আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর,

প্রশ্ন :১
আমি হুজুর আজকে, আল্লাহ তায়ালা কে মানুষ রুপে স্বপ্নে দেখেছি,আমার তার রুপ মানুষ রুপে মনে আছে কিন্তু স্পষ্ট মনে নেই,তিনি উনার নিজ রুপে ছিলেন না,আমাকে বলছেন উনি আমি যেনো ভালো হয়ে যাই,ভালো হলে আমার জন্য উনি জান্নাতের সু-সংবাদ দিয়েছেন।
উনি আরো বলেছেন আমার কাছে নাকি বেশি সময় নাই, আমি শিগ্রই মারা যাবো,
তারপর আমি দেখলাম আমি তার পায়ে ঝাপ দিয়ে পরে গেসি,তারপর কান্না করছি আর বলছি আল্লাহ আমিতো অনেক বড় পাপি, আমাকে আল্লাহ তুমি ক্ষমা করে দাও,পরে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করবেন বললেন(যদি ভালো হই আরকি) তারপর মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেলেন, আর আমার ঘুমও ততক্ষনে ভেঙে গিয়েছিলো,

বি:দ্র:

আমি হুজুর রিয়েল জীবনে, আগে অনেক ভালো ছিলো নামায পরতাম, হারাম হালাল, ইস্লামের সকল হুকুম আহকাম মেনে চলতাম কিন্তু বর্তমানে আমি আমার হেদায়াত হারিয়ে ফেলেছি, ঠিক এমন সময় আমি আজকে এই স্বপ্নটা দেখলাম, আমাকে দয়া করে একটু জানাবেন এই স্বপ্নের ব্যাখ্যাটা কি হবে,?  আমিকি সত্যি তেই খুব শিগ্রই মারা যাবো ?
আমি যতটুকু বুঝলাম, আল্লাহ তায়ালা এখনো আমাকে ভালোবাসেন এবং তিনি চান আমি সত্যের পথে আসি, তাই তিনি আমাকে এই স্বপ্নের মাধ্যমে সতর্ক করেছেন, ভালো হতে বলেছেন,

প্রশ্ন : ২

আর একটি প্রশ্ন,আমিকি সত্যিই আল্লাহকে দেখেছি,? এটাকি আদ্যও সম্ভব,?  আমি তাকে তার রুপে দেখিনি মানুষ রুপে দেখেছি সেই মানব রুপ টাও একদমই অস্পষ্ট আমার স্মরণ নেই।
আমি আপনাদের উত্তরের আশায় আছি, আশা করছি ভালো কিছুই হবে।

 জাযাকাল্লাহু-খইরন।

.

1 Answer

0 votes
by (565,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/33785/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আল্লাহকে বাস্তবে দেখা তথা চর্মচক্ষু দ্বারা কখনো সম্ভবপর নয়।তবে স্বপ্নে দেখা যেতে পারে।কিভাবে দেখা যাবে,সেটা অাল্লাহই ভালো জানেন।

 মু'আয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদিন প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হন। এমনকি আমরা সূর্য উদিত হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম। তিনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলে সালাতের জন্য ইকামাত দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্ষেপে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরানোর পর উচ্চস্বরে আমাদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা যেভাবে সারিবদ্ধ অবস্থায় আছ সেভাবেই থাক। তারপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বসলেন অতঃপর বললেনঃ সকালে তোমাদের নিকট আসতে আমাকে কিসে বাধাগ্রস্ত করেছে তা এখনই তোমাদেরকে বলছি।
আমি রাত্রে উঠে উযূ করলাম এবং সামর্থ্যমত নামায পড়লাম। নামাযের মধ্যে আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লাম। অতঃপর আমি ঘুমিয়ে পড়লাম, এমন সময় আমি আমার বারাকাতময় প্রভুকে খুব সুন্দর অবস্থায় (স্বপ্নে) দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ। আমি বললামঃ প্ৰভু! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, উর্ধ্বজগতের অধিবাসীগণ (শীর্ষস্থানীয় ফেরেশতাগণ) কি ব্যাপারে বিতর্ক করছে? আমি বললামঃ প্ৰভু! আমি জানি না। আল্লাহ তা'আলা এ কথা তিনবার বললেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি তাকে দেখলাম যে, তিনি তার হাতের তালু আমার দুই কাঁধের মাঝখানে রাখলেন। আমি আমার বক্ষস্থলে তার হাতের আঙ্গুলের শীতলতা অনুভব করলাম। ফলে প্রতিটি জিনিস আমার নিকট আলোকোদ্ভাসিত হয়ে উঠল এবং আমি তা জানতে পারলাম। আল্লাহ তা'আলা বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি বললামঃ প্ৰভু! আমি আপনার নিকট হাযির। তিনি বললেন, উর্ধ্বজগতের বাসিন্দাগণ কি ব্যাপারে বিতর্ক করছে? আমি বললামঃ কাফফারাত প্রসঙ্গে (তারা বিতর্ক করছে)।
তিনি বলেন, সেগুলো কি? আমি বললামঃ হেঁটে সালাতের জামা'আতসমূহে হাযির হওয়া, নামাযের পর মসজিদে বসে থাকা এবং কষ্টকর অবস্থায়ও উত্তমরূপে উযূ করা। তিনি বললেন, তারপর কি ব্যাপারে (তারা বিতর্ক করেছে)? আমি বললামঃ খাদ্যপ্রার্থীকে আহার্যদান, নম্রতার সাথে কথা বলা এবং রাতে মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে সেই সময় সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে।
আল্লাহ তা'আলা বললেন, তুমি কিছু চাও, বলঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভাল ও কল্যাণকর কাজ সম্পাদনের, মন্দ কাজসমূহ বর্জনের, দরিদ্রজনদের ভালবাসার তাওফীক চাই, তুমি আমায় ক্ষমা কর ও দয়া কর। তুমি যখন কোন গোত্রকে বিপদে ফেলার ইচ্ছা কর তখন তুমি আমাকে বিপদমুক্ত রেখে তোমার কাছে তুলে নিও। আমি প্রার্থনা করি তোমার ভালবাসা, যে তোমায় ভালবাসে তার ভালবাসা এবং এমন কাজের ভালবাসা যা তোমার ভালবাসার নিকটবর্তী করে দেয়।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ স্বপ্লটি অবশ্যই সত্য। অতএব তা পড়, তারপর তা শিখে নাও।(তিরমিযি-৩২৩৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি আল্লাহকে দেখেননি।

তবে আপনি আল্লাহর প্রতি ক্ষমা নিয়ে যেরকম সুধারণা রাখেন,সেরকম সুধারণা রাখবেন।

ঈমান আমলের উপর অটল অবিচল থাকবেন।

আরো আমল জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...