আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
374 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (33 points)
আসসালামুআলাইকুম,

একটা সাইট বিনামূল্যে কিছু নাম্বার প্রোভাইড করে, যেগুলোকে ভার্চুয়াল নাম্বার বলা হয়, সবাই ব্যবহার করতে পারে...এই নাম্বারগুলো দিয়ে অনেক রকমের আইডি ভেরিফিকেশন করা যায় ফ্রীতে, নাম্বার গুলো এক মাস পরপর পরিবর্তন করে আবার নতুন নাম্বার দিয়ে থাকে তারা...তাদের সার্ভিসটা ফ্রী তেই দিয়ে থাকে ....

আমি এই সার্ভিস সম্পর্কে জানি এবং নিজেও আইডি ভেরিফিকেশনের কাজে ব্যবহার করি, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি আমি এই সার্ভিস ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে অন্যদের আইডি ভেরিফিকেশন করি অর্থাৎ সার্ভিসটির মাধ্যমে ইনকাম করি, তাহলে কি সেটাতে কোন সমস্যা হবে ?

যদি বলি যে, "আমি তোমার আইডি ভেরিফাই করে দিতে পারবো, বিনিময়ে অত টাকা দিতে হবে"
এরকম করে উপার্জন করলে কি নাজায়েজ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি উপরোক্ত ব্যবসা করতে পারবেন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ব্যবসা বানিজ্যবৈধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

ব্যবসা বানিজ্য পুরুষ-মহিলা সবার জন্য বৈধ।কেননা উপরোক্ত আয়াত সমূহে নারী পুরুষের কোনো পার্থক্য নেই।তবে নারীর জন্য শর্ত হলো,পর্দা রক্ষা করতে হবে।স্বামীর হক আদায় করতে হবে।হযরত যায়নাব রাযি ট্যানারির ব্যবসা করতে।এবং যা উপার্জন করতে, তার সিংহ ভাগ সদকাহ করে দিতেন।

আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে,
কোন এক সহধর্মিনী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেনঃআপনার মৃত্যুর পর আমাদের মধ্য হতে সবার পূর্বে কে আপনার সাথে মিলিত হবে? তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যার হাত সবচেয়ে লম্বা। তাঁরা একটি বাঁশের কাঠির মাধ্যমে হাত মেপে দেখতে লাগলেন। সওদার হাত সকলের হাতের চেয়ে লম্বা বলে প্রমাণিত হল। পরে [সবার আগে যায়নাব (রাঃ)-এর মৃত্যু হলে] আমরা বুঝলাম হাতের দীর্ঘতার অর্থ দানশীলতা। তিনি [যায়নাব (রাঃ)] আমাদের মধ্যে সবার আগে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) সাথে মিলিত হন এবং তিনি দান করতে ভালবাসতেন।(সহীহ বোখারী-১৪২০)মিশকাত-১৮৭৫


মোল্লা আলী কারী রাহ মিরকাত কিতাবের১৮৭৫ নং হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
 (تحب الصدقة) أي: إعطاءها، وكانت لها صناعة واكتساب معيشة باليد وهذا معنى آخر لليد، فأطولكن يدا بمعنى أفضلكن يدا؛ حيث إنها تأكل من كسب يدها وتتصدق بيدها من كد يدها
যায়নাব রাযি দান করতে ভালবাসতেন।যায়নাব রাযির পেশা ও উপার্জন ছিল,যায়নাব রাযি নিজ হাতের উপার্জন হতে খেতেন,এবং সদকাহ করতেন।বিস্তারিত জানুন-৫২৪

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি উপরোক্ত ব্যবসা করতে পারবেন।কেননা এতে কারো সাথে ধোঁকাবাজি হচ্ছে না।আপনি আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করছেন।তবে এতে কারো সাথে ধোঁকাবাজি করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...