আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
এক বোন জানতে চেয়েছে।

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ আমার কত গুলো প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল। আশা করি উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ

।১) শায়েখ বিয়ের জন্য আহলিয়া সাইটে আমার এবং আমার মেজ আপুর বায়োডাটা জমা দিয়েছি।তো বায়োডাটায় একটা পয়েন্ট আছে নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন, এ পয়েন্টে নিজের বিষয়ে ধারণা দেওয়ার জন্য আমার বায়োডাটাতে লিখছিলাম যে, আলহামদুলিল্লাহ নফল আমল হিসেবে সকালে ও রাতে কুরআন তিলাওয়াত করার তৌফিক পাই পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যার হেফাজতের মাসনুন আমল ও বিভিন্ন জিকির আযকার করার তৌফিক পাই। আর আপুর বায়ো তে লিখেছিলাম যে আল্লাহর অশেষ রহমতে,নফল আমল হিসেবে সকালে সুরা ইয়াসিন ও রাতে সূরা মূলক পাঠ করা হয় আলহামদুলিল্লাহ।তো এসব যে লিখলাম এগুলো কি লোক দেখানো ইবাদত হয়েছে। আর লোক দেখানো ইবাদত তো শিরকের অন্তর্ভুক্ত তো কথাগুলো লেখার কারণে কি শিরক হয়ে গেছে। একটু জানাবেন ইনশাআল্লাহ। আমার এবিষয় মনে হলে খুবই অনুতপ্ত খারাপ লাগে মনে হয় এই টুকু না লিখলে ভাল হত। আর লিখছিলাম অনেকেই দেখছি ওনাদের বায়ো তে অনেক কিছুই লিখে কেউ কেউতাহাজ্জুতের বিষয়টিওলিখে। তাই আমি ভাবছিলাম এগুলো এখানেপ্রকাশ করা মনে হয় জায়েজ আছে। তো শায়েখ জানাবেন শিরক হয়েছে কিনা?

২) আর শায়েখ আমার বায়োডাটা টি আমি অনেকবার এডিট করছি আবার নতুন কথা লিখছি, মানে একেক সময় বিভিন্ন বিষয়ে মনে পড়লে তো ওইটুকু কথা বায়োডাটা তে লিখতাম ,তো এক সময় বিরক্ত হয়ে যেতাম , আর বলতাম যে আল্লাহ সামনে আর লিখব না ইনশাআল্লাহ।তার পর ও আবার অন্য একটি বিষয়ে মনে পড়লে লিখবো না বলেও আবার লিখে ফেলি। কারণ মনে হয় এই কথা টা তো লেখা দরকার ছিল যার জন্য লিখি। তো আমি যে আল্লাহ কে বলেছি যে আর লিখব না তারপরও লিখছি এতে কি আল্লাহকে কথা দেওয়া হয়েছে আর পরবর্তীতে লেখার কারণে কথা খেলাফ করা হয়েছে।?

৩) আর এদিকে আরো একটি বিষয় লিখার দরকার ছিল মানে আমার বায়োডাটা তে আমার রোগের বিষয়ে লিখছি কিন্তু এদিকে যে আমি তার জন্য চিকিৎসা করতেছি এ বিষয়টা লিখিনি, তবে লেখার প্রয়োজন মনে করছি,, তবে লিখতেছি না। আমি মনে করতেছি একে তো লিখবো না বলেও লিখছি তারপর আবারও যদি লিখি আল্লাহ না জানি আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। আর হ্যাঁ এদিকে যদি আবারও লিখি কথা খেলাফের গুনাহ হতে পারে?

