ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম
জবাব,
আছরের নামাজ
শেষ করার পরে যেকোনো নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ أَبِى
هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ
بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ
আবু হুরায়রা
(রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (স.) আছরের পর
সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৫৭)
তবে বিশুদ্ধ
মতানুযায়ী, আছরের পরে নফল পড়া মাকরুহ হলেও কাজা
নামাজ পড়া মাকরুহ নয়। শর্ত হলো—তা সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার আগে আদায় করে নিতে হবে।
আবার এ সময় কাজা নামাজ মসজিদে পড়বে না, বরং তা ঘরে পড়াই ভালো। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে গেলে কাজা নামাজ বা যে কোনো
নফল পড়া জায়েজ নয়। (শরহু মুখতাসারিত তহাবি: ১/৫৪৩; হালবাতুল মুজাল্লি: ১/৬৫৫; আলমুহিতুল বুরহানি:
২/১০;
আলবাহরুর রায়েক: ২/২৫১; রদ্দুল মুহতার: ১/৩৭৫)
মূলত কাজা নামাজ
মানেই কোনো না কোনো বাধ্যতামূলক নামাজ। তাই সময় পেলেই তা দ্রুত পড়ে নেওয়া উত্তম। কেননা
তা জরুরি নামাজ। তাই আছরের পরও ওই নামাজ পড়তে ইসলামি শরিয়ত বারণ করে না।
প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত স্বপ্ন কাহারো কাছে বলবেননা। যদি স্বপ্নটির মধ্যে কোন
কল্যাণ থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে তা প্রাপ্তির জন্য দোয়া করবেন এবং উক্ত স্বপ্নে কোন
অনিষ্টতা থাকলে তা থেকে পানাহ চাইবেন। সেই সাথে আপনার নেক আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার নারীদের সাথে উঠাবসা করতে হবে, পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার, ফরজসহ নফল নামাজ পড়তে হবে। সাধ্যানুযায়ী দান ছদাকাহ করতে হবে। আরো জানুন :- https://ifatwa.info/100414/?show=100414#q100414
২. আসরের ওয়াক্ত
হওয়ার পর প্রথমে জহরের কাযা আদায় করে আসরের সালাত আদায় করা জায়য আছে। তবে আসরের পর
সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাযা নামায পড়া জায়েয। এ সময় কাযা নামায
পড়া মাকরূহ নয়। হাঁ, এ সময় কোনো নফল নামায
পড়া মাকরূহ। তবে এ সময় মসজিদে কাযা নামায পড়বে না। কারণ এতে অন্য কেউ ভুল বুঝতে পারে।
তাই আসরের পর কাযা আদায় করতে চাইলে তা ঘরে পড়াই ভাল হবে। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ
হয়ে গেলে কাযা নামায বা যে কোনো নফল পড়া নাজায়েয।