ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মুসাল্লির এমন নড়াচড়া যা নামায পরিপন্থী, তা দু-ভাগে বিভক্ত-
(ক)পরিমাণে সামান্য, যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে ক্বালীল' বলা হয়ে থাকে।
(খ)পরিমাণে বেশী যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে কাসির' বলা হয়ে থাকে।
নামাযরত অবস্থায় মুসাল্লির কোনো প্রকার হারকাত/নড়াচড়া 'আ'মলে কাছির' বলে প্রমাণিত হলে,উক্ত মুসাল্লির নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সর্দিতে আক্রান্ত হলে নামাজের মধ্যে রুমাল / টিস্যু ব্যবহার করা যাবে না। এটা আমলে কাছির হওয়ার কারণে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২)
মারাক্বিল ফালাহ তে বর্ণিত রয়েছে-
إذا ظن مروره يستحب له أن يغرز سترةتكون طول ذراع فصاعدا في غلظ الإصبع والسنة أن يقرب منها,
যখন মুসাল্লি তার সামন দিয়ে মানুষ অতিক্রমের ধারণা করবে তখন তার জন্য মুস্তাহাব হল,সামনে একটি সুতরা রাখা।অর্থাৎ এক আঙ্গুল পরিমাণ প্রশস্ত এবং এক গজ পরিমাণ লম্বা একটি লাঠি, ইত্যাদি মাঠিতে ধাবিয়ে খাড়া করে রাখা মুসাল্লির জন্য মুস্তাহাব।সুন্নত হলো সুতরাকে নিকটবর্তী করে রাখা। (মারাক্বিল ফালাহ শরহে নুরুল ইযাহ-১/১৩৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/536
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরা হিসাবে যদি খাটকে ব্যবহার করা হয়। এবং খাটের দুই পাশে খাটের পা থাকে। এখন কেউ যদি খাটের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে তবে সেটা সুতরা হিসাবে বিবেচিত হবে। যদিও এর মাঝখানের কোন অংশ মাটিতে লাগানো নেই।
(৩)
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" وان كان بين أسنانه شيء فابتلعه عمداً .... بطلت صلاته بلا خلاف .فإن ابتلع شيئاً مغلوباً ، بأن جرى الريق بباقي الطعام بغير تعمد منه ، لم تبطل صلاته بالاتفاق " انتهى "
যদি কারো দাতের মধ্যে কিছু লেগে থাকে,এবং সে ইচ্ছাকৃত ঐ জিনিষকে খেয়ে ফেলে,তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে।তবে যদি দাতে লেগে যাওয়া ঐ জিনিষ থুথুর সাথে মিশে যায়,এবং থুথুর পরিমাণ বেশী থাকে,তাহলে তার নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হবে না।(আল-মাজমু'-৪/৮৯)জানুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
নামাজে মুখের ভেতর লেগে থাকা খাবার যদি একটি ছানাবোট সমপরিমাণ হয়, এবং সেটাকে গিলে ফেলা হয়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৪) যদি মুক্তাদি জুমায় শরিক হওয়ার পর তার নামাজ ভেঙ্গে যায়, তাহলে মুক্তাদি পরবর্তীতে চার রাকাত জোহরের নামায আদায় করে নিবে।
صورتِ مسئولہ میں پہلی نماز کے فاسد ہوجانے کے بعد جو دوسری نماز ادا کی گئی وہ مستقل نماز تھی؛ لہذا اس میں دوبارہ خطبہ کا پڑھنا بھی ضروری تھا؛ لہذا جو دوسری نماز بغیر خطبہ کے ہوئی وہ صحیح نہیں ہوئی،اب ان لوگوں کو چاہیے کہ چاررکعت ظہر کی نیت سے قضا کرلیں
فتوي نمبر: Fatwa:1399-1239/L=1/1441
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند