আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
280 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
মহিলারা মাথার চুল আচড়ানোর সময় যে চুল উঠে যায় বা চুল পড়ে সে চুলগুলা না ফেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে না থেকে এমনিতে চুলগুলা পলিথিনে চুল জমানো জায়েজ কিনা?,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই আমরা দুটি মাসয়ালা জেনে নেইঃ

এক,
শরীয়তের বিধান মতে মহিলাদের চুল মাথায় থাকুক,বা ঝড়ে পড়া চুল হোক,কোনোক্রমেই গায়রে মাহরাম পুরুষ এর জন্য তাহা দেখা জায়েজ নেই। 
,
সুতরাং বাড়িতে গায়রে মাহরাম পুরুষ থাকলে   যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে যে উক্ত চুল যেনো কোথাও পড়ে না থাকে।

ঝড়ে পড়া চুল মাটিতে দাফন করে দিতে হবে,বা কোনো কাপড় বা ব্যাগে করে দূরে কোথাও নিক্ষেপ করতে হবে,যাতে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ এর নজর যেনো উক্ত চুলের দিকে না পড়ে।
,
শরীয়তের বিধান হলো যথাসম্ভব চেষ্টা করার পরেও যদি অগোচরে  কোনো চুল মাটিতে পড়ে যায়,বা উড়ে যায়,তাহলে সেই চুল যদি কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ দেখে,তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত মহিলার কোনো গুনাহ হবেনা। 

ঐ ব্যক্তি যদি সেটা দেখে কুচিন্তা করে,তাহলে তার গুনাহ হবে।
,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)
,
قال العلامة الحصکفي رحمه الله تعالی: "و کل عضو لا یجوز النظر إلیه قبل الانفصال، لا یجوز بعده و لا بعد الموت، کشعر عانة و شعر رأسها". ( الشامیة ٦ / ٣٧١ )

সারমর্মঃ যেই অঙ্গের দিকে পৃথক হওয়ার পূর্বে নজর (দৃষ্টি) দেওয়া জায়েজ নেই,সেই অঙ্গ গুলোর দিকে তাহা পৃথক হয়ে যাওয়ার পরও নজর দেওয়া জায়েজ নেই।
মারা যাওয়ার পরেও নজর দেওয়া জায়েজ নেই। 
যেমন মাথার চুল ইত্যাদি,,,,  

আরো জানুনঃ 

,
দুই,
চুল বিক্রি করা জায়েয হবে না।
বরং এগুলোকে দাফন করতে হবে।

ইমাম মুহাম্মদ রহঃ তার রচিতগ্রন্থে বলেন,

 ولا يجوز بيع شعر الانسان

অর্থ, মানুষের চুল বিক্রি করা জায়েয নাই।
(মাজেউস সগীর মায়া নাফেউল কবীরঃ ১/৩২৮)

জাসেউস সগীরের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাফেউল কবীরে এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন,

ولا يجوز بيع شعر الإنسان إلخ لأن الإنسان مكرم فلا يجوز أن يكون منه شئ مبتذل

অর্থ,(মানুষের চুল বিক্রি করা জায়েয নাই) কেননা, মানুষ হলো সম্মানী। সুতরাং কিছূতেই জায়েয হবে না মানুষের কোন অঙ্গকে অমর্যাদা করা।
(নাফেউল কবীর শরহে জামেউস সগীরঃ ১/৩২৮)

কানজুদ দাকায়েকের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাবঈনুল হাকায়েকে আছে,

قَالَ ( وَشَعْرِ الْإِنْسَانِ ) يَعْنِي لَا يَجُوزُ بَيْعُ شَعْرِ الْإِنْسَانِ وَالِانْتِفَاعُ بِهِ ؛ لِأَنَّ الْآدَمِيَّ مُكَرَّمٌ فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ جُزْؤُهُ مُهَانًا

অর্থ, কানজুদ দাকায়েকের লিখকের কথা (মানুষের চুল) । অর্থাৎ অর্থ,মানুষের চুল বিক্রি করা জায়েয নাই কেননা, মানুষ হলো সম্মানী। সুতরাং কিছূতেই জায়েয হবে না মানুষের কোন অঙ্গকে অপমানীত করা।
(তাবঈনুল হাকায়েকঃ ১০/৪৬৩)

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা  মহিদের যেসব চুল পড়ে সে চুলগুলা না ফেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে না থেকে এমনিতে চুলগুলা পলিথিনে চুল জমানো জায়েজ আছে।
,
তবে এই চুল যদি কোনো ভাবে গায়রে মাহরাম পুরুষের নজরে পড়ে, কোনো সময়ে তার দৃষ্টিগোচর হয়,  তাহলে এটি জায়েজ নেই।
,
তাই সতর্কতা অবলম্বন হিসেবে চুল গুলো একত্রিত করে মাটিতে দাফন করাই উচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...