবে।

খ, মূল কথা গান শোনা ছেড়ে দিতে হবে।
এখন আপনি যদি এই নিয়তেও ছেড়ে দেন,তবেও হবে।
মূল কথা হলো ছেড়ে দিতেই হবে।

(০৩)
টিভি সিরিয়াল দেখা উলামায়ে কেরামগন নাজায়েজ বলেছেন।
সুতরাং দেখার কোনো সুযোগ নেই।

(০৪)
ইলুমিনাতি
গুপ্ত সংঘঠন

ঐতিহাসিক নাম ব্যাভারীয় ইলুমিনাতি, একটি গুপ্ত সংগঠন। ১৭৭৬ সালের ১ মে জার্মানির ব্যাভারিয়াতে আডাম ভাইসহাউপ্ট কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল কুসংস্কার, অস্পষ্টতা, জনজীবনে ধর্মীয় প্রভাব এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরোধিতা করা। তারা তাদের সাধারণ বিধিতে লিখেছিল, "অন্যায়ের প্রবর্তকদের ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটানো, তাদের উপর কর্তৃত্ব না করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা।"

(সুত্রঃ উইকিপিডিয়া)

(০৫)
সতর্কতার জন্য কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করুন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...