ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/85055/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
মহান
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ
اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا
اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না;
কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ
এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ
أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ :
«أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ
مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ
فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া
কারো জন্য হালাল নয়। (আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ
আল জামি‘ ৭৬৬২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিবাহ ঠিক হওয়ার পর বিয়ের আগ মুহুর্তে মেয়েকে ছেলে পক্ষের
থেকে যে বিয়ের শাড়ি, কসমেটিকস, জুতা,
সালওয়ার কামিজ ইত্যাদি দেয়া,
এটা যদি ছেলে পক্ষ সন্তুষ্টি চিত্তে দেয়,মেয়ে পক্ষের চাপ বা সামাজিক চাপ বা প্রথাগত
কারনে না দেয়,বরং
আন্তরিক ভাবে সন্তুষ্টি চিত্তেই দেয়,তাহলে তাহা গ্রহন জায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ও অতিরঞ্জিত,অপ্রয়োজনীয় বিষয় গুলি অপচয়ের শামিল হবে।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/3824/
★মাসনূন বিবাহ সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর হবে। যা অপচয়,
অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি, গানবাদ্য, ভিডিও-অডিওমুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থ্যের
অধিক মোহরানার শর্ত থাকবে না। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
إِنَّ
الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ
لِرَبِّهِ كَفُورًا
‘নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান
হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।’ (বনী ইসরাঈল ২৭)
★যৌতুকের আলোচনা বা সামর্থ্যের অধিক মহরানার শর্ত না থাকা;
বরং মোহরানা সামর্থ্যানুযায়ী ধার্য করা।
★মেয়ে বাড়িতে খাবারের অনুষ্ঠান না হওয়া।
বিবাহের ক্ষেত্রে করনীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত
জানুনঃ- https://ifatwa.info/8941/
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/74123
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত বিষটি যদি শত ভাগ সন্তুষ্টিচিত্ত ছেলের পক্ষ থেকে হয় এবং এতে কোন রুসম অনুসরণ করা না হয়,
তাহলে তা জায়েয আছে! সুতরাং স্বাভাবিক ভাবে অন্তরের অন্তস্থল থেকে যদি সেই ছেলেটি উক্ত
কাজগুলো করে এবং তাতে কোন ভাবে কারো প্রতি জুলুম করা না হয় তাহলে জায়েয অন্যথায় জায়েয
হবে না। মুব্বীদের হুকুমের ক্ষেত্রেও একই বিধান ?