আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (1 point)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ 

  • আদম আলাইহিস সালাম আর হাওয়া আলাইহিস সালাম জান্নাতে যে ফল খেয়েছিলো সে ফলটির নাম কি কুরআন হাদীসে উল্লেখিত আছে?
  • আর ফলটি প্রথমে হাওয়া আলাইহিস সালাম পুরো খেয়ে ফেলেছিল কিন্তু আদম আলাইহিস সালাম পড়ে খেয়েছে এবং গলায় অর্ধেক থাকা অবস্তায় আটকিয়ে গিয়েছিলো এটি কি সত্যি?এবং এজন্য আমাদের পুরুষদের গলায় একটি আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা দিয়েছেন এই আকিদা কি সঠিক?
  • আর এ ফল খাওয়া কি আদম আলাইহিস সালামের পাপ ছিলো না ভুল ছিলো?আর এই ভুলের সাথে আদম আলাইহিস সালাম এর নবী হিসেবে নিষ্পাপ হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে?
  • আদম আলাইহিস সালাম তার পুত্র দাউদ আলাইহিস সালাম কে উনার হায়াত থেকে ৬০ বছর দিয়েছেন আর দাউদ আলাইহিস সালাম কে তিনি কিভাবে হায়াত দিয়েছিলেন কারণ তিনি তো অনেক পড়ের নবী! এই বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? আর আদম আলাইহিস সালাম এর হায়াত ১০০০ বছর ছিলো এটি কি সঠিক?
  • ৯৪০ বছর যখন হয়েছিলো তখন মালাকুল মাউত রুহ কবজ করার সময় আদম আলাইহিস সালাম কি বলেছিলো তিনি ৬০ বছর তার পুত্র দাউদ আলাইহিস সালাম কে দেন নি?আর তখন থেকেই আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা কাধে দুই ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিয়েছেন তা কি সত্যি?
  • আমাদের কাধে দুই ফেরেশতা হচ্ছে কিরামান ও কাতিবিন?কোন কাধে কোন ফেরেশতা তা কি কুরআন ও সুন্নায় উল্লেখ আছে?
  • এই দুইজন ফেরেশতা ছাড়াও কি আরো একজন ফেরেশতা (উনি কিসের কাজে নিয়োজিত?) ও একটি শয়তান সকলের সাথে সবসময় নিযুক্ত থাকে?আর শয়তান শুধু মানুষকে ঈমানহারা করতে চায় সারাক্ষণ ই এটি কি সত্যি?শয়তান খুব যন্ত্রণা দেয় ঈমান শক্ত হওয়ার পর ও,মানসিকভাবে কষ্ট দেয়,খুব মন খারাপ হয় মাঝেমাঝে,খুব ভয় হয় আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা না করুন ঈমানহারা হয়ে মারা যাই কিনা শয়তান এর ফাদে পড়ে।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 
জবাবঃ- 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلَى 
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?
 فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ الْجَنَّةِ وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى 
অতঃপর তারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করল, তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল এবং তারা জান্নাতের বৃক্ষ-পত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে শুরু করল। আদম তার পালনকর্তার অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথ ভ্রষ্ঠ হয়ে গেল।(সূরা ত্বাহা-১২০-১২১) 

কোন ফল খেয়েছিলেন?সেটা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।তবে অধিকাংশ মুফাস্সিরীনে কেরাম বলেন,গম খেয়েছিলেন। কে আগে আর কে পরে খেয়েছেন?কার গলায় আটকে ছিলো?আর কার আটকেনি? এগুলো কুরআন হাদীসে স্পষ্ট কিছু আসেনি।হ্যা কিছু কিছু ইসরাঈলী বর্ণনায় এ সম্পর্কে কিছুু আলোচনা পাওয়া যায়,তবে এগুলোকে সত্য মিথ্যা কিছুই বলা যাবে না। 

 আদম আঃ এর পাপও ছিল না এবং ভুলও ছিল না।বরং ইজতেহাদি ভূল ছিলো।এভাবে যে আল্লাহ একটি গাছকে দেখিয়ে বলেছিলেন যে, হে আদম! ঐ যে গাছ দেখছো! সেই গাছের ধারেকাছেও যেও না।আল্লাহর উদ্দেশ্য ছিল,এ জাতীয় কোনো গাছের ধারেকাছে যেওনা। আদম আঃ বুঝেছিলেন,আল্লাহ যে গাছের দিকে ইশরা করে বলেছের,শুধুমাত্র সেই গাছের ধারেকাছে যাওয়া যাবে না। সেই গাছের ফল খাওয়া নিষেধ।তবে এ জাতীয় অন্যান্য গাছের ফল খাওয়া যাবে।

 আদম আঃ এর কোনো পুত্রর নাম দাউদ নামে ছিল না। 

 কিরামান কাতিবিন অর্থ, সম্মানিত লিখক দ্বয়।কে কোন কাধে থাকেন,তার নাম কি? সেটা নির্দিষ্ট নয়।

 ১৩ : ১১ لَهٗ مُعَقِّبٰتٌ مِّنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡهِ وَ مِنۡ خَلۡفِهٖ یَحۡفَظُوۡنَهٗ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُغَیِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِهِمۡ ؕ وَ اِذَاۤ اَرَادَ اللّٰهُ بِقَوۡمٍ سُوۡٓءًا فَلَا مَرَدَّ لَهٗ ۚ وَ مَا لَهُمۡ مِّنۡ دُوۡنِهٖ مِنۡ وَّالٍ ﴿۱۱﴾ 
মানুষের জন্য রয়েছে, সামনে ও পেছনে, একের পর এক আগমনকারী প্রহরী, যারা আল্লাহর নির্দেশে তাকে হেফাযত করে। নিশ্চয় আল্লাহ কোন কওমের অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আর যখন আল্লাহ কোন জাতির মন্দ চান, তখন তা প্রতিহত করা যায় না এবং তাদের জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই। 

 কিছু ফেরেশতা রয়েছে যারা তার ভাল কিংবা মন্দ আমল হেফাযত করে। রাতে কিছু ফেরেশতা দিনে কিছু ফেরেশতা। তার ডানে বামে দুজন, যারা তার আমল লিখে। ডান দিকের ফেরেশতা তার সৎকর্ম লিখে, আর বাম দিকের ফেরেশতা তার অসৎকর্ম লিখে। আবার দুজন ফেরেশতা রয়েছে যারা তাকে হেফাযত করে, একজন তার সামনের দিকে অপরজন তার পিছনের দিকে। সুতরাং সে দিনে রাতে চার ফেরেশতার মাঝখানে বসবাস করে। যারা পরিবর্তিতভাবে আগমন করে থাকে। দু'জন আমল হেফাযতকারী আল্লাহর নির্দেশে মানুষের হেফাযত করা তাদের দায়িত্ব। আর বাকী দু’জন লিখক। তাদের আমলনামা লিখে। [ইবন কাসীর] 
হাদীসে এসেছেঃ ফিরিশতাদের দুটি দল হেফাযতের জন্য নিযুক্ত রয়েছে। একদল রাত্রির জন্য এবং একদল দিনের জন্য। উভয় দল ফজর ও আসরের সালাতের সময় একত্রিত হন। ফজরের সালাতের পর রাতের পাহারাদার দল বিদায় নেন এবং দিনের পাহারাদাররা কাজ বুঝে নেন। আসরের সালাতের পর তারা বিদায় হয়ে যান এবং রাতের ফিরিশতারা দায়িত্ব নিয়ে চলে আসেন। [বুখারীঃ ৭৪২৯, মুসলিমঃ ৬৩২]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন  করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...