আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্
আমি বড় পরীক্ষায় পড়েছি৷ এক ছেলের প্রপোজাল আসছে, তিনি আমাদের এলাকার স্বনামধন্য আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। দেখতে শুনতে, পড়াশোনা, আর্থ-সামাজিক অবস্থান বেশ ভালো।
আমার পরিবারের তাকে বেশ পছন্দ, তাদেরও আমাকে। কিন্তু ভদ্রলোকের কিছু আকিদাগত সমস্যা আছে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালন করা জায়েজ, শবে বরাত পালন করা জায়েজ, বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করা জায়েজ(গাইরে মাহরাম মুরব্বি হলেও), পারিবারিকভাবে জন্মদিন পালন করা জায়েজ, মিলাদ জায়েজ, আবার এটাও বলেন যারা তাবলীগ জামাতের তারা নাকি ভ্রান্ত আকিদার, আবার কওমি মাদ্রাসা আর জামাতি ইসলাম নিয়ে খুবই কটু উক্তি করেন। তিনি নাকি আবার হানাফি মাজহাব পালন করেন, বলেন প্রকৃত হানাফিরা এগুলো জায়েজ মনে করেন তবে যারা নামে হানাফি কিন্তু আসলে আহলে হাদিস তারা এসব বিদাত মনে করে। আরও বেশ কিছু বিষয় আমার কাছে অসংলগ্ন আকিদার মনে হয়েছে। আর যা বিশ্বাস করে সেগুলোতে তার অনূভুতি তীব্র, মনে হয়না পরিবর্তন হবার মতো। বরং বেশ ডমিনেটিং ব্যক্তিত্বের।
আর পর্দার বিষয়েও বেশ গাফেল মনে হলো। আমার পরিবারের নারী সদস্যদের সাথে কেমন যেন অবলীলায় কথা বলছিলো, এমন একটা বিষয় যেন শালীনভাবে কথা বলতে অসুবিধা নেই, আমার তাকে গায়রতমান মনে হয়নি। তিনি কোন এক পীরের মুরীদ, উনার পীর জান্নাতুল বাকিতে কবরস্থ। পীরের প্রতি উনার অসম্ভব ভক্তি, বিষয়টা এমন পীর রাত বললে রাত, দিন বললে দিন। এদিকে উনাদের প্রতিষ্ঠান দেখলাম তাহেরি সাহেব প্রায়ই নিমন্ত্রিত হোন।
তবে তিনি খুব ইবাদত গোজার, তাহাজ্জুদও পড়েন। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন না হলেও চরিত্র ভালো।
আমার পরিবার চাচ্ছে আমি রাজি হয়ে যাই, আমি বুজতেছিনা কি করব? এমন এক পরিস্থিতি আমার মানা করার উপায় নেই । হয়তো এবার মানা করলে তারা আমার উপর হতাশ হয়ে পড়বে, এর আগেও দুটো ছেলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা অনেক ভালো হওয়া স্বত্তেও একজন নামাজ পড়েনা, ঘুষ খায় বলে, আরেকজন স্ত্রী কে পারিবারিক পর্দার ব্যবস্থা করবে না বলে মানা করেছি, এই ভদ্রলোক তো সৎ, আর পর্দার নিশ্চিত করবে তাও মানা করাটা তারা বাড়াবাড়ি মনে করছে।
আমি কি আসলেই বাড়াবাড়ি করছি ?