بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মুসল্লিকে নামাজে
উদাসীন করার জন্য শয়তান তার সর্বোচ্চ শক্তি বিনিয়োগ করে। এ ক্ষেত্রে সে অত্যন্ত চৌকসভাবে
তার কূটকৌশল পরিচালনা করে। রাসুল (সা.) সেই শয়তানের নাম বলে গেছেন।
তার নাম হচ্ছে
‘খিনজাব’। এই দুষ্ট জিন মানুষকে নামাজের মাঝে কুমন্ত্রণা দেয়। তার এই কুমন্ত্রণা থেকে
বাঁচার জন্য প্রিয় নবী (সা.) আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আবদুল আলা (রহ.) বর্ণনা
করেন যে,
قَالَ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ
يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلَاتِي
وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَيَّ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خَنْزَبٌ ، فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ
فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ ، وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلَاثًا، قَالَ :
فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي
ওসমান ইবনে আবুল আস (রা.) নবী (সা.)-এর কাছে এসে
বলেন,
হে আল্লাহর রাসুল, শয়তান আমার নামাজ ও কিরাতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সব কিছুতে গোলমাল বাধিয়ে
দেয়। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটা এক (প্রকারের)
শয়তান যার নাম ‘খিনজাব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আউজুবিল্লাহ পড়ে)
তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে, তিনবার তোমার বাম পাশে থু থু ফেলবে। তিনি বলেন, তার পর আমি তা করলাম, আর আল্লাহ আমার হতে
তা দূর করে দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৬৩১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!
১. এখানেই থুতু
ফেলার কথা এসেছে। নামাজে থু থু খেলা বলতে মুখ থেকে কোনো কিছু বের করতে হবে এমন নয়।
বরং বাম দিকে সামান্য একটু মাথা হেলিয়ে থু থু করার ভঙ্গি করবে। আর এর আগে মনে মনে তিনবার
আউজুবিল্লাহ পড়ে নেবে।
২. আল্লাহ তাআলা শুধু
পৃথিবীই নয় বরং সমগ্র সৃষ্টি শুধু মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ঠিক আগের আয়াতেই মহান
আল্লাহ মানুষের মাঝে নিহিত বিষয় দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। এ আয়াতে মানুষের
কল্যাণে সমগ্র সৃষ্টি তথা জমিন ও আসমানকে তিনি স্তরে স্তরে সুবিন্যস্ত করেছেন। এ প্রমাণই
এসেছে কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে। ধাপে ধাপে বর্ণিত হয়েছে মানুষের কল্যাণে ধারা। কী সেই
সব? মহান আল্লাহ বলেন-
هُوَ
الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ٭ ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی
السَّمَآءِ فَسَوّٰىهُنَّ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ ؕ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ
‘তিনি পৃথিবীর সব কিছু
তোমাদের (মানুষের) জন্য সৃষ্টি করেছেন;
তারপর তিনি আকাশের দিকে
মনোসংযোগ করেন এবং তাকে (আকাশকে) সাত আকাশে বিন্যস্ত করেছেন; তিনি সব বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৯)