আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আমার এক পরিচিত ভাইয়ের প্রসাবের আগে ও পরে মজি বের হওয়ার সমস্যা আছে। ফজরের ওয়াক্তে এই সমস্যাটা বেশি হয়। দেখা গেলো বেশির ভাগ দিনই তার ঘুম ভাঙ্গার পর দেখে কিছু মজি বের হয়েছে। এরপর প্রসাব করার পরও অল্প অল্প করে মজি বের হতে থাকে। ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে। অনেক সময় আরো বেশি সময় তা স্থায়ী হয়। এক্ষেত্রে তার করনীয় কি?

আবার রিসেন্টলী সে বিয়ে করেছে। এই মজি এখন আরো বেশি পরিমানে বের হয়। এমন অবস্থা যে কাপড় তার জন্য পাক রাখাই দুষ্কর। কাপড় পরিবর্তন করলে তাতেও নাপাকি লেগে যায়। এক্ষেত্রে তার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
আপনার প্রশ্নের জবাবের পূর্বে লিম্নোক্ত ফাতাওয়াটি লক্ষণীয়--

যখন সারা ওয়াক্ত ব্যাপী উযর দেখা দিবে,তখন আপনার পরিচিত ঐ ভাই মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,মযি বের হওয়া উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার ভাইয়ের জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে তিনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযে যখনই ওজু চলে যাবে,তখন আবার ওজু করে নামাযকে পড়তে হবে।

মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-

কিন্তু যদি উযর কখনো কমে আসে,সারা ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে,বরং কমপক্ষে এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে,উক্ত ওয়াক্তের ফরয সুন্নত নামায পড়া যায়,তাহলে তখন ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে না।সুতরাং তখন হুকম হলো,প্রয়োজন হলেও বারবার ওজু করে নামাযকে সম্পন্ন করবে।

সুতরাং,
যখন আপনার ভাইয়ের এ রোগ কমে আসবে,তখন তিনি প্রয়োজনে বারংবার অজু করে ঐ নামাযকে সম্পন্ন করবেন।অজুকে ধরে রাখার কৌশল হিসেবে প্রয়োজনে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মযি নাপাক।আপনার প্রশ্নের বিবরণ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে,আপনার ঐ পরিচিত ভাই মা'যুর নন।সুতরাং তিনি অজু করে নতুন কাপড় পরিধান করে নামায পড়বেন।প্রয়োজনে বারংবার অজু করে কাপড় পাল্টিয়ে নামায পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...