জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।
أُولَـٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ ۖ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। (সূরা বাকারা-১৫৫-১৫৬-১৫৭)
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الْخَيْرَ عَجَّلَ لَهُ الْعُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الشَّرَّ أَمْسَكَ عَنْهُ بِذَنْبِهِ حَتَّى يُوَفَّى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ "
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন তার বান্দার মঙ্গল সাধনের ইচ্ছা করেন তখন দুনিয়ায় তাকে অতি তাড়াতাড়ি বিপদ-আপদের সম্মুখীন করা হয়। আর যখন তিনি কোন বান্দার অকল্যাণের ইচ্ছা করেন তখন তিনি তার গুনাহের শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। অবশেষে কিয়ামতের দিন তাকে এর পরিপূর্ণ আযাবে তাকে নিপতিত করেন।(সুনানু তিরমিযি-২৩৯৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
উলামায়ে কেরামগন বলেন, বিপদে পড়ে যেই বান্দা সবর করে,আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, তার জন্য ঐ বিপদ রহমত স্বরূপ।আর যেই বান্দা না শুকরি করে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তার জন্য ঐ বিপদ আযাব স্বরূপ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে যদি আসলেই ওযরবশত আগের চেয়ে ইবাদত কম করতে পারেন বা নামাযে কাযা হয়ে যায়,তবে যদি ধৈর্য ধারণ করেন,আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন,তাহলে এই অসুস্থতা আযাব হবেনা।
তবে নামাজ কাজা করার মতো ওযর না পাওয়া গেলে কঠিন,সেরকম কঠিন অসুস্থতা না থাকা সত্ত্বেও ইবাদত কম করলে বা ধৈর্য ধারণ না করলে, আল্লাহর এই ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট না হয়ে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে সেক্ষেত্রে এই অসুস্থতা আল্লাহর আযাব হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
অসুস্থ হলে এই ভেবে ধৈর্য ধারন করবেন যে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পরীক্ষা করছেন,সুতরাং ধৈর্য ধারণ করে পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে হবে।
এই অসুস্থতাকে নিজের গুনাহ মাফ ও আখেরাতে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির কারন মনে করতে হবে।
আল্লাহ আমাকে সুস্থ করে দিবেন এটা ভাবার পাশাপাশি এও ভাবনা আসে হয়তো আমার হায়াত শেষ,মারা যেতে পারি।এইরকম ভাবনা গুনাহ নয়।