আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
একজন মহিলা seip এর আন্ডারে কোর্স করেছে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ এর।

এই ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় গায়ের মাহরাম শিক্ষকদের থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আশেপাশে অন্যান্য মানুষ থাকলেও  গাড়ি তে প্রশিক্ষক এর সাথে একা থাকা লাগে। আর ক্লাসে অন্য ছাত্রদের সাথে ক্লাস করতে হয়।

এই অবস্থাগুলায় মহিলা পর্দার আরালে ছিল। তবে কোন মাহরাম উপস্থিত ছিল না।

মহিলার এই কোর্স করা শেষ হয়েছে। এখন seip থেকে কিছু অর্থ দেওয়া হবে এই কোর্স করার বিনিময়ে।

এখন, কোর্স শেষে কাগজপত্র, লাইসেন্স ইত্যাদি কালেক্ট রার সময়, কাগজপত্র / লাইসেন্স ইত্যাদি যা যা দেখাতে হচ্ছে বা দেখা হচ্ছে, এগুলোতে মহিলার মুখ খোলা হিজাব পরিহিত ছবি বিদ্যমান আছে।


প্রশ্ন ১: যে টাকা দেওয়া হবে seip থেকে কোর্সট করার বিনিময়ে তা জায়েজ হবে?


প্রশ্ন ২: উক্ত কাগজপত্র, লাইসেন্দ এসব কালেক্ট করার সময় ছবি সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে অন্য পুরুষরা মহিলার ছবি দেখার, এ কারণে লাইসেন্স, কাগজপত্র এসব কালেক্ট করা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উক্ত টাকা গ্রহন হারাম হবেনা।

(০২)
https://ifatwa.info/8682/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, 
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ

প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে হারাম। 

তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)

অহেতুক ছবি তোলা জায়েজ নয়। কিন্তু বাধ্য হলে জায়েজ আছে। 

قَاعِدَة الضرورات تبيح الْمَحْظُورَات

তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭০] 

قَاعِدَة الضرورات تقدر بِقَدرِهَا

জরুরত তার সীমায় সীমিত থাকবে। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭১] 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে ছবি দেয়া জায়েজ নেই।
তবে ছবি দিয়ে থাকলে লাইসেন্স, কাগজপত্র এসব কালেক্ট করা নাজায়েজ হবেনা।
তবে ছবি দেয়ার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...