আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
875 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
অনলাইন মার্কেটে বিভিন্ন প্রকার company আছে,যেমন freepik,shuterstok,fiverr etc,এরা তো অমুসলিম,আর আমি যদি সেখানে কোন কাজ design  করে রাখি, আর কেউ যদি তা ডাউনলোড করে হারাম কাজে লাগায় তা কি হারাম হবে?
উক্ত কোম্পানিগুলো সূদ খেতে ও পারে আবার নাও পারে,তবে অমুসলিম হিসেবে এদের সুদ খাওয়াটাই বেশী আশংকাজনক,তাই এসব কোম্পানীতে কাজ করা কি হালাল হবে,দেখা গেলো আমি কোন halal design দিয়ে রাখলাম আর অন্যকেউ এসে তা ডাউনলোড করে কোন সূদ কোম্পানির কাছে বিক্রি করল,বা কোন সুদ কোম্পানি সরাসরি আমার হালাল ডিজাইনটা কিনে নিল,এতে দোষ কার হবে?দোষ যদি আমার নাও হয় তবে সুদ কোম্পানীকে তো এক দিকে সাহায্য করা হয়ে গেল,কারণ আমি design করেছিলাম বলেই,সুদ কোম্পানিটি ডাউনলোড করে তা ব্যবহার করলো,এতে দোষ কার হবে?এখানে দেখা দরকার আমি কোন সুদ কোম্পানীকে সরাসরি সাহায্য করছি না,তারা আমার রেখে যাওয়া ডিজাইন ব্যবহার করছে,আর যাদের থেকে কিনছে তারা মূলত অমুসলিম কোম্পানি  বলতে পারেন।
এখানে আমার করা ডিজাইন গুলো আমি freepik কোম্পানীতে রেখেছি বিক্রির জন্য পরে দেখা গেল কোন সুদী কোম্পানী আমার ডিজানই পছন্দ করে কিনে নিল আর  freepik company আমাকে টাকা দিল এতে টাকা গুলো কি হারাম?
ডিজাইন কেনা বেছায় আমার কোন সরাসরি হাত নেই,
আমি হালাল ডিজাইন করে freepik company তে রাখলাম বিক্রির জন্য, পরে কোন সুদী কোম্পানী তা কিনে নিল এতে কি আমার কোন গুনাহ হবে কিনা?
যদি দোষ আমার নাও হয়, তবুও আমি তো কোন একভাবে সেই সুদী company কে সাহায্য করে ফেললাম,কারণ আমি Halal design করে freepik company তে রেখেছি বিধায় সে লোক freepik company হতে তা কিনে নিয়েছে,এতে কি আমার কোন দোষ বা গুনাহ হবে?আর freepik company ও এর দ্বারা কিছু লাভবান হয়েছে বলতে পারেন,এর ফলে তারা সেই লাভ সুদ বা অন্য যা করবে করুক গা, আমার কি কোন দোষ হবে?
সহীহ বুখারী শরীফের এক হাদীস,রাসুলআল্লাহ একদিন ওমার রা: কে রেশমী কাপড় দিলেন এই জন্য যে তিনি তা বিক্রি করে দিবেন বা অন্য কাউকে দান করে দিবেন,এখন ওমার রাঃ যদি সেই হারাম রেশমী কাপড় কোন ইহূদীর কাছে বেছে দেয় তাহলে তো তিনি এক হারাম জিনিস বিক্রি করেছেন,এতে কি ওনার কোন দোষ হবে না?(তবুও এসব প্রশ্নের জন্য আমি আমার রবের কাছে ইস্তিখারা নামায পড়েছি,আর সে দিন আমি স্বপ্ন দেখলাম যে আমি যেন freepik company তে আমার graphic design গুলো ছেড়ে দিচ্ছি,বিক্রির জন্য)তো শাইখ আমি এখন কি করি?

1 Answer

+1 vote
by (591,600 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/398 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি উপরোক্ত কম্পানির সমূহের নিকট আপনার হালাল কাজকে বিক্রি করতে পারবেন।শর্ত এই যে,কাজটি শতভাগ হালাল হতে হবে।সুদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারবে না।হালাল বা জায়েয কাজ বলতে, আপনার ডিজাইনটা এমন হতে হবে যে,তাতে ছবি থাকতে পারবে না।সুদের হিসাব নিকাশ সম্পর্কিত কোনো অংক বা ইশারা ইঙ্গিত থাকতে পারবে না।পরবর্তীতে এই এই হালাল ডিজাইনকে কোনো সুদী কম্পানি ক্রয় করে নিলে তাতে আপনার কোনো সমস্যা নাই।বরং আপনিতো হালাল ও বৈধ কাজ করেছিলেন।সুদী কম্পানি ক্রয় করে নিয়ে তাদের সুদী কারবারে সেই কাজকে ব্যবহার করলে,এটার শাস্তি তারা এর শাস্তি পাবে।




(২)
হযরত উমর রাযি কে রাসূলুল্লাহ বলেছিলেন,যে তুমি সেটাকে বিক্রি করে দিবে বা কাউকে দিয়ে দিবে। 
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মাধ্যমে হারামের কাজে সহযোগিতা করার সীমারেখা বর্ণনা করছেন।

মদ বা সুদ হারাম।সবার জন্যই হারাম। নারী হোক বা পুরুষ হোক।কিন্তু রেশম মহিলাদে জন্য জায়েয।তাছাড়া যে সব জিনিষ দ্বারা মানুষের উপকার হয়,সেসব জিনিষের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। তবে মদ ও শুকর ব্যতীত।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ, মত,শুকর এবং রেশমের বিধান সমান নয়।বরং উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।সে জন্য রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম হাদিয়া দিয়েছিলেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...