৪) হুজুর আমার এক নিকট আত্মীয় ভিক্ষুক মানে,ওনার পায়ে সমস্যা আছে তো উনি ভিক্ষা করে সংসার চালায়, এখন উনি যদি আমাদেরকে কোন কিছু দেয় খেতে ওইটা কি খাওয়া আমাদের জন্য জায়েজ হবে? কারণ আমি মনে করতেছি কত লোকই তো ওনাকে টাকা দান করে তো কার টাকা হালাল না হারাম আমিতো জানিনা যার জন্য উনি কোন কিছু দিলেও আমি খেতে চাই না। এটা কি আমার ঠিক হচ্ছে।?

৫) শায়েখ মেয়েদের পার্কে গিয়ে ভ্রমণ করা কি জায়েজ আছে?

৬) শায়েখ আমি একদিন আসরের নামাজ পড়ছিলাম মানে দেরী হয়ে গেছিল এক জায়গায় গিয়েছিলাম,তো বাড়িতে আসার পর আসরের নামাজ পড়লাম, পড়ার পর দেখি ৫:১৭বাজে, তবে মুসলিম এ্যাপসে দেখলাম ওইদিনের আসরের ওয়াক্তের শেষ হচ্ছে ৫ঃ১৬। এক্ষেত্রে নামাজটা কি,আবার পড়তে হবে?

৭) শায়েখ হানাফী মাযহাবের মেয়েদের সালাফি মাযহাবে,বিয়ে হলে কি কোন সমস্যা হতে পারে, মানে হানাফি মাযহাবের সাথে তো সালাফি মাজহাবের পার্থক্য আছে তাই না। মানে একটা সম্বন্ধ আসে পাত্র হচ্ছে সালাফি মাযহাবের যার জন্য আমার কাছে ভালো লাগে না। এ বিষয়ে একটু পরামর্শ দিলে ভালো হতো।
৮) শায়েখ সুন্নাত ও নফল নামাজের সিজদায় কি বার বার আস্তাগফিরুল্লাহ বা আল্লাহুম্মাগফিরলি পড়া যাবে।?

৯) শায়েখ বাজারে এখন যেসব দামি দামি বিভিন্ন ক্রিম বের হয়েছে এসব ব্যবহার করে কালো স্কিনের মেয়েরা যদি ফর্সা হয় এটা কি জায়েজ আছে? সমাজে দেখা যায় অনেক অবিবাহিত মেয়েরাও এসব ক্রিম ব্যবহার করে ফর্সা হয়ে পুরুষদের নজর কাড়ে এগুলো কি জায়েজ?

১০) শায়েখ অনেক সময় দেখা যায় কোরআন তিলাওয়াত করার সময় ওযু ভেঙ্গে যায় তো ঐ সময় আমি যদি কোরআন না স্পর্শ করে, মানে কাগজের পৃষ্ঠা দিয়ে একটা চিরকুট বানিয়েছি এটা দিয়ে যদি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়ি আর পড়া শেষে কোরআন শরীফের গিলাফ ধরে রেখে দিই কোরআন কে এতে কি গুনাহ হবে?

১১) হুজুর আমাদের গোসলখানা বাথরুম একসাথে তবে বাথরুমে দরজা লাগানো আছে, এতে করে গোসলখানায় ট্যাপের মধ্যে ওযু করলে বিসমিল্লাহ পড়া যাবে?

১২) শায়েখ এখন তো বেশিরভাগই হাতে হাতে স্মার্টফোন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ফেসবুক বা youtube গেলে পর পুরুষদের ছবি চোখের সামনে পড়ে যায়, তবে আমি যদি ইচ্ছাকৃত ভালো ভাবে না দেখি এতে করে কি চোখের গুনাহ হচ্ছে?

