ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
"আমি এত হালাল হারাম মানি না" এমন বক্তব্য কুফুরী।সুতরাং তাওবাহ করতে হবে।এবং ঈমানকে নবায়ন করতে হবে।তবে যেহেতু শরীয়তে উযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য তাই,অজ্ঞতার দরুণ তাকে ঈমান নবায়ন করতে হবে না।হ্যা অবশ্যই তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।
(২)
যেহেতু সে কথার প্রক্ষিতে বলেছে,অবশ্যই তার অন্তরে রয়েছে যে,বাছানোর মালিক আল্লাহ।তাই তার ঈমান চলে যাবে না।বরং বহাল থাকবে।
(৩)
যেহেতু ঈমানদ্বারের অন্তরে থাকে যে,আল্লাহ সবকিছুর সম্পাদনকারী।তাই এমন হবে বা সুস্থ হবো দ্বারা উদ্দেশ্য হল,আল্লাহর হুকুম হলে অবশ্যই এমন হবে বা সুস্থ হবো।তাই তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪)
ক. আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি।
অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ
اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،
المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،
الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক, গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।
খ. ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।
তবে বিষয়টা ব্যাখা সাপেক্ষ্য।
★যদি কুরআন-হাদীস ও উম্মাহর তা'আ'মূল(ব্যবহার) এবং উরফে আম(সমাজ ব্যবস্থায়) এ- ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা প্রমাণিত থাকে, তাহলে সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা যাবে।এতে কোনো প্রকার সমস্যা নেই।
যেমনঃ
عزيز، علي، كريم، رحيم، عظيم، رشيد، كبير، بديع، كفيل، هادي، واسع، حكيم ،
যেমনঃ আযীয, আলী, কারিম, রাহিম, আজীম, রাশিদ, কাবির, বাদি', কাফিল, হাদী, ওয়াসি', হাকীম, ইত্যাদি।
এবং যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়,বা মুসলমানদের রীতিনীতিতে প্রচলিত নয়,সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা অনুচিত।অত্যাবশ্যকীয় পরিত্যাজ্য। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
463
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আহাদ নামে ডাকা যাবে না।বরং আব্দুল আহাদ ডাকতে হবে।জানার পরও ডাকলে গোনাহ হবে।