আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
১/
আসসালামু 'আলাইকুম,

পূর্বে কদমবুচি করে যে হাদিয়া গ্রহণ করা হয়েছে সেই টাকা হুকুম কি?যেই টাকাগুলো আমার কাছে নেই সেগুলোর হুকুম কি হবে?

বিস্তারিত:
আমি পূর্বে আমার বাবাকে কিছু টাকা দেই কয়েকধাপে  কোন জিনিস ক্রয়ের জন্য বা অন্য কাজের জন্য- কিন্তু যেগুলোর জন্য টাকা দিয়েছিলাম সেগুলো সে করেন নি, ঐ টাকা দিয়ে আমাকে কিছু কিনেও দেননি,,,টাকাও ফেরত দেননি,,,কিন্তু টাকাগুলো ছিল হালাল-হারামের সংমিশ্রণ,,টাকাগুলো ছিল কদমবুচির পর পর প্রাপ্ত,জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রাপ্ত টাকা, আবার সুদি ব্যাংকে চাকরি করে এমন ব্যক্তিরও দেওয়া টাকা ছিল+ সেখানে হালাল টাকাও ছিল,,,তো আমার মনে হয় সে সেগুলোকে হারাম বলে মনে করেন না,,এবং তাকে এ বিষয়ে বললেও সমস্যা হবে বলে মনে করি,,,,তো এখন আমার করণীয় কি?উল্লেখ্য সেই টাকা তার সম্পদের তুলনায় একদম নগণ্য,,সে সেই টাকাগুলো হয়ত খরচ করে ফেলেছে,, আর কিছু টাকা শুনেছি একজন তাকে ব্যবসার জন্য টাকা দিয়েছিল সে হঠাৎ করে টাকা চাওয়ায় তাকে দিয়ে দিয়েছে,,,শুধু আমার টাকা নয় আমার বোনেরও এইরম হাদিয়ার টাকা ছিল,আবার ভবিষ্যতে আমি তার টাকা দিয়ে ব্যবসাও করতে পারি,,তাহলে তার টাকা দিয়ে ব্যবসা করা কি হালাল,,,তার থেকে কি কোন টাকা-পয়সা গ্রহন করা যাবে? এখন আমার করণীয় কি?আমি যদি পরবর্তীতে তাকে যে টাকাগুলো দিয়েছিলাম সেই পরিমাণ টাকা দান করে দেই এবং তাকে মাফ করে দেই তাহলে কি তাকে দেওয়া টাকাগুলো হালাল হয়ে যাবে?

২/ আমরা এমন এক জামানায় বসবাস করছি যেখানে বোঝা মুশকিল যে কে সত্যিকারের মুসলিম-ঈমানদার,কে মুনাফিক,কে মুরতাদ, তো সবার আক্বিদা কি, কে কি বিশ্বাস করে,,মাজার পূজারি নাকি তা জানা সম্ভব হয় না,তো যে কোন মুসলিম যদি কোন পশু হালাল পদ্দতিতে জবেহ করে তাহলে কি তার জবাই করা পশুর গোশত খাওয়া কি হালাল? নাকি তার আক্বিদা কি,সে মুনাফিক নাকি মুরতাদ নাকি সত্যিকারের ঈমানদার সে বিষয়েও জানতে হবে?

৩/ জন্মদিনের দিন যদি ব্যক্তি  কোন হাদিয়া দেয় তাহলে কি নেয়া জায়েজ?

৪/ যদি জানা যায় কোন ব্যক্তি তার চাকুরী জীবনে ঘুষ খেয়েছিল কিন্তু কি পরিমাণ তা না জানা যায়,   সে চাকুরী বাচানোর জন্য ঘুষ খেয়েছিল এবং সে কি টাকাগুলো নিজে রেখেছিল নাকি দান করে দিয়েছিল তা জানা না যায় তাহলে কি করণীয়?

৫/ পূর্বে তো দাসপ্রথা বিদ্যমান ছিল কিন্তু অনেক দাসের বণিক স্বাধীন মানুষকে জোরপূর্বক দাস বানিয়ে,বা স্বাধীন মানুষকে ক্রয় করে বা প্রতারণা করে  বিক্রয় করে দিত,,,এ ধরনের দাস কেনা কি তখনকার দিনে হারাম ছিলো জানার পর যে মানুষকে জোরপূর্বক দাস বানানো হয়েছে?আর যদি ক্রয় করার পর জানতে তাহলে কি করা হতো?