১৩) আমার এক বোন উনি অবিবাহিত অবস্থায় এক কবিরাজ এর কাছে যায় তো ওই কবিরাজের দুইটা স্ত্রী আছে সন্তান আছে নাতনিও আছে,তো ঐ আপু গিয়েছিল এই কবিরাজের কাছে ঔষধ আনার জন্য,,তো ঐ কবিরাজ তোর এই আপুকে দেখে পছন্দ করে ফেলে এবং বিভিন্ন তাবিজ কবজ করে আপুকে বিয়ে করার জন্য আর অবশেষে আপুর সাথে অনেক কিছু হয়, যার জন্য ওই আপুকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করে আপুটাকে। এখন এই আপু অবিবাহিত ছিল ও কিন্তু এই কবিরাজের বয়স ৫০-৬০ এর দিকে হবে হয়তো, তো উনার সাথে যে বিয়ে হল এটা কি আপুর তাকদীর ছিল ?

১৪)আর আমার এক প্রতিবেশী আমাকে বলছিল আপনার ওই বোনের তো এরকম বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে হলো ,,তো আমি বললাম এই বিয়ে কি আমরা দিছি,, মানে এই বিয়ে টা তো আর আপুর পরিবারের খুশি মনে সম্মতিতে হয়নি। তো ঐ প্রতিবেশী বলল যে ভাগ্যে থাকলে কোথায় ফেলবেন, তো আমি বললাম যে এটা কিসের ভাগ্য উনি তো ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে করছে, আমি মানি ই না এটা ভাগ্য,, আর বলছিলাম এটা তো একটা দুর্ঘটনা। আর হুজুর তাকদিরের উপর বিশ্বাস রাখা তো ঈমান এর অন্তর্ভুক্ত।তো ঐ আপু যে এরকম বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে হয়েছে ওটা কি আপুর তাকদীর ছিল। আর যদি এটা তাকদীর ই হয়ে থাকে তাহলে আমার কথাগুলোর কারণে কি আমার ঈমানের কোন ক্ষতি হয়েছে??

১৫)হুজুর ফেসবুক এ একটা ভিডিও দেখলাম যে একজন বড় আলেম বলতেছে যে মেডিকেল সাইন্স ল্যাব দ্বারা প্রমাণিত,,মহিলারা মাসিকের সময় পাঁচ ধরনের খাবার খেলে ক্যান্সারে দিকে যাবে। তো খাবার গুলো হলো: শসা ,লবণ ,জাঙ্ক ফুড ,কোল্ড ড্রিংকস, দুধ । আর ঐ আলেম এটাও বলছে যে মাসিকের সময় শসা খেলে নাকি বন্ধ্যাত্ব হয় মহিলারা।তবে আমি এক ডক্টর কে জিজ্ঞেস করি যে মাসিকের সময় নাকি দুধ খাওয়া নিষেধ। তো ডক্টর আমাকে বলে যে কে বলছে এ সময় এগুলো যত বেশি পারেন খাবেন।তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে,, মাসিক চলাকালীন সময়ে আমি যদি এই খাবারগুলো না খাই এতে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হতে পারে, মানে বিদয়াত হবে ?

১৬) শায়েখ কাযা রোজা রাখা অবস্থায় যদি কোন কারনে এ কাজা রোজাটি ভেঙে যায় বা ভাঙতে হয়,, এক্ষেত্রে কি পরে আবার রোজা রাখার ক্ষেত্রে আগের কাজা রোজা তো রাখবোই তবে যেদিন কাজা রোজা রাখার নিয়ত করেছিলাম ঐদিন কোন কারনে ভাঙ্গার ফলে ওইদিনেরটাও আবার কাযা করতে হবে,মানে ধরুন আমার রমজানের ফরজ কাজা রোজা নয়টি, তবে যেদিন আমি একটা রোজা রাখার নিয়ত করলাম তো ঐদিন কোন কারণে ভেঙে গেল, এক্ষেত্রে আমার জিম্মায় থাকা নয় টি রোজা সহ যেদিন নিয়ত করেও ভেঙে গেল এটা সহ দশটি রাখতে হবে?

