আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি জানতে চাইছিলাম, আমার ২ বছর আগে চাপ দাড়ি হাল্কা ঘন ছিলো ভালোই বুঝা যেতো আমি দাড়ি কাটতাম না ক্লিন শেইভ করতাম না প্রায় ৫-৮ মাস ধরে তাই চাপ দাড়ি লোম সহ বুঝা যেতো। এরপর ভালো করে সব সমান করে উঠার জন্য আমি ক্লিন শেইভ করি কিন্তু থুতনির নিচের দাড়ি গুলো ক্লিন করিনি ওগুলা ছাড়াই ক্লিন শেইভ করচি পুরা ফেইচ। এরপর থেকে আজকে ১ বছর যাবৎ আমার সেই আগের মতো ঘন কালো লোম সহ দাড়ি আর আসছে না। পুরো মুখের কিছু কিছু জায়গায় ৪/৫ টা ৫/৫ টা করে আছে মাঝে মাঝে ফাকা আর থুতনির নিচের দাড়ি গুলোও বড় হচ্ছে না।  তাই আমার প্রশ্ন হলো -
১. আমি কি পুরো মুখ একবার ক্লিন শেইভ করে দেখতে পারি পুনরায় সুন্দর দাড়ি উঠবে এই নিয়তে??
২. এবং যদি ক্লিন শেইভ করি অথবা না করি তাহলে কি দাড়ি উঠার কিছু ফেইচ সিরাম আছে Beard growth (যেমন - Kirkland minoxidil বিদেশী, square company splendora দেশী এবং ziska Pharmar Trugain)  এগুলা ব্যবহার করতে পারবো দাড়ি গ্রোথের জন্য???

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা চার মাযহাব মতে ওয়াজিব।
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ – ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺃﻧﻬﻜﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺃﻋﻔﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ "

তরজমাঃ- নবী কারীম সাঃ বলেন,তোমরা  গোঁফকে ছাটাই করো ,এবং দাড়িকে বাড়ার জন্য ছেড়ে দাও।
(সহীহ বুখারী-৫৪৪৩,সহীহ মুসলিম-৬০০)

আরো জানুনঃ 

শরীয়তের বিধান হলো দাড়ি না রাখা , মুন্ডিয়ে ফেলা বা এক মুষ্ঠির কম রাখা হারাম ও কবীরা গুনাহ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عن ابن عمر  : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروا اللحى وأحفوا الشوارب  . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر قبض على لحيته فما فضل أخذه

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।
আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}

হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ – ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺃﻧﻬﻜﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺃﻋﻔﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ "

তরজমাঃ- নবী কারীম সাঃ বলেন,তোমরা  গোঁফকে ছাটাই করো ,এবং দাড়িকে বাড়ার জন্য ছেড়ে দাও।
(সহীহ বুখারী-৫৪৪৩,সহীহ মুসলিম-৬০০)

আরো জানুনঃ 

★দাড়ি মুন্ডানো বা এক মুষ্ঠির চেয়ে কম রেখে কাটার গুনাহ সার্বক্ষনিক বান্দার সাথে লেগে থাকে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৫১৯)

★দাড়ি কাটার গুনাহ এমন,যে সেই গুনাহ ঘুমানো,শয়ন সর্ব হালতেই হতেই থাকে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৭/৮৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
না,এটা জায়েজ হবেনা।

(০২)
বিজ্ঞ ডাক্তারের মত অনুসারে এগুলোর ব্যবহার ত্বক এর জন্য ক্ষতিকর না হলে দাড়ি উঠার জন্য এগুলো ব্যবহার করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খাইরান। আমি আরও একটু জানতে চাইছি। 
১. থুতনির নিচে দাড়ি গুলো লম্বা হয়ে নামতো আগে কিন্তু এখন নামে না তাই আমি কি থুতনির নিচের দাড়ি না কেটে থুতনি থেকে একটু ভিতরে গলার নিচের কিছু দাড়ি আছে মাঝে মাঝে ফাকা ওগুলা কাটতে পারবো?  আমার গোছানো দাড়ি নেই মাঝখানে মাঝখানে ফাকা উঠেই নাই এমন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
২. মুখের বাম এবং ডান পাশে আমার দাড়ি নেই বললেই চলে একদম হাল্কা লোম আর ৪/৫ টা দাড়ি আছে তা কি ক্লিন করতে পারবো একবার করে দেখতে চাইছিলাম আগের মতো ঘন হয়ে উঠে নাকি?  মুখের ২. পাশের যে চাপ দাড়ি উঠে তার কথা বলছিলাম হুজুর। তা কি ক্লিন করে দেখতে পারি একবার??
৩. আমি ছোট থাকতে না জেনে না বুঝেই আব্বুর শেইভ করার রেজার দিয়ে আমার ২ হাতের ২ পায়ের লোম ক্লিন করে ফেলচিলাম তখন গাড়ো লোম ছিলো হাতে এখন একদম হাল্কা আছে বয়স ২৬ চলছে এখন। তা কি গুনাহ হবে এবং সেই গুনাহ কি এখনও হতে পারে আমি কি করতে পারি এর জন্য জানালে ভালো হয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...