1 Answer

0 votes
by (564,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/25087/ ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, 
হারাম টাকায় ব্যবসা করাও নাজায়েজ। 
,
তবে কঠিন প্রয়োজন বশত এমনটি হলে উক্ত ব্যবসার লভ্যাংশ ব্যবহারের অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন।   তারা বলেছেন যে এটি সেই ব্যবসায় তার পরিশ্রমের বিনিময়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ قَالَ : ابْتَعْتُ غُلَامًا فَاسْتَغْلَلْتُه ثُمَّ ظَهَرْتُ مِنْهُ عَلٰى عَيْبٍ فَخَاصَمْتُ فِيهِ إِلٰى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَضٰى لِىْ بِرَدِّه وَقَضٰى عَلَىَّ بِرَدِّ غَلَّتِه فَأَتَيْتُ عُرْوَةَ فَأَخْبَرْتُه فَقَالَ : أَرُوْحُ إِلَيْهِ الْعَشِيَّةَ فَأُخْبِرُه أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْنِىْ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَضٰى فِىْ مِثْلِ هٰذَا : أَنَّ الْخَرَاجَ بِالضَّمَانِ فَرَاحَ إِلَيْهِ عُرْوَةُ فَقَضٰى لِىْ أَنْ اٰخُذَ الْخَرَاجَ مِنَ الَّذِىْ قَضٰى بِه عَلَىِّ لَه

মাখলাদ ইবনু খুফাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একটি দাস কিনেছিলাম এবং তার মাধ্যমে কিছু উপার্জনও করিয়েছিলাম। অতঃপর আমি তার মধ্যে একটি দোষ সম্পর্কে অবগত হলাম এবং শাসনকর্তা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে আমি তার বিষয়ে অভিযোগ করলাম। তিনি বিচার করলেন যে, আমি তাকে ফেরত দিতে পারবো, তবে অবশ্যই তার দ্বারা উপার্জিত সব কিছুই আমাকে ফেরত দিতে হবে। আমি ‘উরওয়াহ্ (রহঃ)-এর নিকট এ রায় জানালাম। তিনি বললেন, আমি সন্ধ্যাকালেই শাসনকর্তার নিকট যাবো এবং তাঁকে অবহিত করবো। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় ঘটনায় রায় দিয়েছেন যে, উপার্জিত আয় তার তত্ত্বাবধান ব্যয় বলে সাব্যস্ত হবে। ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) সন্ধ্যাকালেই ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে গেলেন। এমতাবস্থায় তিনি বিচার করলেন যে, উক্ত উপার্জিত আয় তিনি পূর্বে (প্রথমে) যাকে দেয়ার জন্য আদেশ করেছিলেন তার কাছ থেকে আমি যেন তা ফেরত নেই।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ২৮৭৯)

উক্ত সম্পদ দ্বারা ব্যবসা করে যে লভ্যাংশ অর্জিত হয়েছে বা হবে,তাহা গ্রহন করা জায়েজ নেই,এটিই অনেক ইসলামী স্কলারদের মত।

★তবে ইমাম শাফেয়ী ও মালেক রহঃ এর মতে সে ব্যাক্তি লভ্যাংশ নিজের পরিশ্রমের বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে  (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১)। 
তবে তাদের মতেও এহেন ব্যবসার লাভ পরিত্যাগ করাই অধিকতর নিরাপদ ও তাক্বওয়াপূর্ণ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার বাবার ইনকাম সোর্স কি?
তিনি কি হালাল পথে টাকা ইনকাম করেন! নাকি হারাম পথে টাকা ইনকাম করেন!

তিনি যদি হালাল পথে টাকা ইনকাম করেন,সেক্ষেত্রে তার টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে কোনো সমস্যা নেই।

তবে তিনি যদি হারাম পথে টাকা ইনকাম করেন,সেক্ষেত্রে আপনার বাবার হারাম টাকায় ব্যবসা করা জায়েজ হবেনা।
সবই হারাম হবে।
সেই লভ্যাংশ এর টাকা আর বিনিয়োগের টাকা কোনোটাই ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে হারাম টাকা গুলো হালাল করা পদ্ধতি হলোঃ
আপনার বাবা হতে যেই পরিমান টাকা গ্রহন করবেন,সেই পরিমান হারাম টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।         
তাহলে সেটির ব্যবহার জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।

(০২)
কোন মুসলিম যদি কোন পশু হালাল পদ্ধতিতে জবেহ করে, তাহলে তার জবাই করা পশুর গোশত খাওয়া হালাল।

তার আকীদা ইত্যাদি জানা আবশ্যক নয়।

(০৩)
সেটি নেয়া জায়েজ নেই।

(০৪)
এক্ষেত্রে সে জীবনে কত টাকা ঘুষ খেয়েছিলো, প্রবল ধারণার ভিত্তিতে আনুমানিক একটি হিসাব করে সেই টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিবে।

(০৫)
এ ধরনের দাস ক্রয়,বিক্রয় কোনোটিই জায়েজ ছিলোনা।

যদি ক্রয় করার পর জানতে পারে, সেক্ষেত্রে সেটি ফেরত দিয়ে টাকা ফিরিয়ে নেয়ার নিয়ম আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
শায়েখ ২ নং প্রশ্নের উত্তরটা পাইনি

আর ১ নং প্রশ্নের উত্তরটি বুঝতে পারিনি,,,তিনি হালাল পথেই ইনকাম করেন ইন শা আল্লাহ এবং ((((১নং প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, আপনার বাবা হতে যেই পরিমান টাকা গ্রহন করবেন,সেই পরিমান হারাম টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।         
তাহলে সেটির ব্যবহার জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।))))এখানে যেই পরিমাণ গ্রহণ করব সেই পরিমাণ দান করবো কথাটির মানে কি?
এখানে কি ভুলে সেই পরিমাণ টাকার বদলে যেই পরিমাণ টাকা লেখা হয়েছে?
 
by (564,660 points)
২ নং প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...