ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید) فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)
হারাম টাকা দ্বারা যদি কেউ ব্যবসা করে নেয়, এবং সেই ব্যবসা থেকে লাভ হয়, তাহলে মূলধন হারাম হলেও উক্ত ব্যবসার মুনাফা হালাল থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/53560
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার জন্য বাবার হারাম টাকায় ক্রয়কৃত ল্যাপটপ দ্বারা কাজ শিখে অনলাইনে হালাল টাকা উপার্জন করার রুখসত বা অনুমোদন থাকবে। হ্যা, পরবর্তীতে ল্যাপটপের সমপরিমাণ টাকা সাদাকা করে দিলেই হবে।
(২) পরবর্তীতে সামর্থ্যে হওয়ার পর ল্যাপটপের সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিলে ইবাদতে কোনো সমস্যা হবে না। আর সামর্থ্য না হলে সদকাহ করা লাগবে না।