আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
On behalf of sister...

দুইজন সাক্ষী রেখে আমার বিয়ে হয়েছিলো গোপনে।পরবর্তীতে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু হয়ে ওঠেনি। আমাদের মধ্যে মেইন ইন্টারকোর্স না হলেও একে অপরকে স্পর্শ থেকে শুরু করে বাকি সব হয়েছে।অর্থাৎ খালওয়াতে সহিহা হয়েছে। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হয়ে ওঠেনি।আমার অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে ঠিক হয়ে যায়। আমার প্রথম স্বামী আমাকে এক তালাক দেয়।কিন্তু দুইদিন পরে আবার আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিচ্ছি বলে।এইদিকে আমার বিয়ের সব প্রিপারেশন হয়ে যায়।আমার প্রথম স্বামীর সাথে আমার আর কোন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।আমার বিয়ের ৬ মাস আগে থেকে তার সাথে মেলামেশা হয়নি কোনরকম।উল্লেখ্য ওই এক তালাক  তালাক বলার একমাসের মধ্যেই আমার ২য় বিয়েটা হয়ে যায়, ইদ্দত শেষ করার আগে।

এতে ১ম স্বামীর সাথে তালাক হয়েছে?

খালওয়াতে সহিহা হলে অন্যজনকে বিয়ে করার আগে কি ইদ্দত পালন করতে হবে?

এখন আমার দ্বিতীয় বিয়েটা কি সঠিক হয়েছে?

শরীয়া মোতাবেক আমার স্বামী কে? আর বিয়েটা না হলে এই বিয়েটাকে কিভাবে হালাল করতে পারি?(এখন ১ম তালাকের পর ৪মাস এরেও বেশি সময় হচ্ছে)

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/42398/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

তালাক এটি খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যেআল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক। (আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)


এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪} হেদায়া ২/৩৮৭) গ্রন্থে আছেঃ


উল্লেখ রয়েছে-

فالصریح قوله انت طالق ومطلقۃ وطلقتک فهذا يقع الطلاق الرجعي ولا یفتقر الى النيۃ ولا يقع به الا واحدۃ وان نوی اكثر من ذلك۔

সারমর্মঃ  স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়। এক্ষেত্রে নিয়তের দিকে মুহতাজ হতে হবেনা।

এক্ষেত্রে একের বেশির নিয়ত করলেও এক তালাকই পতিত হবে।


এক তালাকে রজয়ী পতিত হলে স্ত্রীর ইদ্দত চালাকালিন সময়ের মধ্যেই তাকে মৌখিক ভাবে 'ফিরিয়ে নিলাম' বললেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়ে যাবে। অথবা তার সাথে স্বামী সুলভ আচরণ করলেও ফিরিয়ে নেয়া হবে।

আর ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ফিরিয়ে নিতে চাইলে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/26032/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ঐ বোন এখনো প্রথম স্বামীর স্ত্রী হিসাবে থাকবে। দ্বিতীয় বিয়েটা সহীহ হয়নি। কারণ, প্রথম স্বামী তাকে এক তালাকে রজঈ দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই প্রথম বিবাহ বন্ধনটাই এখনো ঠিক আছে।

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিয়েটা সহীহ হয়নি। তাই এখনই তাদের দুজনকে (দ্বিতীয় স্বামীর থেকে) আলাদা হয়ে যেতে হবে। এক সাথে থাকলে গোনাহ হবে। মেলামেশা করলে যিনার গোনাহ হবে।


যতক্ষণ প্রথম স্বামী তাকে তালাক না দিবে এবং তিনি তালাক দেওয়ার পর ইদ্দত পালন না করবে ততক্ষণ আরেক জায়গায় বিয়ে করা জায়েজ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (1 point)
১ম স্বামীর  সাথে সহবাস হয়নি, খালওয়াতে সহিহা হয়ছে সেক্ষেত্রেও সেইম উত্তর ?
সরি আরেকটু ক্লিয়ার হওয়ার জন্য প্রশ্ন করা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...