(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো হাদীস পাওয়া যায়নি।
এটাকে রাসুল সাঃ এর হাদীস বলা যাবেনা।
এটি ছহীহ কথা নয়।
,
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144106200833 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে দাইয়্যুস জান্নাতে যাবেনা,মর্মে হাদীস এসেছে।
,
এখন আমাদের জানতে হবে যে দাইয়্যুস কে?
,
বেপর্দা নারীর গার্জিয়ান যে হবে,সেই দাইয়্যুস হিসেবে সাব্যস্ত হবে।যদি পিতা জীবিত থাকেন,বা বড় ভাই জীবিত থাকেন,তাহলে অভিভাবকত্বের দায়িত্ব তাদের।তাই তারা দাইয়্যুস হিসেবে পরিগণিত হবেন।যদি তারা না থাকেন,তাহলে ছোট্ট ভাই তাদের অভিভাবক হবে।এবং সে দাইয়্যুস হিসেবে পরিগণিত হবে।
দাইয়ুস সে ব্যক্তিকেই বলা হয়, যে তার পরিবার পরিজনকে সঠিক রাস্তায় পরিচালনা করেন না।
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকেও দাইউস বলা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, “আল্লাহ তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। মাদকাসক্ত, পিতা-মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেয়”[ মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯ ]
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন :
‘দাইউস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ)! দাইউস কে? উত্তরে রাসুলূল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পরিবারে আল্লাহ্র আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন তৎপরতা অবলম্বন করে না বরং উপেক্ষা করে চলে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ‘দাইউস হল সে, যে তার পরিবারে বেহায়পনার বাস্তবায়নে সন্তষ্ট ও পরিতুষ্ট।’ (মুসনাদে আহমদ)
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
,
ফরজ সালাতের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ে ফেললে অথবা অল্প একটু পরে ফেলার পর মনে পড়লে,তখন করনীয় হল, আপনি সম্পূর্ণ পুরা করে নামায পড়বেন।
সাহু সিজদা আসবে না।
,
বিস্তারিত জানুনঃ