আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি একটি বিজনেস করতে চাচ্ছি বিউটি প্রোডাক্ট নিয়ে। প্রোডাক্ট গুলো ভালো। ন্যাচারাল প্রোডাক্ট বেশিরভাগ। যেমন, ফেস ওয়াশ, তেল ইত্যাদি আমি প্রোডাক্ট গুলো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেল করার প্ল্যান করছি। যেখানে এ প্রোডাক্ট গুলো মেয়েরা বেশি কিনবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা বেশিরভাগই বেপর্দা। ফ্রী মিক্সিং থেকে শুরু করে ছেলেদের সাথে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসায় লিপ্ত।  বেপর্দা মেয়ে গুলো  এ বিউটি প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করলে আমিও কি গুনাহগার হবো? যেখানে তারা প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করে তাদের সৌন্দর্য পরপুরুষকে প্রদর্শন করবে। এ প্রোডাক্ট গুলো দিয়ে বিজনেস শুরু করলে পরবর্তীতে অনান্য প্রোডাক্টও সেল করার পরিকল্পনা করছি। এগুলো দিয়ে শুরু করলে আমার জন্য সুবিধা হবে। তবে এতে শরীয়াহ এর দিক দিয়ে সমস্যা থাকলে বাদ দিবো ইং শা আল্লাহ!

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোনো প্রডাক্টে হারাম বস্তুর মিশ্রণ থাকার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমান পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম বস্তু মিশ্রণ এর প্রমান পাওয়া গেলে তা অবৈধ। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ

আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)

শরীয়তের বিধান হলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে  যদি সেই ক্রীম,প্রসাধনী সামগ্রী শরীর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না হয়,এবং তাতে কোনো হারামের মিশ্রণ যদি না থাকে। 

(রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا ضرر ولا ضرار ক্ষতি ও ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি নেই। (সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯))

এবং তাতে কোনোপ্রকার নেশাজাত দ্রব্যাদি সংযুক্ত করা না হয় তাহলে ফর্সা হওয়ার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয হবে।

হযরত সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺠﺒﻦ ﻭﺍﻟﻔﺮﺍﺀ ﻓﻘﺎﻝ : ( ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﻣﺎ ﺳﻜﺖ ﻋﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﻤﺎ ﻋﻔﺎ ﻋﻨﻪ )
সারমর্মঃ  
নবীজী সাঃ কে ঘি,পণীর,এবং জঙ্গলি গাধা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃহালাল সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা উনার কিতাবে হালাল করে দিয়েছেন।এবং হারাম সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে হারাম করে দিয়েছেন।আর যেগুলোর বিধি-বিধান বর্ণনা করেননি,তা হালাল বিধানের-ই অন্তর্ভূক্ত। (জা'মে তিরমিযি-১৭২৬)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রডাক্টে যদি হারাম বস্তুর মিশ্রণ না থাকে এবং ত্বক ও শরীরের জন্য তাহা ক্ষতিকর না হলে, সেটি বিক্রয় করা ও তাহা হতে উপার্জন করা আপনার জন্য নাজায়েজ হবেনা।

★মৌলিক ভাবে কসমেটিকস বিক্রয় করা জায়েজ আছে। তবে যদি কারোর ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত ভাবে জানেন যে, সে এগুলো ক্রয় করে হারাম প্রদর্শনী করবে। তখন তার কাছে আপনি বিক্রয় করবেন না।


আর যদি এ ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে জানা না যায় যে, সে কী কাজে ব্যবহার করবে। তাহলেও তার কাছে বিক্রয় করা জায়েজ হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। 


এই ক্ষেত্রে হারাম প্রদর্শনীতে সে ব্যবহার করলে গুনাহ তার হবে। 


তার পরেও সতর্কতামূলক এ ধরনের ব্যবসা না করারই পরামর্শ উলামায়ে কেরামগন প্রদান করে থাকেন। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...