মুসাফিরের সময়সীমা ও নামাজ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
সফর বর্ণনা :
আমরা জানি , শরীয়তে মুসাফির ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে ৪৮ মাইল (৭৭.২৩২ কিলোমিটার) বা তার বেশি দূরত্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ১৫ দিন কিংবা তার কম সময়ের জন্য।
১২ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় সফর শুরু করলে ২৭ তারিখ ডিসেম্বর সকাল ৯-১০ টায় গন্তব্য ত্যাগ করে আনুমানিক সন্ধ্যা ৫-৬ টায় বাড়ি (নিজ গ্রাম) ফিরে আসবো , ইনশআল্লাহ।
সফর শুরু থেকে গন্তব্যে পৌঁছানো এবং গন্তব্য ত্যাগ করা পর্যন্ত ১৫ দিন এর কম(৫-৬ ঘন্টা কম ১৫ দিন ) সময়।
আবার সফর শুরু থেকে গন্তব্যে পৌঁছানো এবং গন্তব্য ত্যাগ করে বাড়ি (নিজ গ্রাম) ফিরে আসা পর্যন্ত ১৫ দিন এর বেশি (৩-৪ ঘন্টা বেশি + ১৫ দিন ) সময়।
প্রশ্ন ১: এতে তে কি আমি মুসাফির থাকবো ?
প্রশ্ন ২ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ): অন্যথায় মুসাফির অবস্থায় থাকার জন্য আমি কি ১৩ ডিসেম্বর সফর শুরু করে ২৭ ডিসেম্বর ফিরে আসবো ?
প্রশ্ন ৩: মুকিম ইমামের পিছনে আমি মুসাফির অবস্থায় নামাজ পড়ার সময় আমি চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পাই তাহলে কি ইমামের সাথে আমিও সালাম ফিরিয়ে দিব, নাকি মুকিমের মত আরো দুই রাকাত মিলিয়ে চার রাকাত পড়বো ? এবং ইমামের সাথে এক রাকাত পেলে কি আরো এক রাকাত পড়বো একা একা? নাকি তিন রাকাত পড়বো?
প্রশ্ন ৪: ৪৮ মাইল তথা (প্রায় ৭৮ কিলোমিটার) বা তার বেশি দূরত্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ১৫ দিন এর বেশি সময় থাকার নিয়ত করলেও কি সে পথিমধ্যে যাওয়ার সময় ও আসার সময় টুকু মুসাফির থাকে? এমন অবস্থায় শুধু গন্তব্যে মুকিম ?
প্রশ্ন ৫: কোনো এলাকায় কোনো ওয়াক্তের নামাজের সময় হয়েছে। কিন্তু আজান দেওয়া হয়নি কিংবা আযান দেওয়া হয়েছে জামাত শুরু হয়নি। এমন অবস্থায় যে ব্যক্তি আজান দেওয়ার আগেই কিংবা জামায়াত শুরু হওয়ার আগেই ওই এলাকা ত্যাগ করবে, সে কি একাই নামাজ পড়লে আজান, ইকামত দিয়ে নামাজ পড়তে হবে ?
যেমন বর্তমান সময়ে দুপুর ১২টার আগেই বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় জোহর এর ওয়াক্ত শুরু হয়। কিন্তু ১ টার সময়(জুমু'আর দিনে সাড়ে ১২ টায় ) আজান দিয়ে দেড় টায় জামায়াত শুরু হয়। এখন কারো যদি ১ টায় সফর থাকে , তাহলে ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই একা নামাজ পড়লে কি আজান, ইকামত দিয়ে এমাজ পড়তে হবে ?