আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
185 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)

1) ফেরাসত মানে কী ?  

2) পানি পড়ার বিধান কি?  কেহ যদি কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে পানি পড়া দিয়ে থাকেন অথবা আল্লাহর নাম দিয়ে সেগুলো কি গ্রহণ করা যাবে? 

 

3)  তোমরা একে অপরকে আল্লাহর ওসিলায় ক্ষমা করো ?  তোমরা একে অপরের আল্লাহর ওসিলায়  সম্পর্কে আবদ্ধ আসলে  এখানে আল্লাহর ওসিলায় বলতে কি বুঝানো হচ্ছে ?  কিছু মানুষকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম কিন্তু মাঝে মাঝে ওই জিনিসগুলো আমার বারবার মনে পড়ে তারা আমার সাথে কি খারাপ আচরণ অথবা  যেসব খারাপ কিছু করেছে ?  এগুলো জিনিস মনে হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারি ?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

(১)
হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي سعيد الخدري، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اتقوا فراسة المؤمن فإنه ينظر بنور الله، ثم قرأ: {إن في ذلك لآيات للمتوسمين}.
هذا حديث غريب، إنما نعرفه من هذا الوجه.
وقد روي عن بعض أهل العلم في تفسير هذه الآية: {إن في ذلك لآيات للمتوسمين} قال: للمتفرسين
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা মু'মিনের ফেরাসত থেকে বেঁচে থাকো।কেননা মু'মিন আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে নিতে সক্ষম হয়।(তিরমিযি-৩১২৭)

ফেরাসত অর্থ কি?
শাব্দিক অর্থঃ-
ফুরাসতের  অর্থ হল, ঘোড়া ও ঘোড় সওয়ার বিষয়ে খুবই দক্ষ হওয়া। আর ফিরাসত শব্দের অর্থ হল, কোনো বিষয়ে দক্ষ হওয়া ,গভীর জ্ঞান অর্জন করা।
: هي الاستدلال بالأمورِ الظاهرة على الأمور الخفيَّة، وأيضًا هي ما يقعُ في القلب بغير نَظَرٍ وحُجَّة.
বাহ্যিক বিষয়ের উপর চিন্তা-গবেষণা করে গোপন জিনিষ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নেওয়া। অথবা কোনো প্রকার চিন্তা গবেষণা ব্যতীত কোনো জিনিষ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নেওয়া।

ফিরাসতের প্রকারভেদ
প্রথম প্রকারঃ যা আল্লাহ তা’আলা ওলীদের অন্তরে ঢেলে দেন,যা দ্বারা তারা মানুষের অবস্থা সম্পর্কে অনুধাবন করে নিতে সক্ষম হন।
দ্বিতীয় প্রকারঃ যা বিভিন্ন দলীল প্রমাণ থেকে এবং অভিজ্ঞতা থেকে অনুধাবন করা হয়ে থাকে। বিস্তারিত জানুন-4921

(২)
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।
তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।
হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।

সুতরাং পানি পড়া বৈধ।তবে দু’টি শর্তে।
(১)তা কুরআনের আয়াত অথবা সহীহ হাদীসের দুআ দ্বারা হতে হবে।
(২)সাথে সাথে এই দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে,আরোগ্যদাতা কেবল মহান আল্লাহ

(৩)
 তোমরা একে অপরকে আল্লাহর ওসিলায় ক্ষমা করো 
এ কথার অর্থ হল,তোমরা আল্লাহ পাওয়ার জন্য/খুশি করার জন্য একে অন্যকে ক্ষমা করো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...