আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
reshown ago by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।  আমার ইক্টোপিক প্রেগ্ন্যাসির কারণে বড় একটা অপারেশন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল।  মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথম দিন দেখিয়েছিল বাচ্চা গর্ভে আসার বয়স ৪ সপ্তাহ। ২দিন পরই আবার টেস্ট করে রেজাল্ট আসে ৬ সপ্তাহ মত বয়স। ইক্টোপিক প্রেগ্ন্যাসি হওয়ায় বাচ্চা সহ জরায়ুর টিউব ব্লাস্ট হয়ে শরীরের সমস্ত রক্ত বেরিয়ে  যায়।  এমতাবস্থায় জরূরী ভিত্তিতে অপারেশন করানোর উছিলায় আল্লাহ পাক আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আমার প্রশ্ন হল, এই যে বাচ্চা টি ছিল আমি কল্পনা করেছিলাম একটা মেয়ে বাচ্চা হলে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদুরে কন্যা ফাতিমা (রা.) এর নামে নাম রাখব।
এতটুকু বাচ্চা আর এভাবে যে রক্ত হয়ে হারিয়ে গেছে আমি কি তাকে স্মরণ করতে এই নামটি বা অন্য যেকোনো নাম ব্যবহার করতে পারব?

1 Answer

0 votes
ago by (60,630 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/297/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

সন্তান যদি মৃত ভুমিষ্ট হয়,তবে সেই সন্তানের নাম রাখারও প্রয়োজন নেই এবং উক্ত মৃত সন্তানের জানাযার নামায পড়ারও নিয়ম নেই। নিয়মমাফিক কাফন পরিধান করানোরও কোনো প্রয়োজন নেই।

শুধুমাত্র একটি কাপড় দিয়ে পেছিয়ে তাকে দাফন করা হবে এবং আক্বিকারও কোনো দরকার নেই।

হযরত জাবির রাযি, থেকে বর্ণিত

ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻄﻔﻞ ﻻ ﻳﺼﻠﻰ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻻ ﻳﺮﺙ ﻭﻻ ﻳﻮﺭﺙ ﺣﺘﻰ ﻳﺴﺘﻬﻞ - ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺠﻨﻴﻦ ﺣﺘﻰ ﻳﺴﺘﻬﻞ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- নবজাতক শিশু ভুমিষ্ট হওয়ার পর যদি আওয়াজ না দেয় (তথা মৃত হলে) তবে তার জানাযার নামায পড়া যাবে না। সে কারো ওয়ারিছও হবে এবং কাউকে ওয়ারিছও বানাবে না।

সুনানে তিরমিযি-১০৩২


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নাম রাখার প্রয়োজন নেই। দুআ করি আল্লাহ তায়ালার আপনাকে খুব দ্রুত একজন নেক সন্তান দান করেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...