আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
এক ব্যাক্তি এক পরিবারের ৪ জন ব্যাক্তিতে যাদু করে পাগল করেছে। এখন বিশ্বস্ত সুত্র মারফত জানা গেছে কে এই জাদু করেছে?  ঐ যাদুকারীকে সর্বপ্রকার চেষ্টা করেও থামানো যাচ্ছে না। এখন তাকে ( যাদুকর  কে) যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে কী গুনাহ হবে?? যেহেতু  সে ঐ পরিবারেন অন্য একজন সদস্য কে যাদু করে মেরে ফেলবে বলেছে। এখন প্রান রক্ষা ও ফ্যামেলি কে এসব থেকে বাচানোর জন্য তাকে কী কোনো যাদুকর দিয়ে মেরে ফেলা যাবে। যেহেতু আমি তাকে মারতে পারছি না। আর আমি যদি সুযোগ পেয়ে মেরে ফেলি এর ইসলামিক বিধান কী হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جُنْدَبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حَدُّ السَّاحِرِ ضَرْبَةٌ بِالسَّيْفِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْمَكِّيُّ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْعَبْدِيُّ الْبَصْرِيُّ قَالَ وَكِيعٌ هُوَ ثِقَةٌ . وَيُرْوَى عَنِ الْحَسَنِ أَيْضًا وَالصَّحِيحُ عَنْ جُنْدَبٍ مَوْقُوفٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا يُقْتَلُ السَّاحِرُ إِذَا كَانَ يَعْمَلُ فِي سِحْرِهِ مَا يَبْلُغُ بِهِ الْكُفْرَ فَإِذَا عَمِلَ عَمَلاً دُونَ الْكُفْرِ فَلَمْ نَرَ عَلَيْهِ قَتْلاً .

আহমাদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ... জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাদুকরের দন্ড হল তলওয়ার দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া।

( মিশকাত, তাহকীক ছানী ৩৫৫১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী])

এই সূত্র ছাড়া হাদীসটি মারফু’ রূপে আছে বলে আমরা জানি না। স্মরণশক্তির দিক থেকে ইবনু মুসলিম আবদী বাসারী (রহঃ) হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে যঈফ্। ইসমাঈল ইবনু মুসলিম আবদী বাসরী সম্পর্কে ওয়াকী’ (রহঃ) বলেছেন যে, তিনি নির্ভরযোগ্য আস্থাভাজন রাবী, তিনিও হাসান (রহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। জুনদুব (রহঃ) থেকে মাওকূফ রূপে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি সহীহ। এতদনুসারে কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমের আমল রয়েছে। এ হল ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, যাদু যদি কূফরীর পর্যায়ের হয় তকে যাদুকরকে হত্যা করা হবে। আর যদি তা কূফরী আমলের কম পর্যায়ের হয় তবে তার উপর কতল প্রযোজ্য হবে বলে তিনি মনে করেন না।
(তিরমিজি ১৪৬৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আইন হাতে তুলে নেয়া যাবেনা। আইনের হাতে জাদুগরকে তুলে দিতে হবে। তার নামে মামলা করতে হবে।

মূলত এক্ষেত্রে পরিত্রানের উপায় হলো,কোনো বিজ্ঞ রুকইয়াহ কারীর স্বরনাপন্ন হওয়া,যাতে করে কেউ যেনো সেই পরিবারের কাহারো উপর যাদু না করতে পারে,শরীর বন্ধ করে নেয়া।

তাহলে আর প্রশ্নে উল্লেখিত সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
আইনের হাতে যে তুলে দেব, দেশে কী আর আইন বলতে কিছু আছে?  দুই আইন ত প্রমাণ ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করে না। আইন যাদু তেও বিশ্বাস করে না। তার নামে যে মামলা করা হবে, কী প্রমান নিয়ে মামলা করবে। দিনশেষে মামলার ফলাফল শুন্য। তার উপর 


বিজ্ঞ রুকইয়াহ কারীর কথা আর কী বলব। ৮-১০ লাখ টাকা খরচ। কেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে উদ্ধার করা হয়েছে, কিছু যায়গায় টাকা ও গেছে সময় ও নষ্ট। 
কিছু রাকীর মত এখন সে ওই জীবিত ব্যাক্তিকে মারার পথে হাটছে। 
যারাই বলেছিল আচ্ছা দেখি কী করা যায়, তারাই জানিয়েছে তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। 
ওই ব্যাক্তিকে ত বাচতে হবে? 


যদি অই যাদুকর কে কেও মেরে ফেলে তাহলে তার উপর ( যে মারবে)  ইসলামিক বিধান কী হবে ? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...