আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম,
১.হাদিস শারীফে আছে - নামাজে শয়তানের  ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে তিনবার বাম দিকে থুথু ফেলতে হয়। এই হাদিসের ব্যাখ্যা কী?  বর্তমানে মসজিদে এর আমল কিভাবে করা যাবে?

২. সবকিছু কী মানুষের জন্যই সৃষ্টি?।।।।।।।              ।।।।।।।।।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

মুসল্লিকে নামাজে উদাসীন করার জন্য শয়তান তার সর্বোচ্চ শক্তি বিনিয়োগ করে। এ ক্ষেত্রে সে অত্যন্ত চৌকসভাবে তার কূটকৌশল পরিচালনা করে। রাসুল (সা.) সেই শয়তানের নাম বলে গেছেন।

তার নাম হচ্ছে ‘খিনজাব’। এই দুষ্ট জিন মানুষকে নামাজের মাঝে কুমন্ত্রণা দেয়। তার এই কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য প্রিয় নবী (সা.) আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আবদুল আলা (রহ.) বর্ণনা করেন যে,

قَالَ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلَاتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَيَّ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خَنْزَبٌ ، فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ ، وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلَاثًا، قَالَ : فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي

 ওসমান ইবনে আবুল আস (রা.) নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, শয়তান আমার নামাজ ও কিরাতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সব কিছুতে গোলমাল বাধিয়ে দেয়। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটা এক (প্রকারের) শয়তান যার নাম ‘খিনজাব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আউজুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে, তিনবার তোমার বাম পাশে থু থু ফেলবে। তিনি বলেন, তার পর আমি তা করলাম, আর আল্লাহ আমার হতে তা দূর করে দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৬৩১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

১. এখানেই থুতু ফেলার কথা এসেছে। নামাজে থু থু খেলা বলতে মুখ থেকে কোনো কিছু বের করতে হবে এমন নয়। বরং বাম দিকে সামান্য একটু মাথা হেলিয়ে থু থু করার ভঙ্গি করবে। আর এর আগে মনে মনে তিনবার আউজুবিল্লাহ পড়ে নেবে।

২. আল্লাহ তাআলা শুধু পৃথিবীই নয় বরং সমগ্র সৃষ্টি শুধু মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ঠিক আগের আয়াতেই মহান আল্লাহ মানুষের মাঝে নিহিত বিষয় দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। এ আয়াতে মানুষের কল্যাণে সমগ্র সৃষ্টি তথা জমিন ও আসমানকে তিনি স্তরে স্তরে সুবিন্যস্ত করেছেন। এ প্রমাণই এসেছে কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে। ধাপে ধাপে বর্ণিত হয়েছে মানুষের কল্যাণে ধারা। কী সেই সব? মহান আল্লাহ বলেন-

هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ٭ ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ فَسَوّٰىهُنَّ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ ؕ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ

‘তিনি পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের (মানুষের) জন্য সৃষ্টি করেছেন; তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন এবং তাকে (আকাশকে) সাত আকাশে বিন্যস্ত করেছেন; তিনি সব বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 443 views
...