আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)

/ যারা হারাম টাকা দিয়ে বা লোন বা কিস্তিতে সুদে টাকা নিয়ে বিদেশে যায় তাদের ইনকাম কি হালাল?

/  অনেকে  আছে যারা সুদের কিস্তিতে টাকা নিয়ে কোন যানবাহন বা অন্যান্য জিনিস ক্রয় করেন এবং তা চালিয়ে বা সেটি ব্যবহার ইনকাম করেন,,তাদের ইনকাম কি হালাল?

/ হারাম টাকায় কেনা জিনিস দিয়ে কাজ করলে সে ইনকাম হারাম হবেনা কেন?

/ ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন সেক্টরকে সম্পর্ণ নিজের দখলে নেয়ার জন্য বা সব কাষ্টমার নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য ব্যাপক হারে ইচ্ছা করে পণ্যে বা সেবায় লস দেয়া কি জায়েজ রয়েছে?যেমন কোন জিনিস লাভ না করে শতকরা ১০০ টাকার জিনিস ৭০ টাকায় বা ২০ টাকা লস করে ৫০ টাকায় অর্থাৎ প্রায় ৫০% লস দেয়া কি জায়েজ?এক্ষেত্রে অন্য ব্যবসায়ীদের লসের আশঙ্কা আছে,,,,

শায়েখ এখানে ১ ও ২ নং পশ্নে সুদ দেয়া হয়েছে, নেয়া হয়নি,,,

এবং হারাম হবেনা কেন সে বিষয়ে স্পষ্ট দলিল চাই

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/20827/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " أيها الناس، إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا، وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين، فقال: {يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا، إني بما تعملون عليم} [المؤمنون: ٥١] وقال: {يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم} [البقرة: ١٧٢] ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر، يمد يديه إلى السماء، يا رب، يا رب، ومطعمه حرام، ومشربه حرام، وملبسه حرام، وغذي بالحرام، فأنى يستجاب لذلك؟ "

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩: ৫১)

তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২: ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?” (সহীহ মুসলিম-১০১৫)


এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। কেউ কেউ সমস্ত মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র আসল তথা মূলধন যা হারাম ছিল, সেই মালকে মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিংবা সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. তাদের জন্য এভাবে সুদের উপর টাকা নিয়ে বিদেশে যাওয়া জায়েজ হয়নি। এতে তাদের গোনাহ হবে। তবে তারা সেখানে হালাল ও বৈধ কাজের বিনিময়ে যা পাবে তা তাদের জন্য হালাল। কারণ, এটা তারা তার পরিশ্রমের বিনিময়ে পাচ্ছে। আর তাদের জন্য তাদের শ্রমের বিনিময়ে টাকা নেওয়া জায়েজ।

২-৩. হালাল টাকা দিয়ে ঐ ঋণ পরিশোধ করলে ঐ যানবাহন তাদের জন্য হালাল।  তবে তাদের জন্য এভাবে সুদের উপর টাকা নিয়ে যানবাহন ক্রয় করা জায়েজ হয়নি। এতে তাদের গোনাহ হবে। তবে তাদের হালাল ও বৈধ কাজের বিনিময়ে যা পাবে তা তাদের জন্য হালাল। কারণ, এটা তারা তার পরিশ্রমের বিনিময়ে পাচ্ছে। আর তাদের জন্য তাদের শ্রমের বিনিময়ে টাকা নেওয়া জায়েজ।


৪. এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কোনো হেকমতের কারণে ক্রয় মূল্যের চেয়ে কখনো কম দামে বিক্রয় করতে চাইলে সেটা সে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
শায়েখ,,,যানবাহন বা কম্পিউটার চালানোর ক্ষেত্রে তেল বা গ্যাস বা বিদ্যুৎ প্রয়োজন,,,সেটা যদি হারাম টাকা দিয়ে কেনা হয় এবং তারপর উপার্জন করা হয় তাহলে কি হালাল নাকি হারাম?
by (62,670 points)
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হালাল উপার্জন করলে তার ইনকাম হালাল হবে। তবে তেল বা গ্যাস অথবা বিদ্যুৎ হারাম টাকা দিয়ে ক্রয় করার কারনে আলাদাভাবে তার গুনাহ হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...