ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)জ্বী, নামাজে ভুল হযেছে কি না? এটা নিশ্চিত হলে এবং অনিশ্চিত হলে, সাহু সিজদার বিধানে পরিবর্তন আসবে।
(২) কোনো কারণে ফজরের নামাজে উঠতে না পারলে যোহরের আগে যেকোনো সময় পড়ে নিলে, সেক্ষেত্রেও ঐ নামায কাজা হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩)সুন্নাত নামাজ ওয়াক্ত শুরু না হলেও পড়া যায়।কিন্তু কোনো কারণে ওয়াক্তের ভেতরে সুন্নাত নামাজ পড়তে না পারলে, পরের ওয়াক্তে কাজা হিসেবে পড়া যাবে।তবে জরুরী নয়।
(৪) সালাতুল দুহা,ইশরাকের সালাত ও চাশতের সালাত কে একইভাবে পড়া যাবে।
(৫) ঘরের ভেতর ছবি বা প্রানীর আকৃতির কিছু থাকলে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেনা।এগুলো যদি বাক্স বা আলমারিতে বদ্ধ থাকে, তাহলে রহমতের ফেরেশতার জন্য প্রতিবন্ধক হবে না।
চোখ মুখ বাদে প্রজাপতির পাখার আকৃতির কিছু ঘরে রাখা যাবে। চোখ মুখ বাদে শুধু কালো ছায়ার মতো কিন্তু মানুষের অবয়বের কোনো ছবি ঘরে থাকলে সমস্যা হবে না।
(৬) টেক্সটে ইমোজি ব্যবহার করা হারাম?ফোনের থিমে ইমোজি বা প্রানীর আকৃতির কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
(৭) হোস্টেলে গনরুমে থাকা অবস্থায় দেখা যায় নামাজ পড়ার সময় আশেপাশে অনেকে বেপর্দা হয়ে থাকে বা ফোনে গান শোনে অথবা অনেকের কাছে পুতুল বা ছবি থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার নামায হবে। তবে যেই ঘরে ছবি থাকবে, সেই ঘরে নামায পড়া মাকরুহ।
(৮)পরীক্ষার হলে কারো কাছ থেকে কিছু শুনে লেখা যাবে না। গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
(৯) ইনশাআল্লাহ,সুবহানাল্লাহ উচ্চারণের সময় ইংশাআল্লহ,সুবহানআল্লহ উচ্চারণ করতে হবে। এবং লেখার সময়ও উচ্চারণের মতো করেই লিখতে হবে।
(১০)নামাজে সূরাহ বা দোয়া চোখ বন্ধ করে পড়া?মাকরুহ।
দ্বিতীয় রাকাতে প্রথম রাকাতের চেয়ে ছোট সূরাহ পড়তে হবে, এটাই মুস্তাহাব পদ্ধতি।