আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার ১ম ডিবর্সের পর অর্ধেক দিন.কম থেকে একটা সমন্ধ আসে,ছেলে অবিবাহিত বিয়ের আগেই বলে নেওয়া হয়েছে আমি বিবাহিত একটা মেয়ে।
সে তখন বলেছে বিবাহিত মেয়ে বিয়ে করতে চায় রাসুল (সা:) সুন্নাত পালনের জন্য।আর শুধু দ্বীনদারিতা হলেই চলবে আর কিছুই তার লাগবে না।
কিন্তু বিয়ের পর তার মায়ের পক্ষ থেকে শুরু হয়ে যায় অশান্তি বাপের বাড়ি থেকে এইটা ওইটা না আনার কারনে। আমার সাথে অন্যায় করা হয় দেখে তিনি চুপ করে থাকে।আমাকে শান্তনা দেওয়া দূরের কথা উলটো কথা বলাই বন্ধ করে দেয়।কেননা বিয়ের আগে সে কসম করেছে এই মেয়ে বিয়ে করলে যেভাবে বলবেন সেভাবেই চলবে ।অথচ উনার মা দিনের পর দিন আমাকে মানুষিক যন্ত্রণা দিতেই থাকে ।তারা বলে আমাকে ডিবর্সি বিয়ে করেছে শুধু তাদের সেবা করার জন্যে ।আমাকে অতিরিক্ত কাজের ভোজা চাপিয়ে দিয়ে জুলুম করে এগুলা আমি তার কাছে বলিনা সংসারে আরো অশান্তি বৃদ্ধি পাওয়ার ভয়ে।

আমার স্বামিকে বলি আমার সাথে সুন্দর ভাবে কথা বল্লে ।অন্যান্য স্বামি স্ত্রী যেভাবে চলে সেভাবে চললে মানুষিক ভাবে আমি অনেক শান্তি পাই।
তার সাথে কথা বলতে চাই মানুষিক সাপর্ট চাই এইসব বললে  সে রেগে যায় উল্টো খোজ খবর নেওয়া কথা বলা বন্ধ করে দেয় মাসের পর মাস ।
এতে করে আমি মানুষিক ভাবে একদম ভেঙ্গে পড়ি ।

আমার প্রশ্ন
১/ডিবর্সি একটা মেয়েকে তার মায়ের সেবার জন্য বিয়ে করা।এইটা কতটুকু যুক্তি সংগত?
২/আমার স্বামিকে আমার সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলতে বলি।বার বার এইটা নিয়ে ঝামেলা বাধে সে উল্টো এর জন্য কথা বলা বন্ধ করে দেয় ।তার সুন্দর ব্যবহার পাওয়া এইটা তো আমার হক আমি যে বার বার তাকে এইটা নিয়ে বলি এতে কি আমি গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (592,110 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শশুর-শাশুড়ীর খেদমত করতে যে সব স্বামীরা স্ত্রীর উপর আমানবিক নির্যাতন করে,তাদের জেনে রাখা উচিত -একেতো তাদের খেদমত স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়!দ্বিতীয়ত শশুরের খেদমতে ফিতনার আশংকা আছে! তাই স্বামী নিজে আপন মাতা-পিতার খেদমত করবে অথবা পারিশ্রমিক দিয়ে করাবে।
স্ব ইচ্ছায় শাশুড়ীর খেদমত করা বধুর নৈতিক দায়িত্ব ,কিন্তু এক্ষেত্রে বধুর উপর কোন রকম চাপ প্রয়োগ করা যাবেনা,এবং বধুর খেদমতকে অনুগ্রহ বিবেচনা করাও শ্বাশুড়ীর নৈতিক দায়িত্ব।

মোটকথাঃ-
এককপরিবার ব্যবস্থা ও যৌথপরিবার ব্যবস্থা উভয়ই বৈধ।
আমাদের দেশে যেহেতু পূর্ব থেকেই  যৌথপরিবার ব্যবস্থা চলে আসছে, এবং এককপরিবার ব্যবস্থাকে মা-বাবা সহ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।এমনকি অনেকে এককপরিবার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে ও নিন্দা মনে করে,তাই যৌথপরিবারই আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে মাননসই ও গ্রহণযোগ্য হবে,তবে যাতে শরীয়তের কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বতার সাথে রাখতে হবে, আল্লাহ না করুক যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব কিন্তু আপনার-ই।যখন আমাদের সমাজ এককপরিবার ব্যবস্থাকে মেনে নিবে তখন সেটাই সবার জন্য মঙ্গলজনক ও নিরাপদ হবে।একক পরিবার না যৌথ পরিবার?কোনটা অগ্রহণযোগ্য?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/430

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ডিভোর্সি কোনো মেয়েকে নিজ মাতাপিতার সেবার জন্য বিয়ে করার কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই বরং কোনো রমণীকে যখন বিয়ে করে নেয়াই হবে, তখন সেই রমণী স্ত্রী হিসেবে, একজন স্ত্রীর সমস্ত অধিকার ও প্রাপ্য সে পেয়ে যাবে।

(২) স্বামীর কাছ থেকে সুন্দর ব্যবহার পাওয়া,এটা একজন স্ত্রীর হক। এজন্য যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে বারবার বলে, তাহলে এতে স্ত্রীর কোনো গুনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...