বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
তালাক প্রমাণিত হওয়ার জন্য স্ত্রীর তালাক শোনার কোনো প্রয়োজন নাই। স্ত্রী তালাক শুনুক বা নাই শুনুক।অবশ্যই তালাক পতিত হবে।
বিবাহের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দস্তখত দ্বারা দ্বারা বিবাহ হয় না বরং মুখে ইজাব কবুল বলতে হয়।তারপরই বিয়ে সম্পাদিত হয়ে থাকে।তবে তালাকের ক্ষেত্রে মৌখিক উচ্ছারণের শর্ত নেই,বরং তালাক নামায় তালাক দিয়েছি বা তালাক হয়েছে মর্মে স্বামী দস্তখত করে নিলেই এদ্বারা তালাক হয়ে যায়।
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে দুজন সাক্ষীর সামনে (স্বামীর নিজ ছোটভাই ও কাজীকে) কাজীর মাধ্যমে "তালাক" শব্দ বলা সহ (এখানে, তালাক স্ত্রী নিজ কানে শুনতে পায়নি) তালাকনামা পাঠায়, তবে তালাক পতিত হবে। তালাক হবার জন্য স্ত্রীকে শুনিয়ে "তালাক" শব্দ বলা আবশ্যক নয়।