আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১।উস্তাদ, আমি স্বপ্নে দেখেছি আমি একটা কীট বা পোকা জন্ম দিয়েছি। কীট টা দেখতে অনেকটা কৃমির মতো আকৃতির।
এর ব্যাখ্যা কি হতে পারে? এটি কি খারাপ স্বপ্ন?
আমি অবিবাহিতা।

দয়া করে জানাবেন৷

২। যোহরের নামাজ যদি কাজা হয় তাহলে কি সেটা আসরের সময় পড়া যাবে?
আসরের নামাজের আগে বা পড়ে?

1 Answer

0 votes
ago by (59,910 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

জবাব,

আছরের নামাজ শেষ করার পরে যেকোনো নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে-

 عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (স.) আছরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৫৭)

তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, আছরের পরে নফল পড়া মাকরুহ হলেও কাজা নামাজ পড়া মাকরুহ নয়। শর্ত হলোতা সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার আগে আদায় করে নিতে হবে। আবার এ সময় কাজা নামাজ মসজিদে পড়বে না, বরং তা ঘরে পড়াই ভালো। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে গেলে কাজা নামাজ বা যে কোনো নফল পড়া জায়েজ নয়। (শরহু মুখতাসারিত তহাবি: ১/৫৪৩; হালবাতুল মুজাল্লি: ১/৬৫৫; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/১০; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৫১; রদ্দুল মুহতার: ১/৩৭৫)

মূলত কাজা নামাজ মানেই কোনো না কোনো বাধ্যতামূলক নামাজ। তাই সময় পেলেই তা দ্রুত পড়ে নেওয়া উত্তম। কেননা তা জরুরি নামাজ। তাই আছরের পরও ওই নামাজ পড়তে ইসলামি শরিয়ত বারণ করে না।

প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই/বোন!

১. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত স্বপ্ন কাহারো কাছে বলবেননা। যদি স্বপ্নটির মধ্যে কোন কল্যাণ থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে তা প্রাপ্তির জন্য দোয়া করবেন এবং উক্ত স্বপ্নে কোন অনিষ্টতা থাকলে তা থেকে পানাহ চাইবেন। সেই সাথে আপনার নেক আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার নারীদের সাথে উঠাবসা করতে হবে, পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার, ফরজসহ নফল নামাজ পড়তে হবে। সাধ্যানুযায়ী দান ছদাকাহ করতে হবে। আরো জানুন :-  https://ifatwa.info/100414/?show=100414#q100414

২. আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পর প্রথমে জহরের কাযা আদায় করে আসরের সালাত আদায় করা জায়য আছে। তবে আসরের পর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাযা নামায পড়া জায়েয। এ সময় কাযা নামায পড়া মাকরূহ নয়। হাঁ, এ সময় কোনো নফল নামায পড়া মাকরূহ। তবে এ সময় মসজিদে কাযা নামায পড়বে না। কারণ এতে অন্য কেউ ভুল বুঝতে পারে। তাই আসরের পর কাযা আদায় করতে চাইলে তা ঘরে পড়াই ভাল হবে। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে গেলে কাযা নামায বা যে কোনো নফল পড়া নাজায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...