বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلَى
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?
فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ الْجَنَّةِ وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى
অতঃপর তারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করল, তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল এবং তারা জান্নাতের বৃক্ষ-পত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে শুরু করল। আদম তার পালনকর্তার অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথ ভ্রষ্ঠ হয়ে গেল।(সূরা ত্বাহা-১২০-১২১)
কোন ফল খেয়েছিলেন?সেটা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।তবে অধিকাংশ মুফাস্সিরীনে কেরাম বলেন,গম খেয়েছিলেন।
কে আগে আর কে পরে খেয়েছেন?কার গলায় আটকে ছিলো?আর কার আটকেনি? এগুলো কুরআন হাদীসে স্পষ্ট কিছু আসেনি।হ্যা কিছু কিছু ইসরাঈলী বর্ণনায় এ সম্পর্কে কিছুু আলোচনা পাওয়া যায়,তবে এগুলোকে সত্য মিথ্যা কিছুই বলা যাবে না।
আদম আঃ এর পাপও ছিল না এবং ভুলও ছিল না।বরং ইজতেহাদি ভূল ছিলো।এভাবে যে আল্লাহ একটি গাছকে দেখিয়ে বলেছিলেন যে, হে আদম! ঐ যে গাছ দেখছো! সেই গাছের ধারেকাছেও যেও না।আল্লাহর উদ্দেশ্য ছিল,এ জাতীয় কোনো গাছের ধারেকাছে যেওনা। আদম আঃ বুঝেছিলেন,আল্লাহ যে গাছের দিকে ইশরা করে বলেছের,শুধুমাত্র সেই গাছের ধারেকাছে যাওয়া যাবে না। সেই গাছের ফল খাওয়া নিষেধ।তবে এ জাতীয় অন্যান্য গাছের ফল খাওয়া যাবে।
আদম আঃ এর কোনো পুত্রর নাম দাউদ নামে ছিল না।
কিরামান কাতিবিন অর্থ, সম্মানিত লিখক দ্বয়।কে কোন কাধে থাকেন,তার নাম কি? সেটা নির্দিষ্ট নয়।
১৩ : ১১ لَهٗ مُعَقِّبٰتٌ مِّنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡهِ وَ مِنۡ خَلۡفِهٖ یَحۡفَظُوۡنَهٗ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُغَیِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِهِمۡ ؕ وَ اِذَاۤ اَرَادَ اللّٰهُ بِقَوۡمٍ سُوۡٓءًا فَلَا مَرَدَّ لَهٗ ۚ وَ مَا لَهُمۡ مِّنۡ دُوۡنِهٖ مِنۡ وَّالٍ ﴿۱۱﴾
মানুষের জন্য রয়েছে, সামনে ও পেছনে, একের পর এক আগমনকারী প্রহরী, যারা আল্লাহর নির্দেশে তাকে হেফাযত করে। নিশ্চয় আল্লাহ কোন কওমের অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আর যখন আল্লাহ কোন জাতির মন্দ চান, তখন তা প্রতিহত করা যায় না এবং তাদের জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই।
কিছু ফেরেশতা রয়েছে যারা তার ভাল কিংবা মন্দ আমল হেফাযত করে। রাতে কিছু ফেরেশতা দিনে কিছু ফেরেশতা। তার ডানে বামে দুজন, যারা তার আমল লিখে। ডান দিকের ফেরেশতা তার সৎকর্ম লিখে, আর বাম দিকের ফেরেশতা তার অসৎকর্ম লিখে। আবার দুজন ফেরেশতা রয়েছে যারা তাকে হেফাযত করে, একজন তার সামনের দিকে অপরজন তার পিছনের দিকে। সুতরাং সে দিনে রাতে চার ফেরেশতার মাঝখানে বসবাস করে। যারা পরিবর্তিতভাবে আগমন করে থাকে। দু'জন আমল হেফাযতকারী আল্লাহর নির্দেশে মানুষের হেফাযত করা তাদের দায়িত্ব। আর বাকী দু’জন লিখক। তাদের আমলনামা লিখে। [ইবন কাসীর]
হাদীসে এসেছেঃ ফিরিশতাদের দুটি দল হেফাযতের জন্য নিযুক্ত রয়েছে। একদল রাত্রির জন্য এবং একদল দিনের জন্য। উভয় দল ফজর ও আসরের সালাতের সময় একত্রিত হন। ফজরের সালাতের পর রাতের পাহারাদার দল বিদায় নেন এবং দিনের পাহারাদাররা কাজ বুঝে নেন। আসরের সালাতের পর তারা বিদায় হয়ে যান এবং রাতের ফিরিশতারা দায়িত্ব নিয়ে চলে আসেন। [বুখারীঃ ৭৪২৯, মুসলিমঃ ৬৩২]