আমি অনেকগুলো প্রশ্ন করেছি শায়েখ তার জন্য আফওয়ান,, আর অগ্রিম জাযাকুমুললাহ খইরন আপনাদেরকে।

1 Answer

0 votes
ago by (564,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বায়োডাটাতে এগুলো লেখার দরুন রিয়া,শিরক কোনোটাই হয়নি।

বায়োডাটাতে এগুলো লেখার অনুমতি আছে।

(০২)
যেখানে বায়োডাটা দিয়েছেন,তাদের নিয়মের খেলাফ না হলে এভাবে ইডিট করে নতুন কোনো তথ্য যোগ করতে কোনো সমস্যা নেই।

মহান আল্লাহর সাথে ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবেনা। 

(০৩)
এতে কথা খেলাফের গুনাহ হবেনা।

(০৪)
সেটা খাওয়া আপনাদের জন্য জায়েজ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ: إِحْدَى السُّنَنِ أَنَّهَا عُتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ: «أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ؟» قَالُوا: بَلَى وَلَكِنَّ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ قَالَ: «هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَلنَا هَدِيَّة»

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরাহ্ (ক্রীতদাসীর) ব্যাপারে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়। (প্রথম) সে স্বাধীন হবে, তার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার ক্ষেত্রে তার স্বাধীনতা থাকবে। (দ্বিতীয়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মীরাসের অধিকার তারই থাকবে, যে তাকে আযাদ করেছে। (তৃতীয়) [একদিন] রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে এলেন। তখন গোশত রান্না করা হচ্ছিল। ঘরে বানানো রুটি ও তরকারী তাঁর সামনে আনা হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি একটি পাতিলে গোশত দেখলাম। বলা হলো, জি হ্যাঁ। তবে এ গোশত বারীরাকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া হয়েছে, আপনি তো সদাক্বাহ্ (সাদাকা) খান না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ গোশত বারীরার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হলে আমাদের জন্য হাদিয়্যাহ্।

(সহীহ : বুখারী ৫০৯৭, ৫২৭৯, মুসলিম ১০৭৫, নাসায়ী ৩৪৪৭, মুয়াত্ত্বা মালিক ২০৭৩, আহমাদ ২৫৪৫২, ইবনু হিব্বান ৫১১৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৬১২।)

(০৫)
যেক্ষেত্রে নারীদের জন্য জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়াই মাকরুহে তাহরিমি, সেক্ষেত্রে ফিতনার জামানা হওয়ায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া পার্কে যাওয়া জায়েজ হবেনা।

 আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)


আরো জানুনঃ- 

(০৬)
আপনার আসরের নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৭)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৮)
পড়া যাবে।

(০৯)
বিশেষজ্ঞ দের মতে এগুলো ব্যবহারে যদি চেহারার/শরীরের কোনো ক্ষতি না হয়,এতে যদি হারামের মিশ্রণ না থাকে,সেক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা যাবে।

অন্যথায় নয়।

(১০)
এভাবে চিরকুট দিয়ে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করা আদবের খেলাফ। 

(১১)
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত গোসল খানার মধ্যে বাথরুম থাকলেও বাথরুম আলাদা।
বাথরুমের দরজা আলাদা,আর তাহা বন্ধ থাকে।

সুতরাং এক্ষেত্রে উক্ত গোসলখানায় ট্যাপে ওযু করলে বিসমিল্লাহ পড়া যাবে।

(১২)
এক্ষেত্রে ফিতনায় পতিত হওয়ার আশংকা না থাকলে গুনাহ হবেনা।

(১৩)
এটাও তাকদীরের অন্তর্ভুক্ত। 

(১৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের ক্ষতি হয়নি। তবে পরবর্তীতে তাকদীর নিয়ে আর এহেন বাক্য বলা যাবেনা।

(১৫)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা, বিদয়াত হবেনা।

(১৬)
এক্ষেত্রে আপনাকে ২ টি নয়,বরং একটি কাজা রোযাই রাখতে হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জিম্মায় থাকা নয় টি রোজার কাজা আপনাকে রাখতে হবে।

১০ টি নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...