আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আস'সালা মুআলাইকুম , কোন কোন ক্ষেত্রে একজন নারী যদি তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধ হারাম হবে না ?

স্বামী যদি প্রচন্ড অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে , বাবা - মা তুলে গালাগালি করে ,যার-তার সামনে অপমান করে এবং ৬ বছরের একসাথে থাকার জীবনে ৫ বার গায়ে হাত ও তুলেছে যাতে শরীরে দাগ পড়েছে এবং এর কারনে স্ত্রীর মনে যদি স্বামীর প্রতি ;অশ্রদ্ধা জন্ম নেয় , এবং স্ত্রীও প্রতিউত্তরে স্বামীকে গালাগালি দেয় এবং স্ত্রী ভয় করে যে সে এমন পরিস্হতি তে ধৈর্য ধারান করে স্বামীর হক আদায় করতে পারবে না তাহলে কি স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে ?

উল্লেখ্য যে তার স্বামীর ব্যবহার এতই খারাপ যে সে তার জন্মদাত্রী মা কেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মেজাজ খারাপ হলে , অনেক বার সে তার মায়ের গায়ে হাত তুলার পর্যায় চলে গেছে !

তার স্বামীর এই বদমেজাজ , গালাগালি পরিবর্তন হওয়ার কোনো আশংকা নাই , এবং বাবা -মা  তুলে গালি দেওয়ার পরেও সে নিজের  দোষ স্বীকার করে স্ত্রীকে sorry বলে না ।

স্ত্রীর যদি ভয় করে ভবিষ্যৎ এ তাদের সন্তানও তার স্বামীর মত বদমেজাজি হবে , বা গালাগালি শিখবে  তাহলে কি স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে ?

স্বামীর সাথে মতবিরোধ, যেমন স্ত্রী চায় সন্তানদের গান শুনতে দিবে না কারান তা হারাম কিন্তু স্বামী লাউড মিউজিকে গান চালিয়ে শুনায় বাচ্চাদের,  এরকম বিষয় যা স্ত্রী বাচ্চাদের ভালো শিক্ষা দিতে করে কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে সাহায্য না করে উল্টো টা করে । বুঝানোর পরেও শুনে না।

এসব কারণে ধৈর্য হারা হয়ে সে স্ত্রী অনেক বারই স্বামীর কাছে তালাকে চেয়ে বসেছে ।

এ সব কারনে কোনো নারী যদি তালাক চেয়ে থাকে তাহলে কি তার জন্য জান্নাত হারাম হবে ? এ অবস্হায় ঐ নারীর করনীয় কি ,আল্লাহর থেকে মাফ পাওয়ার কি কোনো উপায় আছে ?

স্বামী অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলেও কি স্ত্রী ঐ স্বামীর সাথে থাকতে বাধ্য? এতে স্ত্রী যতই মানষিক কষ্ট পাক ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, যেসব কারণে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে তা হলোঃ-

★যদি কোনো বাস্তবসম্মত কারণে উভয়ের পক্ষে একসঙ্গে বসবাস করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে।

★যদি স্বামীর মাঝে দৈহিক এমন ত্রুটি থাকে, যার কারণে দাম্পত্যজীবনের স্বাভাবিকতা খুবই দুরূহ হয়ে যায়। যেমন—পাগল হওয়া, যৌন অক্ষম হওয়া, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়া। 
বলা বাহুল্য, স্বামীর মাঝে উক্ত ত্রুটিগুলো থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখা সম্ভব নয়।

★স্বামী স্ত্রীর আবশ্যকীয় জরুরত তথা ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম হলে। কেননা, এটা স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। 

★শরিয়ত নির্দেশিত কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া বা জুলুম করা।

এটা শারীরিকভাবেও হতে এবং মানসিকভাবে হতে পারে। যেমন—স্ত্রীকে মারধর করা, গালাগাল করা, স্ত্রীকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে বাধা প্রদান করা, বেপর্দা কিংবা হারাম কাজে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করা। 

★স্বামীর মধ্যে দ্বিনদারির প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ের হলে। যেমন—নামাজ না পড়া, মদ পান করা, পরকীয়া কিংবা চারিত্রিক অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ঘর সংসার চালিয়ে চাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়,তারা গালাগালি সহ্য করা অনেক কষ্টকর হয়,অসহ্যকর হয়,সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে।

এটা তার জন্য জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...